ওরা দীনের আলো ফুতকারে নিভিয়ে দিতে চায়
[শাপলা কাহিনি]
১ম কিস্তি,
*****
বুকভরা সাহস আর পাহাড়সম আশা নিয়ে হাজির
হয়েছিলাম মতিঝিলের শাপলা চত্বরে।৫মে ২০১৩।
সময় গড়াচ্ছে,আমার অন্তরাত্মা
নতুনভাবে,নবোদ্যমে জাগতে শুরু করছে।
যেন আমি এক নতুন পৃথিবীতে বাস করছি।স্বপ্ন
দেখতে লাগলাম,স্বতন্ত্র ইসলামি ভূখন্ডের
স্বপ্ন।যেখানে বাস্তবায়িত হবে শরয়ি হুদুদ,কিসাস
ইত্যাদি।মজলুম মুক্তি পাবে,দরিদ্র আর অনাহারে
থাকবে না।ঘরে-বাইরে,মাঠে-ময়দানে বিরাজ
করবে শান্তি আর শান্তি।কত সুন্দর চিন্তা,অথচ আমি
বসে আছি রিক্ত হস্তে শাপলার ধারে।মাইক
থেকে বক্তৃতার আওয়াজ আসছে,পরপর
অনেকেই বক্তৃতা করছেন।সবার কণ্ঠেই
দেশপ্রেম আর ধর্মের প্রতি
অবমাননকারীদের প্রতি চরম বিদ্বেষ।সবার
কণ্ঠেই বাজে এদেশ আমার,আমাদের এবং
ইসলামের।প্রতিজন বক্তা যেন একেকজন
বীরযোদ্ধা,লড়াকুসৈনিক।শাহাদাতের তামান্না
সকলেরই।ধ্যান ভঙ্গ হলো আমার।শ্লোগানে
মোহরিত হচ্ছে শাপলা-প্রাঙ্গন।হয়ত শরিয়ত,নয়ত
শাহাদাত।→
↓ ২য় কিস্তি
*****
শাপলা চত্বরে এখন বিকাল।রোদের ক্রোধ
অনেকটাই কমে গেছে।সেই সাথে সবার মন-
মস্তিষ্কেও নরম পরিস্থিতি বিরাজমান।সময় চলছে
আপন গতিতে,চলছি আমরা,চলছে আমাদের
আয়োজন।ঢাকা শহরের অলি-গলি ক্রমে আরো
ভারী হচ্ছে।মতিঝিলে তো লোকে
লোকারণ্য।টুপি-দাড়ি ওয়ালা সাদা লেবাসধারীদের
এক মহাসমুদ্র।কুরআনি দাবী আদায়ে তাঁরা বদ্ধ
পরিকর।ধর্মদ্রোহি নাস্তিক-মূর্তাদ ও যিন্দিকদের
উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবিতে তারা নিজেদের
নাযরানা পেশ করছে।
দিন পেরিয়ে এখন রাত।অনেকেই ক্লান্ত হয়ে
পড়েছে।তবু থেমে নেই শ্লোগান-মিছিল,থ
েমে নেই প্রতিবাদ।সেই সাথে থেমে নেই
ত্বাগুতের অত্যাচারও।ইতোমধ্যে শাহাদাতবরণ
করেছেন আমাদের কতেক ভাই।শরিক
হয়েছেন জান্নাতের সবুজ পাখিদের সাথে।
# মোমিনদের নাযরানা কত সুন্দর,আর #
ত্বাগুতের
অত্যাচার কতই না নিকৃষ্ট।