আগের পর্ব
বছরপূর্থিতে যদি কোন ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্র হারানো বছর নিয়ে আত্নসমালোচনা করে দেখবে এতে প্রাপ্তি আছে বটে কিন্তু, ত্রুটি তার চেয়েও বেশী;সফলতা আছে তবে, তার চেয়েও বেশী হলো সুযোগ নষ্ট করা আর অপরাধ। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, মৃত্যূ বার্ষিকীতে কোউ হারানো বছরের ডাইরি হাতে আত্নসমালোচনা করে- দেখবে, সত্য অনেক বলেছে তবে অগণিত বার মিথ্যা বলেছে, প্রতারণা করেছে আর কথা ভঙ্গ করেছে; দেখবে অনেক ভালো কাজ করেছে, বাহবাহ খুড়িয়েছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, কখনো কখনোও সম্মাননা, প্রচার আর খ্যাতি পেয়েছে;তবে কখনো কখনো মানুষের ধিক্ষার,ভৎসনা আর অভিশাপও পেয়েছে,কখনও তা প্রচারিত হয়ে সাজাও পেয়েছে কখনও অপদস্ত হয়েছে আবার কখনও কিছুই হয়নি-ভেতরে ভেতরে জ্বলছে তোষের আগুন। বছরের শুরুতে যদি কোন ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্র নতুন বছরের ব্যাপরে সবার সামনে আরো ভালো কিছুর ইশতিহার করে-যদি নিজেকে দূর্ণিতি আর সকল অপরাধ থেকে সংবরন করার শপথ করে, যদি সবাই মিলে হারানো দিনের জন্য অনুসূচনা করে আর নতুন বছরের জন্য খোদার কাছে প্রার্থনা করে তাহলে ব্যক্তি, সমাজ এমনকি রাষ্টও অনেক উপকৃত হবে। কিন্তু না, বর্তমান প্রায় সর্ব মহলে বছর পূর্থির দিনে সেবছরের অপরাধকে বৈধতা দেওয়া হয় তোষণ, ভোজন আর মনমুগ্ধকর নানা আয়োজনে- যা ব্যক্তি, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের জন্য শুধু অকল্যাণকর নয় বিপর্যয়ের কারণও বটে।এতে নতুন বছর জমে উঠে কয়েকগুণ অপরাধে; অপরাধী এগিয়ে যায় তার আপন মহিমায়; বাড়তে খাকে তার রুটি-রোজগার আর খ্যাতি।আর সুবিধাভোগীরা হয়ে উঠে-বর্নাঅন্ধ,ব্যাতিক্রমী বধির আর মুক- তারা পরবর্তী বছরের আয়োজনের আগে সুবিধাভোগীরা কালো আর সাদা একই দেখে,আর্থনাদ বা সঙ্গীতকে একই রকম শুনে আর আপন জনকে মুখ খুলে বলতে পারেনা তার অপরাধ থামতে। কেউ কেউ নিজের বর্নাঅন্ধত্ব,ব্যাতিক্রমী বধিরত্ব আর শয়তানী মুকে ডেকে রাখতে ধার্মিক সাজতে চেষ্টা করে অথবা ধার্মিকের সান্নিধ্য নেন। বিষয়টি বুঝে বা না বুঝে কোন কোন ধার্মিক এসব দিবসকে ধর্মের সাথে মিলিয়ে নেন এবং এটি পালনে নিরোৎসাহী করেন। তাই, অধিকাংশ সুবিধাভোগীরা ধর্ম আর ধর্মগ্রন্ত ধার্মিকদের বিষয় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন আর নিজেরা উদাশ জীবন যাপন করেন- এতে অপরাধ, অপসংস্কৃতি আর অনাকাংখিত অনেক কিছুর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয় না। তাই দিন দিন ব্যাক্তি, সমাজ আর রাষ্ট্র হারিয়ে যায় এক অমিনিশা অজানা পথে। পরের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯