somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন্টু বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যু

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মন্টু বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যু
মিজান রহমান শ্রেষ্ঠ

হঠাৎ করে খবর এলো মন্টু বাবু মারা গেছেন।
মন্টু বাবু আমাদের স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। অনেক বছর যাবৎ আমাদের এই স্কুলে আছেন। হিন্দু কেউ মারা গেলে তাৎক্ষনিক কি বলে খবরটা গ্রহন করতে হয় আমার জানা ছিলনা। তবে মুসলমান কেউ মারা গেলে অবশ্যই সাথে সাথে বলে ফেলতাম ‘ইন্নাল্লিাহি ওয়াইন্নাইলাহির রাজিউন’। কিন্তু মন্টু বাবুর ক্ষেত্রে কোনটা না ভেবেই বলে দিলাম গুল মারার আর যাওয়া পাস না। সেতো যা মরার একবার মরছেই। আরেকবার মরলে কি বলে কয়ে মরতো না? এই গত কাল সন্ধ্যায় তার সাথে কতক্ষণ আলাপ আলোচনা করেছি। রাত ১০ টায় আমার সাথে লাস্ট দেখা হইছে। আজ সকালে সে তার ম্যাডাম(ওয়াইফ) কে নিয়ে গেছেন ভোট কেন্দ্রে তার ওয়াইফ এখনো ভোট কেন্দ্রে আছে।
ওই দিন ছিল জাতীয় নির্বাচন। আমরা যারা গ্রাম থেকে দূর দূরান্তে থাকি। তার ভেতরে যারা গ্রামে ভোটার হয়েছি বিপুল উৎসাহ নিয়ে তাদের অধিকাংশই গ্রামে চলে এসেছি। আমাদের দেখে সন্ধ্যার পর আমাদের মন্টু স্যারও বেশ খুশি হয়েই আমাদের সাথে চা পানি খেলেন। তার ডায়াবেটিসর অনেক তার জন্য চিনি ছাড়া চা হলো। তার স্ত্রীও একটা স্কুলের শিক্ষক তার ছিল নির্বাচনে ডিউটি। মন্টু স্যারের শরীর ভাল না থাকায় সে নিজের ডিউটি না রেখে স্ত্রীকে ডিউটি স্থলে পৌছে দিলেন খুব সকাল সকালই।
কিছুক্ষনের মধ্যেই নিশ্চিত হলাম তিনি সত্যি সত্যি মারা গেছেন। তখন স্কুলের কয়েক জন শিক্ষকের কাছে ফোন দিলাম। সবার ফোন বন্ধ মাঝে মাঝে দুএক জনকে ফোনে পাচ্ছি তারাও বলছেন হ্যাঁ শুনেছি দেখার জন্য হসপিটালে যাচ্ছি। লাশ নাকি হসপিটালে আছে। নির্বাচনে আমার কোন ভূমিকা নাই আমি একজন সাধারণ ভোটার তাও নির্দলীয়। বিশেষ কোন কাজ না থাকায় ছুটে গেলাম হাসপাতালে।
সত্যি সত্যিই স্যার শুয়ে আছেন তার মৃত দেহ নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় একটা স্ট্রেচারের উপর। স্যারের লাশ দেখে আতকে উঠলাম। কারণ দ্বিতীয়বারের মতো তার মৃত দেহ আমরা দেখছি। আজ থেকে চৌদ্দ বছর আগে প্রথমবার আমরা তার লাশ দেখেছিলাম। সেই লাশের পা দিয়ে মুছিয়ে দেয়া হয়েছিল তার স্ত্রীর কপালের সিঁদুর। সেই লাশ চিতায় পুড়িয়েছিলাম। আজ আবারও সেই একই কাজ আমরা করবো।

চৌদ্দ বছর আগের কথা।
আমরা তখন স্কুলে পড়ি। প্রতিদিনের মতো স্কুলে এসে শুনি গত পরশু দিন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি লঞ্চ ডুবে শতশত লোক মারা গেছেন। সেই লঞ্চে আমাদের স্কুলের মন্টুস্যারও ছিল তার লাশ পাওয়া গেছে। তার স্ত্রী গিয়ে লাশ সনাক্ত করেছেন। তার স্কুলের ছাত্র হিসেবে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সেখান থেকে আমাদের স্যারের লাশ নিয়ে আসা, আমরা ছুটে গেলাম। শত শত ছাত্র আমরা। তার স্ত্রী যেভুলটি করেনি ্আমরা কেন সে ভুলটি করতে যাব। আমরাও তার স্ত্রীর মতো চিনে ফেললাম আমাদের মন্টু স্যারকে। হ্যাঁ এইতো আমাদের মন্টু স্যারের লাশ। আমরা সবাই ধরাধরি করে নিয়ে এলাম আমাদের মন্টু স্যারকে। এরপর যথারীতি তার স্ত্রীর সিঁদুর মোছা এবং তাদের পারিবারিক চিতায় তাকে দাহ করা হলো। তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা আত্মীয় স্বজন আর আমরা তার শতশত ছাত্র ছাত্রী চোখের জলে ভাসিয়ে তাকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিলাম। স্কুলে শোক পালন করা হলো। দাহ করার পর দ্বিতীয় দিন গেল তৃতীয় দিন গেল চতুর্থ দিনে স্যার এসে এলাকায় উপস্থিত হলেন।

তিনি ছিলেন ভারতে। সেখান থেকে ঢাকা এসে ঐদিনের লঞ্চে ওঠার কথা বলে বাড়ীতে ফোন করেছিলেন। কিন্তু আবহাওয়া ভাল না থাকায় তিনি আর সেদিন লঞ্চে ওঠেননি। তবে লঞ্চে না ওঠার খবরটা বাড়ীতে না দিয়ে তিনি তিনদিন পরের লঞ্চে উঠে এলেন। তাহলে?
তাহলে আমরা কাকে পুড়লাম? হ্যাঁ তারও নাকি খবর পাওয়া গেছে বরিশাল অঞ্চলের একজন হিন্দু লোক ঠিক তার মতোই নাকি দেখতে। তিনি সেদিন লঞ্চে ছিলেন।
শুনেছি হিন্দুদের মৃত্যুর পর পুড়ে ফেললে তারা নাকি ভুত হয়ে যায়। ভুত হয়ে আবার ফিরে আসে সে কথা তখনো শুনিনি। কিন্তু সেটা শোনার প্রয়োজনও আর হলো না আমরা সবাই বাস্তবেই সেই ভুতকে দেখতে পেয়ে বেশ অবাক হলাম। তার স্ত্রী বা তার পরিবারের লোকজন তাকে কেমন ভাবে দেখলেন জানি না কিন্তু আমরা একটা নতুন অশরীরী এক মন্টু বাবুকে আমাদের স্কুলে আসতে দেখলাম। দেখলাম আমাদের সেই মন্টু বাবুর চেহারার সেই মন্টু বাবুই কিন্তু এই মন্টু বাবু কেমন যেন। নিয়মিত আর স্কুলে আসেন না। বেশীর ভাগ সময়ই ভারতে গিয়ে থাকেন। স্কুলের শিক্ষকদের সাথে ভাল সম্পর্ক নেই। ভাল সম্পর্ক নেই স্কুলের ছাত্রদের সাথেও। স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একটার পর একটা ঝামেলা হতে থাকে। মিমাংশা হয়না। মন্টু বাবু ভারত থেকে এলে মিমাংশা হবে।
এদিকে স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তিনি তেমন ভাবেন না। তাদের বেতন ভাতার সমস্যা হয়। তিনি তার সঠিক সমাধান করেন না। শিক্ষকদের সঠিক প্রমোশন হয়না। মন্টু বাবু ম্যানেজিং কমিটিতে শক্ত লোক আসতে দেননা। তিনি পকেট কমিটি করে স্কুল চালান ভারতে বসে বসে।
এর মধ্যে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু হয়। আমরা যেন শোক সাগরে তলিয়ে যাই। যদিও ততদিনে আমরা স্কুলের গন্ডি পার হয়ে কলেজে চলে আসি। কিন্তু জানি এই সহকারী প্রধান শিক্ষকই আসলে এতদিন স্কুলটাকে টিকিয়ে রেখেছেন। এখন কি হবে স্কুলের ? ভারতে বসে বসে কি স্কুল চালানো যায়?

স্কুলের একজন বিএসসি শিক্ষক আছেন আমরা তাকে নিয়ে আশার আলো দেখি। তিনি সহকারী প্রধান হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। কিন্তু একি! আমাদের বাবু মন্টু কুমার যে তাকে পাত্তাই দিলেননা। তিনি সহকারী প্রধান করেছেন বয়স্ক একজন শিক্ষককে। যার চাকরীর মেয়াদ নাকি আর ছয় মাস আছে। ছয় মাস পর কি হবে। এই স্কুলেই তার ভাগ্নেকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি, ছয় মাস পর সে যোগ্য হবেন সহকারী প্রধান হওয়ার তখন তাকেই সেই পোস্ট দেয়া হবে।
দীর্ঘদিন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আমাদের সেই বিএসসি শিক্ষকের মনেও জাগতে পারে প্রমোশনের আশা। সহকারী প্রধান হওয়ার অভিজ্ঞতা ছাড়া তিনি কখনো কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন না। তাছাড়া একজন জুনিয়র ছেলেকে তার উপরে তুলে দেয়া হবে। তাই রাগে দুঃখে আমাদের সেই বিএসসি সিনিয়র শিক্ষক চাকরী ছেড়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়ে সেখানে চলে গেলেন।

চাকরী ছেড়ে দিয়ে আসাটা তার জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এল যখন তিনি নতুন স্কুলের নামে বিল করার জন্য ঢাকা শিক্ষা অফিসে গেলেন। সরকার যে স্কুলে প্রধান শিক্ষক আছে সে স্কুলের নতুন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিল করছেননা। তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। তার এক তিন ছেলে মেয়ে সকলেই লেখা পড়া করছে। কেউ ইউনিভার্সিটি, কেউ কলেজে কেউ স্কুলে। সংসারের অনেক খরচ এখন। বেতন না পেলে কেমন করে চালাবেন এসব? তিনি ছুটে গেলেন মন্টু বাবুর কাছে। যিনি এখনো তার রিজাইন লেটার গ্রহণই করেননি। কারণ তার মতো একজন শিক্ষক স্কুলের জন্য খুবই প্রয়োজন। মন্টু বাবু তাকে ফিরিয়ে আনতে কয়েকজনকে দিয়ে বুঝিয়েছেন কয়েকবারই। কিন্তু যখন শুনলেন নতুন স্কুলে তার বিল হচ্ছেনা বাবু মন্টু কুমার দাস তখন তার অসহায় অবস্থাকে কাজে লাগালেন খুব ভালো ভাবেই। তিনি রিজাইন লেটারে সই করে পাঠিয়ে দিলেন শিক্ষা অফিসে। বিএসসি বিএড রফিজুল ইসলাম তার পায়ে ধরলেন। রাগ করে রিজাইন লেটার দেয়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন। ছেলে মেয়ে স্ত্রীদের নিয়ে মন্টু বাবুর কাছে এলেন। অবুঝ ছেলে মেয়েরা মন্টু বাবুর পা ধরে বসে বসে কাঁদলেন আধাঘন্টার মত। বললেন, আব্বা ভুল করে থাকলে অন্তত আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে ক্ষমা করে দিন। আমরাতো কোন অপরাদ করিনি। আমাদের মুখের দিকে একটু তাকান।
মন্টু বাবু তাদের মুখের দিকে তাকালেন না। তিনি সামনের দিকে তাকিয়ে সিনেমার ভিলেনদের মতো পা ঝাপটা মেরে বেড়িয়ে গেলেন স্কুল থেকে। রিজাইন লেটার একসেপ্ট হবার শেষ দিনটি পর্যন্ত চেষ্ঠা করে আমাদের রফিজুল স্যার কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। ঢাকায় এসে আমাদের মতো সাধারণ ছাত্রদের সামনে কেমন করে অসহায়ের মতো দাড়ালেন। আমরা বিভিন্ন সান্তনা বাক্য দিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্ট করলাম। মন্টু বাবু এখন তার পোস্টে কাউকে নিয়োগ দিচ্ছেন না। এই স্কুলে তিন চার বছর বিএসসি পোস্ট খালি থাকবে। তার ভাগ্নে বউ এবার সাইন্স থেকে ইন্টার পাশ করেছে। তাকে বিএসসিতে ভর্তি করানো হবে। বিএসসি পাশ করলেই সে হবেন এই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক।

হঠাৎ করে রফিজল স্যারের ভাগ্য খুলে গেল। তার বিল না হওয়া নতুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারা গেলেন। শিক্ষা অফিস থেকে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। পুরানো নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিল হয়ে গেল এবং তাকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হল। আমাদের স্কুলের বিএসসি বিএড রফিজুল স্যার দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি নিয়মিত বাড়ী থেকে গিয়েই সেই স্কুলের ক্লাস নিচ্ছেন। আমরা অনেকেই তাকে পরামর্শ দিলাম স্কুলের পাশে একটা বাসা বাড়া নিয়ে নিতে। তিনি আমাদের নাকোচ করে দিয়ে বললেন, মন্টু বাবু যদি ভারতে থেকে স্কুল চালাতে পারেন আমি কেন বাড়ীতে থেকে স্কুল চালাতে পারবোনা।

আমরা অনেকেই স্বস্থির নি:শ্বাস নিলাম। কিন্তু স্বস্থির থাকলেন না আমাদের মন্টু স্যার। এর দুই বছর পরে আমরা তার দ্বিতীয় মৃত্যুর খবরটি পেলাম। আমাদের রফিজুল স্যার খবরটি পেয়ে সবার আগে ছুঠে গেলেন হাসপাতালে। না আক্রোশে নয় মানবিকতার কারণেই। স্কুলের অনেক শিক্ষকেই খবরটি পেয়েছেন জাতীয় নির্বাচনের ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার পরে। পরের দিন স্যারের লাশ এনে স্কুল থেকে শেষ বিদায় দেয়া হলো। রফিজল স্যারও ছিলেন সারাটা সময় আমাদের পাশে পাশে লাশের কাছে কাছে। মন্টু বাবুর স্ত্রীও এলেন স্কুলে, বললেন, এই রফিজলের জন্যই আমার স্বামী আজ মারা গেছে। এই রফিজলের জন্যই আমার স্বামী গত দুইটা বছর একটুও শান্তি পায় নাই।
আমরা আমাদের স্কুলের দীর্ঘ দিনের প্রধান শিক্ষক বাবু মন্টু কুমার দাসের দ্বিতীয় মৃত্যুর পর তাকে তাদের পারিবারিক চিতায় দ্বিতীয় বারের মতো পুড়ে ভষ্ম করে দিলাম। আর হ্যাঁ, তার আগে তার স্ত্রীর কপালের সিঁদুরও দ্বিতীয় বারের মতো মুছতে হলো।

শেষ কথাঃ
আমাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
আমাদের বিএসসি বিএড রফিজল ইসলাম স্যার আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন। তিনি যে স্কুলে ভারপ্র্প্তা প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্ব পালন করছেন সে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা এলাকায় মিছিল করছে। তারা তাদের রফিজল স্যারকে তাদের স্কুল থেকে সরে যেতে দেবেন না।
আমাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করেছেন আরো কয়েকজন প্রার্থী। নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম হয়ে রফিজল স্যারই এখন প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। মন্টু বাবুর ভাগ্নে বউ এখনো বিএসসি পাশ করতে পারেননি তাই আমাদের স্থানীয় বিএসসি পাশ মেধাবী একটি ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরো দুতিনটি পদ খালি ছিল। রফিজল স্যার এলাকার আরও কয়েকজন ছেলে মেয়েকে সেই সব পদে নিয়ে নিয়েছেন। একটি পোস্ট আগামী বছর খানেকের মধ্যে খালী হয়ে যাবে, সেই পোস্টটির আশায় স্থানীয় আরো একটি ছেলে নিয়মিত স্কুলে ক্লাস নেয়।
এলাকায় কয়েকটি কোচিং সেন্টার ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন নেই বললেই চলে। কারণ স্কুলেই ভাল পড়াশুনা হচ্ছে। বিকেলে স্কুলের তত্ত্বাবধানে কোচিং চালু করা হয়েছে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:০৬
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×