আমরা নিশ্চয় জানি যে, লাইলাতুল ক্বদরে কুরআনে কারীম অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। [সূরা আল-ক্বদর, আয়াত নং ৩]। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেনঃ "যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদর -এ বিশ্বাস ও আশার সাথে কিয়াম করবে (অর্থাৎ নামাজ আদায় করবে) তার অতীতের সব অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হবে" [মুসলিম, হাদীস নং ৭৬০]
অনেকের ধারণা, রমজানের ২৭শে রাত্রিই মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদর। বিষয়টি সুন্নাহর আলোকে পুরোপুরি সঠিক বলে মনে হয় না। ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে সবচাইতে প্রণিধানযোগ্য কথা হল, লাইলাতুল ক্বদর প্রতি বছর নির্দিষ্ট কোন রাতেই হয়ে পাওয়া যাবে এমনটি নয়। এটি রমজানের শেষ দশকের রাত্রিসমূহের মধ্যে কোন এক রাতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে, বেজোড় রাতসমূহে। কোন বছর হয়তো ২১শে রাতে, কোন বছর হয়তো ২৩ শে রাতে, কোন বছর হয়তো ২৫শে রাতে আবার কোন বছর হয়তো ২৭শে রাতে অথবা ২৯শে রাতে। নির্দিষ্ট কোন তারিখেই লাইলাতূল ক্বদর হয় এরূপ ধারণা করলে এ বরতকময় রাতটি থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে হাদীসের আলোকে ২৭শে রাতে লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেনঃ " তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ কর" [বুখারী, হাদীস নং ২০২০]
তিনি আরও বলেনঃ "আমাকে লাইলাতুল ক্বদর দেখানো হয়েছে অত:পর আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে অথবা আমি তা ভুলে গেছি সূতরাং তোমরা তা রমজানের শেষ দশকের বজোড় রাতসমূহে তালাশ করা... [বুখারী ও মুসলিম]
অতএব, মহিমান্বিত লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার জন্য রমজানের শেষ দশকে, বিশেষ করে বেজোড় রাতসমূহে ইবাদত-বন্দেগী করা উচিত। নির্দিষ্ট কোন তারিখকে লাইলাতুল ক্বদর মনে করা উচিত নয়।
আল্লাহ তা'আলাই সবচে' বেশী জানেন।
- Mohammad Mizanur Rahman
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৮