আমার সহকারী আরিফকে ভাবছি একটা রামধোলাই দিবো। ব্যাটা ফাজিলের ফাজিল। তার অপরাধ তেমন গুরুতর না কিন্তু এইসব বদগুলোকে শুরুতেই টাইটের উপরে না রাখলে কোন ফাঁকে আমাকে চিকনে দৌড়ের উপরে রাখবে,যখন তখন আমার ইমিডিয়েট বসের কাছে আমারই অনুপস্থিতে গিয়ে কান ভারী করবে ঠিক তো নেই। আশেপাশে অফিসে তো টিকটিকির অভাব নেই। আসলে সব কয়টাকে আমার টিকটিকি রূপি গিরগিটি মনে হয়। এই দুই প্রজাতির সংকর রূপটা কী হতে পারে এখন এসব ভাবার সময় নেই। যখনই এই ফাজিলটা টের পায় কাজের চাপ বাড়বে কিংবা কোনও কনফারেন্সের আগের দিন শুরু হয়ে যায় তার নানা রকম টালবাহানা। মুখ চোখ কেমন শুকনো করে রাখে সকালের শুরুতেই। আরে ব্যাটা অফিসে কি আসি তোর কালো চেহারা দেখার জন্য? এমনিতেও ঘরে যে আমার বৌ আমাকে খুব বিনোদিত করে রাখে সেরকম হলেও না হয় তোর কালো মুখ হজম করা যেতো।
- কি আরিফ,তোমার চেহারাটা এমন দেখা যায় কেন? কাজের লোড বেশি হয়ে গেলো নাকি?
- না, না স্যার। কী যে বলেন! অফিস তো কাজেরই জায়গা। রাতে ঘুমোতে একটু দেরী হয়েছিলো, এজন্য হয়তো এমন লাগছে!
- হুম
এই ছেলের এই এক সমস্যা কাজের সময় কোনো ফাইল সে হাজির করতে পারে না। আরে শালার পো তুই যেহেতু জানোসই তোর ফাইলের ঠিক ঠিকানা নাই, পিসিতে সেভ কইরা রাখ। তা না কইরা পার্ট নিয়া বলস -
স্যার, সব আমার মাথায় সেভ করা আছে।
ফাজিলের ফাজিল একটা। তোর মাথায় সেভ করা থাকলে আমার কী। তোর তো কয়দিন পর পর মাথায় ব্যথা হয়। কী যেন বলে - মাইগ্রেন, সাইনাসের ব্যথা অমুক তমুক। তোর ব্রেইন টা যদি ড্যামেজ হয় আমি আমার অফিসের ডাটা কীভাবে পাবো ভাবছিস ব্যাটা বেক্কল? আমিও কী কম ত্যান্দর! তাই তো তোরে কোনো কাজ শিখাই না। ব্যাটা এটা ঠিকই টের পেয়েছে। প্রায়ই দেখি আমাদের জালাল সাহেবের সাথে গুজুর গুজুর ফুসুর ফাসুর করে। জালাল সাহেব তোর বাপের বয়সী আর তার সাথে গিয়ে তুই করস গাল গপ্পো। জালাল সাহেব তো ঘাগু লোক, সরাসরি তো আর আমাকে আর বলেন না কিন্তু ঠারে ঠোরে ঠিকই বলতে ছাড়েন না -
আরিফের তো দেখা যায় কাজে কর্মে একেবারেই মন নেই। এরে বেশি করে কাজ কর্ম দিয়ে বসাইয়া রাখবেন। তাহলে তো এদিক সেদিক মনোযোগ কম দিবে। বুঝেন না এরা অল্প বয়সী পোলাপাইন, সব সময় তো ফাঁকি দিতেই চাইবে! বলে জালাল সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হাসেন।
এই জালাল সাহেবটাও এক বুড়া ভাম। ব্যাটা তুই আমারে চোখ টিপস কেন? আমারে কী রিসিপশনিস্ট ছন্দা মনে করছস?পারলে তো গিয়া অফিসের মধ্যেই তুই ছন্দারে কোলে নিয়া বইসা থাকস। এতো কিসের রে তোর বাইরের বিভিন্ন পার্টির কাছে ফোন দিতে হয় আর ঐ অজুহাতে ব্যাটা ছন্দার লগে ফোনে গ্যাজাস দিনের মধ্যে দশবার।
" ছন্দা, মোতালেব মনোয়ারাকে একটা লাইন ধরিয়ে দাও তো!
টি এন্ড সারোয়ার থেকে আমার একটা পার্সেল আসার কথা, এসেছিলো ছন্দা?
আরে তুমি কাশছ কেন, ঠাণ্ডা লেগেছে নাকি? বাসায় গিয়ে মেন্থলের ভাপ নিও। না হলে লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করো।
এম ডি স্যার খুঁজলে বলো,আমি ব্যাংকে গিয়েছি। এলসি টা নিয়ে কথা বলতে! "
এমনিতে সে কথা বলে চাষাভুষার মতো। ছন্দার সাথে কথা বলতে গেলে যেন সুললিত ভাষা ঝরে ঝরে পড়ে। ব্যাটা ভণ্ড! কোম্পানির পয়সা পাস মোবাইলে বিলের জন্য,সেটা দিয়েই তোর পার্টিকে ব্যাটা ফোন দে। মোবাইলের টাকা দিয়া বৌয়ের সাথে পিরিত কইরাই শেষ করস। তোরা জামাই বৌ কি ঘরে কথা বলস না নাকি? বদমাইশ লোকজন দিয়া কোম্পানি চালাইলে লাল বাত্তি জ্বলতে সময় লাগবো না। দেখি এর মাঝেই এমডি স্যারের কানে একদিন সুযোগ বুঝে কথাটা ওঠাতে হবে। আমার নিজের কথাই বলি না কেন,এতো কথা বলতে আমার আবার ভালো লাগে না। আর এরা যে কীভাবে এতো কথা বলে। আমার বৌ কে সোজা বলে দিয়েছি-
আমি ঘরে ঢুকার পর কোনোরকম হাউকাউ করবা না। নীরবে কাজ সারবা। প্রয়োজনে ইশারায় কথা বলবা।
কিন্তু কী কপাল আমার,বৌ কথা বলা কমালেও আমার যমজ মেয়ে দুইটা হয়েছে পুরা বিখাউজ। সারাটা রাত জ্বালিয়ে খায়। বাধ্য হয়েই এখন বৌ- বাচ্চার সাথে এক ঘরে থাকতে পারি না। রাত একটা দুইটার সময়েও বৌয়ের ঘরে উঁকি দিলে দেখা যায় মেয়ে দুইটার একটা না একটা সজাগ। বৌয়ের সাথে চোখাচোখি হলে আবার চোখ টিপে,মুখ টিপে হাসে। বদমায়েশ মেয়েলোক একটা, মেয়ে দুইটার কারণে আমার সাথে ভালোই ফাঁকিবাজি শুরু করেছে ইদানীং।
আজকে অফিসে একটু সকাল সকালই এসেছি। তবে আজকে বলে কথা না,আমি অন্যান্য দিনও সবার আগে আসি। বলা তো যায় না কোনদিন আবার আমি আসার আগেই এমডি স্যার চলে আসবেন কিংবা চেয়ারম্যান স্যার। যদিও নিন্দুকেরা বলে -
ঘরে তো মতিন সাহেবের শান্তি নাই। ঘুম থেকে উঠে বাথরুম না সেরেই বোধহয় চলে আসেন।
অফিসে তো আমার পেছনে কথা বলার লোকের অভাব নেই! আরে বাবা তোরা আমার ব্যাপারে এতো নাক গলাস কেন? আমার পদের সাফল্যে এরা ঈর্ষা করে কিনা কে জানে! আজকাল তো কেউ কারো ভালো দেখতেই পারে না।
সকাল দশটা বেজে যাবার পরেও আমার সহকারীটার আসার নাম নেই। অফিসের হর্তাকর্তা গোছের হলে কবে এই ছেলেটাকে বিদায় করে দিতাম! এর আগের দুইটা সহকারীর ব্যাপারেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বলে তারাও ফাঁকিবাজি করে পার পায়নি। যথাযথ শাস্তি দিয়ে একেবারে বিদায় করেছি অফিস থেকে। আরে বাবা অফিসের পয়সাটা হালাল করে নে,এতো ফাঁকিবাজি করলে হবে।কাজ শিখবি তাহলে কীভাবে। কাজের মাঝে তোরা করস চৌদ্দটা ভুল, পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট একটা পেয়ে তারা ভাবে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হয়ে গেছে একেকজন। কোনো কাজ করতে দিয়েও তো শান্তি নাই, কখন কোন ভুল করে বসে থাকে ঠিক আছে নাকি? এই সহকারী নামের রামছাগলগুলোকে যে কেন অফিসে পোষা হয় কে জানে! হাতে অনেক কাজ জমে আছে। কখন যে শেষ করবো বুঝতে পারছি না। যত রাগ এখন ঐ আরিফ এর উপরেই হচ্ছে। এমন না যে ওর উপরে কোনো কাজের ভার দিয়েছিলাম। তবুও এটাই তো চিরায়িত নিয়ম দুর্বলের উপরে অত্যাচার করেই সবচেয়ে আরাম বেশি।
এমডি স্যার ডাকে আপনারে।
স্যার কখন আসছে?
আপনে তখন টয়লেট গেছিলেন।
কয়টার সময় স্যার আসছে সেইটা বলতে কি তোর মুখ ব্যথা করে?
ঘড়ির টাইম চিনি না
শালার মূর্খ গুলিরে অফিসে রাখছে। একেকটা ফাঁকিবাজ এই পিয়নগুলি। ঘড়ির টাইম দেখতে পারে না আবার একেকজনকে চার হাজার, পাঁচ হাজার টাকা বেতন দিয়ে অফিসে রেখেছে। যত্তসব! লাত্থি মেরে বের করে দেয়া উচিত এদেরকে অফিস থেকে। সময়মত চা চাইলে পাওয়া যায় না, পানির বোতলে পানি থাকে না। একেকটা নবাবজাদার মতো ঘুরে বেড়ায়। বেয়াদবের দলগুলি।
মতিন সাহেব, ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলগুলোর কী অবস্থা? কদিন পরেই তো অডিটের লোক আসবে। সব ফাইল রেডি করেছেন?
এমডি স্যারের কথায় আমার পিত্তি জ্বলে যাবার দশা। সারাদিন রাত কাজ করলেও তো উনাদের আবার মন পাওয়া যায় না। দশটা কাজের মাঝে একটা কাজ না করলে ঘুরেফিরে সে না করা কাজের কথাই উনি যে কেন জিজ্ঞেস করেন! যত্তসব যন্ত্রণা। সব কাজ যেন আমিই করবো!
ইয়ে মানে স্যার, এখনো তিনটা ফাইলের কাজ বাকি। ধরতে পারিনি। একা মানুষ, সব তো আর সামলে উঠতে পারি না!
- একা মানে ?
আমার কথা শুনে এমডি স্যার যেন ভীন গ্রহে এসে পড়েছেন এমন একটা ভাব করেন। আপনার কাজের লোড কমাবার জন্য গত বছরই তো আপনাকে একজন সহকারী দেয়া হলো। কী যেন নতুন ছেলেটার নাম? তো সে ছেলেটা কী আপনাকে সাহায্য করছে না কাজে?
- কী যে বলেন না স্যার! এরা নতুন মানুষ। গত বছরই তো পাশ করে বের হলো। কাজের কিছু বোঝে নাকি? একটা বললে আরেকটা বোঝে! এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমি স্যারকে বোঝাতে চাই আসলেই আমি সব কাজ একাই করছি। সামনে ইনক্রিমেন্ট, ক্রেডিট নেয়ার এখনই মোক্ষম সময়!
- দেখুন মতিন সাহেব, সব কাজই যদি নিজের আয়ত্তে রাখেন নতুনরা শিখবে কি! স্যাটিসফেকশন একটা বড় ব্যাপার। যতদূর জানি আপনার খুঁতখুঁত স্বভাবের কারণেই আপনার ডিপার্টমেন্টে লোক থাকে না। দুই দিন সময় দিলাম কাজ রেডি করে দেখাবেন। এখন আপনি আসুন।
স্যারের কথা শুনে সকালেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। আরে স্যার আপনি আর অফিসে বসেন কতক্ষণ, সারাদিন আমি থাকি অফিসে। কতো গাধা গরুকে নিয়ে যে কাজ করতে হয় সে আমিই জানি। হেহ্! এই কথা গুলো যদি বলতে পারতাম। সেই না বলতে পারার জেদ দাঁতে দাঁত ঘসে জোরে জোরে পান চিবাবার মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখলাম আপাতত। আসুক আজকে আরিফ! আজকেই ওর ফাঁকিবাজি বন্ধ করছি। চোখের সামনে পিয়নটাকে অকারণেই ঘোরাঘুরি করতে দেখে মেজাজটা আরও খারাপ হয়ে গেলো।
ঐ মিয়া সাইফুল এদিকে আসো। সেই কখন বইলা গেছি কাগজ গুলি ফটোকপি করতে, করছিলা?
জালাল স্যারের গেস্ট আইছিলো, তাগো লাইগ্যা চা বানাইতাছিলাম।
অফিসে কি তুমি ছাড়া আর কোনও পিয়ন নাই? না কি তারা ঘুমায়? আমার কথায় এই পিয়নেরও দেখি ভাবান্তর হয় না। আমার আরও রাগ উঠে যায়। বেয়াদবটাকে ইচ্ছে করছে সজোরে চড় কশাই। হন্তদন্ত হয়ে দেখি আরিফও ঢোকে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে এগারোটা। এমডি স্যারের জেদটা ইচ্ছে করছে এর উপরেই ঢালি পুরোটা। ইশ অফিসে ঢুকেই সে কী ভাব। নবাবপুত্তুর, চেয়ারে বসার আগেই ফোনে চায়ের অর্ডার দেয়। দাঁড়া তোর চা খাওয়া বের করছি। আরে তুই এমনিতেই দেরী করে আসছিস অফিসে, আগে এসে আমার সাথে দেখা কর। এমন ভাব করছে যেন আমাকে চোখেই দেখছে না। হারামি একটা!
- কী ব্যাপার আরিফ, অফিসে এতো দেরী করে আসবা আমাকে জানাবার প্রয়োজন মনে করো না নাকি?
- স্যার আপনাকে তো ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু আপনার ফোনটা ওয়েটিং ছিলো আর …
- এর মানে তো এই না সারা সকাল ফোন ওয়েটিং ছিলো ! একটু দায়িত্ব নিতে শিখো। কাজ কর্ম তো কিছুই করো না সারাদিন অফিসে বইসা বইসা চুল ফালাও!!! যত্তসব !! ফালতু পোলা পাইন। আরিফকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ওর উপর একচোট ঝেড়ে নেই। এমডি স্যারের কিছুক্ষণ আগের খাওয়া ঝাড়িটা ওর উপরে চালাবার মোক্ষম একটা সুযোগ হাতছাড়া করলাম না।
- স্যার আমার ছেলেটার আজ স্কুলে পরীক্ষা ছিলো তাই…
আমি আবারও আরিফের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলি – ঐ সব বালছাল ঘর সংসার অফিসে নিয়া আইসো না, বুঝলা? আমি কেন জানি আজ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। গলার স্বর বেশ উঁচুতে উঠে গেছে আমার ইতিমধ্যেই। কিন্তু আরিফও কম যায় না, যে ছেলে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও মুখ বুঝে সহ্য করে গেছে এ যাবত সব কিছুই, সেও আজ কেমন মুখরা হয়ে ওঠে।
- শোনেন স্যার, চুল ফালানোও একটা কাজ। আপনার সাথে দুই বছর থেকে আমি সে কাজটাও করার সুযোগ পাইনি!
- তোমার যোগ্যতা আছে নাকি যে করবা? আমিও বেশ ডাঁট নিয়ে বলি। অন্য জায়গায় হলে কবে তোমার মতো অকর্মাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতো!
- অফিসটা আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। আর আজ থেকে করলামও না আপনার সাথে কাজ! আপনার মতো একটা প্যানপ্যান করা মানুষকে যে এতদিন সহ্য করেছি এটাই আপনার সৌভাগ্য! বলেই আরিফ এমডি স্যারের রুমের দিকে হাঁটা ধরেও আবার ঘুরে দাঁড়ায় আমার দিকে। অদ্ভুত একটা ঘৃণা মেশানো কণ্ঠে বলে-
নিজেকে আপনি সবসময় খুব পারফেকশনিস্ট ভাবেন যা একেবারেই ভুল। মাঝে মাঝে পরের মুখে ঝাল না খেলে আসলে বুঝবেন না আপনি মানুষটা কেমন! একটা শ্লেষের হাসি হেসে ও আমার সামনে থেকে চলে যায়।
আরিফের স্পর্ধা দেখে অবাক হলেও আমার ভেতর থেকে কোনোরকম উচ্চবাচ্য আর আসে না। নিথর লাগে দেহটা। চেয়ারে চুপচাপ বসে থাকি। এরই মাঝে অফিসের জালাল সাহেব, ইকবাল সাহেব, এডমিনের সিদ্দীক হাসান সবাইই কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জের দেখেছেন। আমাদের শোরগোল শুনে মনে হয় ভীতু ভীতু চেহারা নিয়ে ছন্দাও একবার উঁকি দিয়ে গেছে এই রুমে। এরই মাঝে বেশ কয়েকবার আমার মোবাইলটা বেজেছে থেমে থেমে। এই এখন আবার বাজছে। টেবিল থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি আমার বৌয়ের ফোন। ধরতেই শুনি উদ্বিগ্ন গলা –
আরে ফোনটা ধরতাছ না ক্যান? তোমার বড় মাইয়া গরম ইস্ত্রী ধরতে গিয়া হাত পুড়াইয়া ফেলছে। তাড়াতাড়ি বাসায় আসো…
সংসারের এমন জরুরী খবর শুনেও আমার পা যেন এই মুহূর্তে চলতে চায় না। বড্ড ভারী ঠেকে। আরিফকে বলা কিছুক্ষণ আগের কটূক্তি গুলো আমারই কানে ফিরে ফিরে বাজতে থাকে।
সমাপ্ত
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮