করোনার আগে আগে বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। তখন অনেক ঘুরাঘুরি করেছি। তার মধ্যে সেরা প্রাপ্তি ছিলো সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া। আমি আগে কখনই সুন্দরবন যাইনি, তাই আমি খুব প্রান ভরে সুন্দরবন ট্যুর উপভোগ করতে পেরেছি। সাধারন টুরিস্ট স্পট এড়িয়ে ছোট লঞ্চে করে আমাদের সারেং নানা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো। ট্যুরের পুরোটা সময় ধরে সুন্দরবনের ওই লঞ্চেই রাতেও ছিলাম। আধুনিক পৃথিবীর একদম বাইরে আমরা আর প্রকৃতি।
গহীন বনে খুব সকালে বনমোরগদের ডানা জটপটিয়ে লাফ নিয়ে ডাকা দেখার মত। একবার সামনে দিয়ে ডাক দেয় তো আরেক বার পিছন দিয়ে আরেকটা ডাক দিয়ে উঠে। হালকা কুয়াশার মাঝে ছোট ছোট খালের মাঝখান দিয়ে ভোরবেলার পাখপাখালির ডাকের সাথে সূর্যাদোয় দেখাটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।বাঘের ডাক শুনিছি,আত্মা জাস্ট লাফ দিয়ে প্রায় বের হয়ে গিয়েছিলো। নদী দিয়ে যাওয়া-আসার সময় অনেক শুশুক(রিভার ডলফিন) আর কুমির দেখেছি। সাথে দেখেছি অনেক স্বাস্থ্যবান বন্যশুকর। মানুষকে একদম ভয় পায়না।বনের ফাঁক দিয়ে চিত্রল হরিনের দল পাতা খেতে খেতে মাথা তুলে নদীর মাঝ দিয়ে যাওয়া আমাদের লঞ্চ দেখছিলো প্রায়ই।
নিজের প্রিয় ক্যমেরা আর লেন্স নিয়ে যেতে পারিনি সুন্দরবনে নিজের গাধামির জন্যে। অন্য এক বেশ পুরানো ক্যামেরা দিয়ে ছবিগুলো তুলতে হয়েছে।
১।
পরিত্যক্ত নৌকা, একদা কারো না কারো জীবন আর জীবিকার সাথে মিশে ছিলো। সুন্দরবন
২।
আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত কর্মঠ মানুষের ছবি। লঞ্চ থেকে তোলা জুম করে। খুলনা।
৩।
সদ্য ভোর হওয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে হেটে যাবার সময় দিয়ে দেখি এই কামার মাত্রই তার কামারশালা খুলেছে।পটুয়াখালী
৪।
গোলপাতা বাহী নৌকা। সুন্দরবন
৫।
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকারী ছোট নৌকা। এই খোলা নৌকাতেই চুলা জ্বালিয়ে ভাত রান্না করছিলো। মানুষের জীবন বড় বিচিত্র। সুন্দরবন।
৬।
একদিন খুব ভোরে নদীর মাঝে আমি ,পাখ-পাখালি আর সূর্যোদয় । সুন্দরবন
৭।
ভোরে এক নাম নাজানা গ্রামের ভিতর দিয়ে হেটে যাবার সময় ফুলগুলো এখনো চোখে আমার লেগে আছে। সুন্দরবন।
৮।
সুন্দরবনের প্রধান নদীর সাথে সাথে অনেক ছোট ছোট শাখা নদী/খাল রয়েছে। কি যে সুনসান আর মনজাগানিয়া পাখির ডাক!। সুন্দরবন
৯।
ভাটার সময় সুন্দরবনের ভিতরে এক খাল।সুন্দরবন
১০।
কটকার লঞ্চ টার্মিনাল। অনেক বানর আছে,সাথে বাঘের এলাকা।
১১।
ভর দুপুরে এই বড় পুকুরটাকে এক সবুজ মরূদ্যান লেগেছিলো আমার ক্লান্ত চোখে। করমজল, খুলনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭