অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘ সাত বছর পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ করেছেন এবং তিনি ভ্রমণের পরে যা দেখেছেন বা পার্বত্য সমস্যা নিয়ে তিনি যা মনে করেন তা নিয়ে তিনি স্বনামধন্য দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় একটি ছোটো আকারের প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটি প্রথম আলো পত্রিকার ০৯ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় মতামত বিভাগ বা উপসম্পাদকীয় কলামে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রবন্ধটিতে তিনি তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত বর্ণনা করেননি। তবে বলা যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়েই তিনি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন এবং নিজস্ব একটি সিদ্ধান্ত বা সমস্যা সমাধানমূলক সারসংক্ষেপ টানতে চেষ্টা করেছেন। তিনি মূলত ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমান প্রেক্ষাপটের কিছুটা তুলনা করে তার মতামত প্রদান করেছেন। তার লেখা থেকেই আমি কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
খাগড়াছড়ি জেলা থেকে রাঙামাটি হয়ে কাপ্তাই উপজেলার বাঙালহালিয়া ভেদ করে যে রাস্তা রাঙামাটিতে গিয়েছে তার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে তিনি লিখেছেন-
রাস্তাটির নির্মাণকাজ নব্বইয়ের দশকে শেষ হয়েছিল, কিন্তু তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেটা খুব ব্যবহার করা হতো না। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে যায়। ফলে এখন এ রাস্তা কার্যকর বলে বিবেচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার সর্বসাধারণের এখন চট্টগ্রাম ঘুরে নয়, সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।
অর্থাৎ, পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের একটি আপাত শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে এলাকায় অর্থনৈতিক বা যেকোন প্রকারের উন্নয় বলি না কেন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি লিখেছেন-
১৯৯০-৯২-এ কর্তব্যরত ছিলাম বান্দরবান সেনা রিজিয়নে, কমান্ডার হিসেবে। ওই সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলছিল। পার্বত্য চুক্তি অন্তত সে পরিস্থিতির ইতি টেনেছে।
তিনি লিখেছেন-
যোগাযোগ অবকাঠামোর সঙ্গে বাজারব্যবস্থার যেমন উন্নতি হয়েছে, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণের জেলা বান্দরবানে পর্যটনের যে দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে, তা অচিন্তনীয় ছিল। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে যে কয়েকটি জায়গা পর্যটনের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজ সেসব জায়গায় প্রতিদিন শত শত লোকের পদচারণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদের সমাগম। পর্যটনকে কেন্দ্র করে আশপাশের উপজাতীয় গ্রামগুলোতে হস্তশিল্প গড়ে উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটনের প্রধান কেন্দ্র। এরই প্রেক্ষাপটে স্থানীয়ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আমাকে লেখকের বা প্রবন্ধকারের উদ্ধৃতি একটু বেশি করেই দিতে হচ্ছে তার কারণ এতে তার লেখায় তিনি যা বলেছেন বা বলতে চেয়েছেন তা বেশি মাত্রায় স্পষ্ট হবে। এছাড়া আসলে তিনি যা বলেছেন তা-ই যেহেতু আলোচনার মুখ্য বিষয় সেহেতু তার আলোচনার বিষয়বস্তু আগে পাঠকদের জানা দরকার বলেই প্রতীয়মান। সে বিষয় বাদে আমার যা বক্তব্য বা যা মত তা সাধারণভাবে বিষয়কে, মাথাটি মাটির দিকে বা মাধ্যাকর্ষনের উল্টো দিকে না রেখে তা আকাশের দিকে বা যেভাবে থাকা স্বাভাবিক সেদিকে স্থাপন করার প্রচেষ্টাটাই মূখ্যকাজ হিসেবে বিবেচিত করছি মাত্র।
যা-ই হোক, এরপর তিনি তার লেখায় পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নের একটি চিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার প্রাক্কালে তিনি তার প্রবন্ধের প্রধান বিষয়বস্তুকে সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। তিনি লিখেছেন-
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নিয়ে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের বিরোধিতা ছিল।
তবে কেন ও কী কারণে এই দুই রাজনৈতিক দল ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন নিয়ে ‘বিরোধিতা’ করেছিল তা নিয়ে তিনি আলোকপাত করেননি। সম্ভবত তাতে তার আলোচনার মোড় তিনি যেদিকে নিতে চাচ্ছেন তা ফিরে যাবে বা তার গতি অন্যদিকে যাবে বলে তিনি সে আলোচনায় যাননি!
এখানে বলা দরকার উপস্থানার মাধ্যমে তিনি দুই পার্বত্য রাজনৈতিক দলকে ‘শিক্ষার উন্নয়ন বিরোধী’ হিসেবে চিত্রিত করার সচেতন প্রয়াস না করলেও বক্তব্যের অন্তঃধ্বনি বা লুক্কায়িত থাকা বক্তব্যটি যে সেটিরই আভাস দেয় তা যারা পাঠক তারা সেভাবেই বুঝবেন বলেই বোধে আসে বলে প্রতীয়মান।
এখানে বলা দরকার যে, দুই রাজনৈতিক দল ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নয় বরং মেডিক্যাল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করেছে। এবং এই বিরোধিতার অন্যতম কারণ হলো, পার্বত্য জুম্ম জনগণের ‘রাজনৈতিক অধিকার’কে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সরকারী যে ‘অপচেষ্টা’ তা তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালানো। সরকার, তা আওয়ামীলীগ বা বিএনপি বা মহাজোট বা ১৪ দলীয় জোট বা ২০ দলীয় জোট যারাই হোক না কেন, তারা যে সবসময় একই তালে পার্বত্য জুম্ম জনগণকে রাজনৈতিকভাবে ক্রমাগত দুর্বলতর করারই চেষ্টা করে যাচ্ছে সেদিকটি নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে পার্বত্য জুম্ম জনগণকে ‘রাজা বাদশার হালে’ রাখলেও বা তাদের ‘সোনায় মুড়িয়ে দিলেও’ তারা যে পিঞ্জরাবদ্ধ ‘সোনার পাখি’ মাত্র তা তো বলা বাহুল্যমাত্র! সরকার একদিকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে অকার্যকর করে রেখেছে, কায়েম করেছে স্বার্থবাজ ধান্ধাবাজদের রাজত্ব। অন্যদিকে চুক্তি বাস্তবায়নের ’মেগা সিরিয়াল’ প্রদর্শন করে যাচ্ছে ক্রমাগত।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার বেহাল দশার পেছনে সরকারের জুম্ম ধ্বংসের নীতি যে কার্যকর রাখা হয়েছে তা নিয়ে আলাদাভাবে লেখা দরকার বলে মনেকরি।এখানে সে আলোচনা বাড়তি প্রসঙ্গ যোগ করবে মাত্র।
তবে এরপর ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন অন্য আলোচনার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিকভাবে ‘ইউপিডিএফ’এর নামটি এনেছেন। এবং আমার মূল আলোচনা আমি সেখানেই নিবদ্ধ করার চেষ্টা করবো।
তিনি ইউপিডিএফ বা ইউনাটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নিয়ে যা যা বলেছেন তা আমি তুলে ধরছি।
১. অতীতে যেমন ছিল, বর্তমানে সমগ্র দেশের তুলনায় সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। তবে ইউপিডিএফ নামে যে গোষ্ঠীটি পার্বত্য চুক্তির বিরোধী, তাদের তৎপরতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বলপূর্বক চাঁদা তোলার ঘটনা ঘটছে। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবন অতিষ্ঠ।
২. পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি অতীতের তুলনায় যথেষ্ট স্থিতিশীল। তবে নতুন উপসর্গ ইউপিডিএফের নামে সংঘটিত সশস্ত্র তৎপরতাকে রাজনৈতিক ও স্থানীয়ভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হতে পারে।
ইউপিডিএফ সম্পর্কে তিনি এতকথা বলার পরে তার প্রবন্ধের সমাপ্তি রেখায় ‘আশার বাণী’ নিশ্চয়ই টেনেছেন! তিনি বলছেন- উসকানিমূলক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড নয়, সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্যের মাধ্যমে অনেক জটিল বিষয়ের সুরাহা সম্ভব।
তবে তার এই ইউপিডিএফ নামা’র মাধ্যমে তিনি ‘সম্প্রীত ও সৌহার্দ্য’ কতটা দেখিয়েছেন এবং ‘উসকানিমূলক বক্তব্য বা কর্মকান্ড’ই বা কতটা না বলেছেন তা নিয়ে আমরা বিতর্কে যেতে পারি বটে!
ইউপিডিএফ বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য নিয়ে আলোচনার আগে আমি তার আগে করা উদ্ধৃতি বিষয়ে আগে দুয়েকটি কথা বলি। তবে বলা দরকার যে, আমার এই লেখা যেহেতু কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হবার সম্ভাবনা নেই এবং সাধারণভাবে এই ধরণের লেখা যেহেতু মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় না সেহেতু আমি সাধারণভাবে একটু রিল্যাক্স মুডে লেখা লিখে থাকি। রিল্যাক্স মুডে মানে হলো, লেখাটি এতটা ’স্ট্যান্ডার্ড’ বা মানসম্পন্ন না করলেও চলে!
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন তার লেখার প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে গুণগান করেছেন। কিন্তু আদতেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে যদি পার্বত্য সমস্যার সমাধান হয়েছে এই সিদ্ধান্তে তিনি পৌঁছাতে চান বা তাঁর আগেও সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান যেমন পার্বত্য সমস্যাকে অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েও সম্ভব করে উঠতে পারেননি, সেই একই কথার চর্বিতচর্বন করতে চান তবে তাতে আমার বা আমাদের বলার মতো তেমন থাকে না বলেই মনেহয়!
সুতরাং, এই পুরোনো কিন্তু ছাঁচে ঢালা বক্তব্যে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের যে টিকিটিও নাগাল পাওয়া যাবে না তা তিনি জেনেশুনে যদি বলে থাকেন ভিন্ন কথা! কারণ, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি করে জেএসএসএর অস্ত্রসমর্পন করানোর শাসকশ্রেনীর মতলব বা উদ্দেশ্য ছিলই তো, জুম্ম জনতার রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের পাটাতনকে সরিয়ে নেয়া!
কিন্তু, সরকার প্রধান যখন বলেন মিলিটারির মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, তখন পুরোনো সেই ’মিলিটারির মাধ্যমে’ দমনপীড়ন চালিয়ে এবং ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ করে বা ‘উন্নয়ন বোর্ড’ বানিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ’শান্তি’ স্থাপন করার দাওয়াই যখন কোনো অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা প্রদান করেন তখন আমাদের একটু অবাক বিস্মিত হতে হয় বৈকি!
এবার আসি ইউপিডিএফ প্রসঙ্গে। তিনি সম্ভবত বলেছেন, ইউপিডিএফ বছরে ৫০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে থাকে। তবে কোন সূত্র থেকে তিনি একথা বলেছেন তা তিনি উল্লেখ করেননি। এবং একটি সক্রিয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন বিষয়ে একটি প্রগতিশীল দৈনিকে এধরণের সূত্র উল্লেখ বিহীন তথ্য বা ডাটা থাকলেও তাতে পত্রিকাটির ‘সম্পাদকীয় নীতিমালা’র লাভক্ষতি বা নীতির গতি পরিমাপরে ক্ষেত্রে কোনো হেরফের হয় না বা হবে না বলাই যায়! কেননা, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক চেতনাকে দমানোর নীতি যখন ‘প্রায়োরিটি’র বিষয় তখন তাতে ঘি ঢালাই তো মূলধারার গণমাধ্যমের কর্তব্য করণীয় হিসেবে নির্ধারিত!
যেকোনো প্রকারে হোক পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক চেতনাকে যখন রূদ্ধ করার বা দমন করার নীতি সামনে এসে হাজির হয় তখন কে কি করেছে বা করছে বা কোন সংগঠন কী করছে না করছে তা মুখ্য নয়, বরং, বাঘ ও হরিণের সেই গল্পটির ছড়ায় পানি পান করার মতো বাঘকে যে যুক্তিসম্পন্ন না হলেও বা ছলে না হলেও বলে বা শক্তি প্রদর্শন করে যে হরিণকে ’ভক্ষণ’ করতে হবে তা তো উদাহরণ হিসেবেই রয়েছে!
তবে আশার কথা(!) হলো, ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন ‘নতুন উপসর্গ ইউপিডিএফের নামে সংঘটিত সশস্ত্র তৎপরতাকে(বোল্ড মন্তব্য প্রদানকারী লেখকের) রাজনৈতিক ও স্থানীয়ভাবে মোকাবিলা’ করার কথা বলেছেন!
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেনের লেখাটি নিয়ে আলোচনা করতে হল এ কারণে যে, তিনি সাধারণভাবে একজন ’ক্লিন ইমেজের’ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে এবং একজন সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসেবেও দেশে পরিচিত।সুতরাং তিনি যখন কোনো মন্তব্য বা মত প্রকাশ করেন তখন তার গুরুত্ব থাকা প্রয়োজন এবং দেয়া প্রয়োজন। সেনাবাহিনীতে কাজ করার কারণে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে যে চিন্তা ভাবনা করেন তা যে দেশের সেনাবাহিনীতে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক ধিকাংশ জনের সাথে মিলে থাকবে তাও নিশ্চয় বিবেচনায় নিতে হয়। তার লেখা নিশ্চয়ই আরো অনেকে পড়েছেন এবং তাতে বর্তমান সমস্যা কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা নিয়ে ‘ক্লু’ যে অনেকে পাবেন তা বলা যায়। এছাড়া আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, বর্তমান সরকার বা এর আগের ও কোনো সরকারই ‘জাতীয় নিরাপত্ত নীতি’ নিয়ে কোনো ধরণের ‘নীতিমালা’ নির্ধারণ করেনি। তাতে দেখা যায়, ব্যক্তিবিশেষের মতামত বা চিন্তাধারার প্রাধান্য সরকারের নীতিমালা ঠিক করতে অনেকসময় প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এবং এখনো পর্যন্ত ‘আধিপত্যবাদী’ ধ্যানধারণা বা দৃষ্টিকোণ থেকেই সরকারী শাসক পর্যায়ের নীতি নির্ধারক মহল পার্বত্য সমস্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়।
সেদিক থেকে আমরা শুধু এটাই আশা করবো যে, সরকার বা শাসকশ্রেনী এই ‘আধিপত্যবাদী ধ্যান ধারণা’ থেকে বেরিয়ে আসবে!