স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল দ্বারা এটাই প্রমাতি হল যে জরুরী অবস্থার নির্বাচনে সরকার সমর্থকরাই জেতে, সে যত দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসী যাই হোক না কেন।
শেখ হাসিনা আমেরিকার পক্ষে বাংলাদেশের দ্বায়িত্ব নেয়ার জন্য যেভাবে তদবির শুরু করেছেন এবং তার ফলাফলও যেভাবে হাতে নাতে পেলেন তাতে এ'টা অনুমান করা মোটেই কঠিন নয় যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলও এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা শেখ হাসিনাকেই সম্ভবত আফগানিস্তানের হামিদ কারজাই বা ইরাকের নুরী আল মালিকির ভুমিকায় দেখতে পাব।
এটা শেখ হাসিনার জন্য একটা বিশাল বিজয় যে তিনি সময়মত উপযুক্ত শক্তির এজেন্সি নিতে পেরেছেন!!! আর পরাশক্তির জন্যও সুখকর যে তারা দেশের মধ্যেই এমন উপযুক্ত একজন এজেন্ট পেয়েছেন যাকে দিয়ে সকল স্বার্থ উদ্ধার করার পরও কেউ কিছু সন্দেহ করতে পারবে না। তাঁর এমন কিছু ভক্ত-অনুরক্ত আছে যারা যেকোন কিছুর বিনিময়েও তাঁকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়েই যাবে। এমনকি তিনি যদি আমেরিকার নাগরিকত্বও গ্রহণ করেন(তাঁর ছেলের মত) তাহলেও তাকে দেশের প্রধান মন্ত্রী বানাতে এরা আপত্তি করবে না - বরং গর্ব করে বলবে "আমাদের নেত্রী আমেরিকারমত উন্ত দেশের নাগরিক"।
আর আমাদের জনগনের চরম দুর্ভগ্য যে আমাদের প্রতিস্ঠিত নেতারাই জাতির জনগনের চেয়ে বিদেশী পরাশক্তির স্বার্থ রক্ষাকে বড় করে দেখেন। পরাশক্তির পক্ষে স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য নতুন কাউকে খুজে আনতে হয় না।
জরুরী অবস্থায় নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার জন্য যারা ৭০ এর নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে দেখাতে পছন্দ করেন তাদেরকে বলছি - ৭০ এর জরুরী অবস্থার নির্বাচনের পর পরই যেমন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল - এবারের জরুরী অবস্থার নির্বাচনও তেমনি আর একটি মুক্তিযুদ্ধের "সম্ভাবনা" ঘোষনা করছে। যারা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবসময় বড় বড় কথা বলেন, সেই যুদ্ধে অংশ নিতে না পারার জন্য(বয়স বা অন্য কোন কারণে) সবসময় আফসুস করেন - তাদের জন্য আরএকটি সুযোগ আসছে - প্রস্তুতি শুরু করে দিন - এখনই।