আমার অফিসিয়াল অফ ডে’তে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাই এবং আবার ফেরত নিয়ে আসি। আমি ইচ্ছা করেই এই দায়িত্বটা আমার ছুটির দিনে পালন করি কারণ আমার স্ত্রীকে একটু স্বস্তি দেবার জন্য (বেচারী প্রতিদিন অনেক কষ্ট করেন!!!)। ছেলেকে স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়ে কখনও কখনও আশেপাশের দোকান বা রাস্তায় বা মাঠে অপেক্ষা করি।
বাচ্চাদের মা-বাবা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, বা অন্য এটেডেন্টরা অপেক্ষা করে স্কুলের বাহিরে। অভিভাবকরা বিভিন্ন গ্রুপে গ্রুপে গোল হয় গল্প গুজব করে।
তবে মায়েদের গ্রুপের প্রধান আলোচনার বিষয় হলো তাদের বাচ্চাদের লেখাপড়া। যেন, বাচ্চা স্কুলে পড়ে না, তারাই স্কুলে পড়ে। কে কিভাবে নোট কালেক্ট করবে? কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে সগেুলো শেয়ারও করছেন। কোন টিচার কি সাজেশন দিলো? একেকজনের বাচ্চা একেক কোচিং এ পড়ে। তাই একজনের কশ্চিন বা সাজেশন আরেকজনকে দিচ্ছে। ইত্যাদি ইত্যাদি....
আর অন্যদিকে বাবাদের জটলার মধ্যে কি ঘটে দেখেন? তাদের আলোচনার বিষয়গুলো এইরূপ: "দেশটা গোল্লায় চইলা যাইতাছে" , "আওয়ামীলীগ কি জামাত নিষিদ্ধ করতে পারবে?" , "ভাই দ্যাশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ" , "সরকার এইসব কি করতাছে?" , "ভাই, শেয়ারে নাইমা কি যে ধরাটা খাইসি" , বিএনপি না বুইঝ্ঝাই হরতাল দিতাসে" , "জামাতরে না ছাড়লে বিএনপি উঠতে পারবো না" ইত্যাদি ইত্যাদি....
আগে মায়েরা তাদের বাচ্চাকে স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের শাড়ি, চুড়ি, হিন্দি/বাংলা টিভি সিরিয়ালের গল্প করতো। এখনও করে তবে খুব অল্প সংখ্যক ডিজুস মহিলাদের দলে এটা হয়ে থাকে। বরং ম্যাক্সিমামই এখন কন্সট্রাক্টিভ কাজ করছেন। এটা ভালো সাইন।
আর বাবারা যেসব আলাপে মেতে থাকছেন সেইসব আলোচনা কোন কাজেই আসবে না। শুধু শুধু সময় নষ্ট করছে।
তাই, এখন যুগ পাল্টেছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮