আমি জানি আপনারা আমাকে দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতে ভালোবাসেন। আর আমি তো আপনাদের অনুরোধ ফেলতে পারি না। এটা তো আপনারা জানেন। আমার বিভিন্ন বন্ধুরা আমাকে দাওয়াত দিয়ে তাদের বাসায় নিয়ে গিয়ে আপ্যায়িত করে আমাকে সম্মানিত করেন আর নিজেও সম্মানিত হন। বিশেষ করে ব্লগের বন্ধুদের কথা বলছি।
রোজা সংযমের মাস। আমরা সংযম পালন করছি। কিন্তু এই যে দেখেন, অন্যান্য মাসের মত রোজার মাসেও আপনারা আমাকে দাওয়াত দিচ্ছেন। আজ প্রায় ১৬টি রোজা হতে চললো। গত প্রায় প্রতিদিনই আপনারা কেউ না কেউ আমাকে আপনাদের বাসায় ইফতারির দাওয়াত দিয়েছেন। আমি গিয়েছি আপরনারা মেহমানদারী করেছেন। আহা।
আবার সামনের রোজাগুলোতেও অনেকে অগ্রীম দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন। আমি আবার কারো কথা ফেলতে পারিনা। আমার যে দয়ার শরীর।
আপনারা তো অনেকেই জানেন, আমি ইফতারিতে খুব বেশী কিছু খাইনা। অল্প একটু ছোলা, পরিমাণ মত মুড়ি, দুটো পিঁয়াজু, একটা বেগুনী, দু পিস শসা, এক স্লাইস আপেল, একটি সেদ্ধ ডিম, দুটো আরবীয় খেজুর, এক বাটি দই অথবা দুটো রসোগোল্লা মিষ্টি, একগ্লাস কাঁচা লেবুর শরবত আর দুগ্লাস ঠান্ডা পানি। এই তো ব্যাস...... আবার কি?
মাগরিব নামাজের পরে একটু ঘন দুধ দেয়া চা খাই। আর তার ঠিক ঘড়ি ধরে ঘন্টা দুই পরেই ভাত খাই। আমি ভাতও খুব অল্প খাই। যেমন ধরেন, তিনকাপ সাদাভাত, ছোটমাছের চড়চড়ী, খাসীর রেজালা/গরুর মাংশের ঝাল কারি, ডাল, সবজি, সালাদ। ব্যাস.......... আর কত?
তো যাই হোক বন্ধুরা আবারো বলছি, আপাততঃ ইফতারির আর কোন দাওয়াত নিচ্ছি না................