না, দুর্ঘটনাটা আমি চোখে দেখিনি ইচ্ছা করেই। সহ্য করতে পারি না। সহ্য করতে পারি না মানুষের মৃত্যু।
সে হয়ত কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বাবা, কারো স্বামী অথবা কারো স্বপ্ন যেটা এখন প্রস্ফুটিত হয়নি। মুহুর্তে শেষ হয়ে গেলো একটি মানুষ, একটি পরিবার অথবা একটি সমাজের নিয়ামক।
শাহীন স্কুলের কাছ থেকেই জ্যামটা শুরু। যতদুর চোখ যায় অর্থাৎ মহাখালী রেলক্রসিং পর্যন্ত শুধু গাড়ী আর গাড়ী। ঠায় দাঁড়িয়ে। কেউ কোন কারণ বলতে পারছে না। দীর্ঘক্ষণ পরে জ্যাম ছুটলো। শুনলাম একজন এক্সিডেন্টে মারা গেছে। দুর্ঘটনাটা ঘটেছে রেলক্রসিং পার হয়ে এয়ারপোর্টের দিকে যেতেই যে মোড়টা সেখানে। সেখানে নাকি লাশটা পড়েই আছে। শুনলাম, একটি গাড়ী তাকে চাপা দেবার পরে পিছনের একটি গাড়ি আবারো থেতলে দিয়ে চলে গেছে। ওহ!! বিভৎস হয়ত সেই দৃশ্যটি। যারা দেখছে তাদের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিভৎসতার ধরন। কাউকে কাউকে চোখের পানি ফেলতে দেখেছি। আমিও পারিনি চোখের পানিকে ধরে রাখতে।
ইচ্ছা করেই আমি দেখলাম না। এমন অনেক দুর্ঘটনা দেখেছি। মানুষের এমন মৃত্যু আর সহ্য করতে পারি না। আমাদের পরিবারেও এমন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে কয়েকজন। আমি হারানোর ব্যথা বুঝি। আমি নিজেও এই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। বুঝি ব্যাপারটা কতটা দগদগে।
যারা রাস্তায় গাড়ী চালান তারা প্লিজ একটু সাবধানে গাড়ী চালাবেন কারণ আপনার একটু ভুলের কারণে হয়ত শেষ হয়ে যাবে একটি পরিবার। আমরা যারা রাস্তায় চলাফেরা করি আমাদেরও সচেতন হওয়া উচিত।
সেই দুর্ভাগার পরিবারের কেউ হয়ত দুঃসংবাদটা এখনও পাইনি। সৃষ্টিকর্তা তাদের শোক সামলে নেবার মনোবল দিক। তিনি আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক। আমরা আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৯:২৭