somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার কর্মক্ষেত্রকে ঘিরে কিছু কথা -১ (ছুটি)

১৪ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের অফিসে, বছরে মোট সবরকম ছুটি মিলিয়ে ছুটি নেওয়া যায় ৪২ দিন। ওটা শুধু কাগজ কলমে। কখনই কোন ছুটি পাওয়া যায় না। আর যদিও দুই একদিন ছুটি চাই তাতে অনেক তেল দিতে হয় বসকে। আর ছুটি পেলেও যে একটু শান্তিতে থাকবো তা না, ঘন্টায় ঘন্টায় অফিস থেকে ফোন, এটা কোথায়, ওটা কোথায়?

আমার স্ত্রীর বেবী হয় আমার শ্বশুড়বাড়ীতে। যখন লেবার পেইন হয়, ক্লিনিকে নেওয়ার পর আমি ঢাকা থেকে রওনা দেই। আমি যখন পথে তখন আমি বাবা হওয়ার সুসংবাদ পাই। তখন রাত প্রায় সাড়ে দশটা। আমি আমার বসকে ফোন করে সংবাদটা দেই। এবং বলি যে আমি কালকে আসতে পারবো না। উনি উত্তরে বলেন, তুমি যে যাচ্ছ ছুটি নিয়ে যাবা না? আপনারাই বলুন আমি ছুটি নিবো কখন সে সময় কি আমার ছিল। আর আমি কি জানতাম আমার স্ত্রীর লেবার পেইন কখন উঠবে? মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। পরের দিনই আবার ফোন, কখন আসছো তুমি? আমার বাচ্চার কাছে আমি থাকতেও পারলাম না। চলে আসতে হলো।

এরও আগের কথা। আমার বিয়ের সময় ছুটি চাইলে ছুটি দেয়া হলো তিনদিন। বিয়ের দিন আর আগে পরে একদিন করে দুই দিন। আর বিয়ের পরে যেটাকে কেউ কেউ "ফিরুনী" বলেন, সেটা গিয়েছিলাম ২২ দিন পর। ছুটি পাইনি বলে এতদিন যাওয়া হইনি।

আমার বাবা দেশের বাহিরে থাকেন। তো কয়েক বছর আগে আমার আম্মাও বাবার কাছে যাবেন। তাকে ফ্লাইটে তুলে দিতে গেলাম এয়ারপোর্টে। স্বাভাবিক ভাবেই আমার মন খারাপ হওয়ার কথা। কারণ আবার কবে আম্মা বাংলাদেশে আসবে? সেই এয়ারপোর্টে থাকা অবস্থায় বার বার অফিস থেকে ফোন আসছিল, আর কত দেরী লাগবে? চিন্তা করে দেখেন। কেমন লাগে?

এখন এমন অবস্থা যে আর ছুটি চাইনা। শুধু কাজ করি। কাজ আর কাজ।

ছবি: আমার ডেক্স।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০০৮ দুপুর ২:১৪
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×