আত্মমর্যাদা ও স্বকীয়তাকে বিসর্জন দিয়ে ভারতের সাথে বন্ধুত্ব নয় : শেখ আবুল কাশেম মিঠুন
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত টিআইবি রিপোর্ট,যুদ্ধাপরাধ এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, চিত্রনায়ক এবং লেখক শেখ আবুল কাশেম মিঠুনের সঙ্গে। তাঁর পূরো সাক্ষাৎকারটি এখানে উপস্থাপন করা হলো :
অডিও:
রেডিও তেহরান : জনাব শেখ আবুল কাশেম মিঠুন, সম্প্রতি টিআইবির প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী কথা বলছেন। টিআইবির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আদালত এবং পুলিশ বাহিনীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ সরকার টিআইবির প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলছেন। তো পুরো বিষয়টি নিয়ে আপনার অভিমত কি?
শেখ আবুল কাশেম মিঠুন : এ বিষয়ে আমার অভিমত হচ্ছে, টিআইবি এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন বা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তো এসব রিপোর্টের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো কারো স্বার্থের অনুকূলে হয় তারা তা মেনে নেয় আর যেসব রিপোর্ট বিপরীতমুখী হয় সেগুলো তারা মানতে পারে না-এটাই বাস্তব।
তবে আমি যতটুকু জানি এই রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে টিআইবি দেশের সাধারণ জনগণের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে। আর সাধারণ মানুষের যে স্বীকারোক্তি তার আলোকেই কিন্তু টিআইবি এই রিপোর্টটি করেছে। ফলে টিআইবি প্রতিবেদনকে অস্বীকার করা মানে কিন্তু সাধারণ জনগণের মতামতকে অস্বীকার করা। আর দেশের সাধারণ মানুষের বা জনগণের মতামতকে অস্বীকার করাটা বাস্তবের খেলাপ বলে আমি মনে করি। বরং টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাধারণ জনগণ কিন্তু তা দেখছে।
দেখা যাচ্ছে যে, সরকার দলীয় সবারই মামলা তুলে নেয়া হচ্ছে অন্যদিকে বিরোধী পক্ষের নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহার না করে হয়রানি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এটা দেখছে, তারা কিন্তু এত মুর্খ নয় ! তারা সবকিছু বুঝতে পারে। ফলে বিচার বিভাগকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটা তো আমার কাছে যথার্থই মনে হয়।
রেডিও তেহরান : অবশ্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রভাব রয়েছে এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এসব সংগঠন সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থে তাদের প্রতিবেদন তৈরী করে থাকে। ফলে টিআইবির মতো সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের ওপর অনেকেরই কিন্তু আস্থা নেই।
শেখ আবুল কাশেম মিঠুন : দেখুন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর আপনি যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রভাবের কথা বললেন এটা ঠিক। তবে এখানে একটা প্রশ্ন আসে আর সেটি হচ্ছে, বাস্তব বা যথার্থ বিষয়টি। যাদের একটু বিবেক আছে তারা কিন্তু সত্যকে অস্বীকার করতে পারে না। তো বাংলাদেশে যেটা ঘটছে তাহলো, সরকার বিরোধী পক্ষের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া, নজিরবিহীনভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল বা নাস্তানাবুদ করছে। এসব বিষয় কিন্তু দেশের জনগণ বোঝে। এই বোঝটাকে যদি কোনো সংস্থা অস্বীকার করে তাহলে সেই সংস্থার ওপর জনগণেরই আস্থা এবং বিশ্বাস কমে যাবে। আর টিআইবি কিন্তু এ বিষয়টা জানে । ফলে জনগণের কাছে তাদের কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হলে তাদেরকে সত্য বলতেই হবে।
রেডিও তেহরান : আরেকটি বিষয় এখন খুবই আলোচিত হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর তার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তো এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কি ?
শেখ আবুল কাশেম মিঠুন : এটি আমার কাছে খুবই অমানবিক এবং বেআইনী মনে হয়। একটা মানুষকে অপরাধী সাব্যস্ত করার আগে রিমান্ডে এবং সেখানে নিয়ে অত্যাচার করার বিষয়টি সত্যিই খুবই অমানবিক। তাছাড়া রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচারের পর আজ পর্যন্ত কিন্তু কোনো শুভ ফল বা স্বীকারোক্তি আমরা পাইনি। দেশের জনগণও এ ধরনের বিষয় দেখেনি। দেশের সাধারণ মানুষ মনে করে রিমান্ড একটি প্রতিহিংসামূলক বিষয়। একটি লোককে শাস্তি দিতে হলে-তাকে বিনা বিচারে রিমান্ড নামক স্থানে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা- এটি একটা অমানবিক ব্যাপার। তাছাড়া আমার মনে হয় এটা যারা করছে তারা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। কারণ বিনা বিচারে শুধুমাত্র স্বীকারোক্তি আদায় করার জন্য এ ধরনের কার্যকলাপ করার বিষয়টা খুবই খারাপ একটা নজির। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তিকে অপরাধী সাব্যস্ত করাটাই যথার্থ। আমার মনে হয় সারা পৃথিবীর কোথাও রিমান্ড জিনিসটি থাকা উচিত নয়। এটি আসলে খুবই অমানবিক ব্যাপার।
রেডিও তেহরান : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দিন দিনই বাড়ছে। সরকারী দল বিএনপিকে দোষারোপ করে বলছে যে, দলটি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা করছে। অপরদিকে বিএনপি বলছে, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ নয়। কারণ আওয়ামী লীগেও যেসব যুদ্ধাপরাধী রয়েছে সরকার সে বিষয়ে কোন কথা বলছে না।
শেখ আবুল কাশেম মিঠুন : দেখুন, এ বিষয়ে তো আমরা পত্রপত্রিকায় প্রায়ই দেখি যে অনেকে বলে থাকেন, যারা চরম রাজাকার ছিল তারা আওয়ামী লীগে গেলেই মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় । এরকম বিষয়গুলো নিয়ে জনসাধারণ চায়ের টেবিলে খুবই হাসাহাসি করে, উপহাসের ঝড় তোলে। তবে এ বিষয়ে আমি যেটা বলতে চাই সেটি হচ্ছে, বিগত ত্রিশ চল্লিশ বছর ধরে যে সব পরীক্ষিত সৎ মানুষকে সাধারণ জনগণ দেখে আসছে; এরমধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীও ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি অথচ তাদেরকে যুদ্ধাপরাধী বলা হচ্ছে । আমার মনে হয় যারা অপরাধী হয় বা অপরাধ করে তারা সুযোগ পেলেই কিন্তু তাদের আচরণে অথবা কথাবার্তায় মোটামুটি বুঝতে পারা যায়। ধরুন 'ক' নামক এক ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধ করেছিল; তিনি যুদ্ধাপরাধী। তবে এই চল্লিশ বছরে তার আচরণে কিন্তু সেই অপরাধের ছিটেফোঁটা বেরিয়ে আসবে এবং বিষয়টি মোটামুটি বোঝা যাবে। আর এ বিষয়টি হয়তো সবাই স্বীকারও করবেন। তবে যাদেরকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের আচরণে অথবা চরিত্রগত দিক থেকে আজ পর্যন্ত এতটা বছরে কিন্তু কেউ সে রকমের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দেখেনি। আর সে কারণেই তাদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত আছেন। যারা তাদের চারিত্রিক সৎ বৈশিষ্ট্যের কারণেই তাদের ভক্ত। আর এ বিষয়টি সত্যিকার যাদের বিবেক আছে, যারা নীতিবান তাদের কিন্তু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। কিছু লোক আছে যারা স্বভাবে অপরাধী, পরিবেশ পেলে তারা অপরাধ করে যায়। আবার যখন পরিবেশ তাদের প্রতিকূলে যায় তখন চুপ হয়ে যায়, অপরাধ করে না। আর এ ধরনের স্বভাব অপরাধী বাংলাদেশে প্রচুর আছে। আর আজ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যেসব নেতাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে- সে সম্পর্কে আমি যেটা মনে করি যে, এর পেছনে লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমান এবং ইসলামকে জঙ্গী হিসেবে সাব্যস্ত করা। আর এভাবে ইসলামী নেতাদেরকে হত্যা করে ইসলামকে সংকীর্ণ করাই হচ্ছে আন্তর্জাতিক লক্ষ্য। সে হিসেবে বাংলাদেশে অপরাধী হওয়ার আগেই পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া কারো কারো বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে যে তারা অপরাধী। অথচ এখনও কোনো বিচারই বসেনি। তো সব মিলিয়ে এটা বোঝা যায় সত্যিকারার্থে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল তাদের পেছনে আইন না ছুটে যারা প্রকৃতার্থে নিরপরাধ মানুষ তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে বিচারের নামে হত্যা করার জন্য।
রেডিও তেহরান : আমি সবশেষে যে বিষয়টি জানতে চাইবো সেটি হচ্ছে, ভারতের সাথে সম্পর্কের বিষয়টিকেও অনেকেই সমালোচনা করছেন। তারা বলতে চান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ভারতের প্রতি নতজানু। এছাড়া সম্প্রতি ভারতের নায়ক -নায়িকাদেরকে বাংলাদেশে এনে যে সব নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে- এদেশের অধিকাংশ মানুষ তা ভালো চোখে দেখছেন না। বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই একে ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলছেন। আপনি কি মনে করেন?
শেখ আবুল কাশেম মিঠুন : দেখুন, আপনার এই প্রশ্নের মধ্যে দু'টো বিষয় রয়েছে। একটি হচ্ছে, এদেশে ভারতীয় অপসংস্কৃতির প্রচলন ঘটানো বা ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, তাদের হিন্দি ভাষার প্রচলন ঘটানো এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে ভারতের সাথে পররাষ্ট্রনীতির। তো পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ভারতের সাথে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের এবং সরকারের বন্ধুত্ব থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। পড়শীর সাথে ঝগড়া করে বা শক্ররা রেখে একটি দেশের সরকার বা জনগণ সুখে থাকতে পারে না। ফলে নীতিগতভাবে বন্ধুত্ব অব্শ্যই থাকতে হবে। তবে শুধু বন্ধুত্ব করলেই চলবে না অবশ্যই সেক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ এবং জনগণের স্বার্থের বিষয়টি খুব ভালোভাবে দেখতে হবে। দেশ যাতে কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে ক্ষমতাসীন সরকারকে। একই সাথে অবশ্যই বন্ধুত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে বন্ধুত্ব বজার রাখার মানে এই নয়, যে আমরা আত্মমর্যাদা ও স্বকীয়তাকে বিসর্জন দেব কিংবা নতজানু হবো।
আর ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের যে কথাটি বললেন, সে সম্পর্কে আমি বলবো-বাংলাদেশে ভারতীয় শিল্পীদের আগমন অত্যন্ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ক্ষেত্রে শুধু যে শিল্পী নিয়ে আসা হচ্ছে তা কিন্তু নয়, একইসাথে ইন্টারনেটে ফেসবুকের নামে প্রতিটি ঘরে ঘরে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, দেশের বিশেষ বিশেষ স্থানে, ফুটপাতে অশ্লীল সিডি, ভিসিডি বিক্রি হচ্ছে আর এসব বিষয়ে যদি শাসকগোষ্ঠী দৃষ্টি না দেয় তাহলে আমার মনে হয় সেই শাসক গোষ্ঠী তাদের ইমেজ ধরে রাখতে পারবে না। একসময় তাদের ইমেজ পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমি একটা উদাহরণ তুলে ধরছি। আপনারও নিশ্চয়ই জানেন, ১৯১১ সালের কথা। ভারতবর্ষে তখন বৃটিশ শাসন। সে সময় বৃটেন থেকে একজন নর্তকীকে ভারতবর্ষে এনে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের তৎকালীন বৃটিশ সরকার সেই নর্তকীর আসাটা এবং অনুষ্ঠান করাটা বাতিল করে দেয়। এই কারণে যে, বৃটেন থেকে ঐভাবে একজন নর্তকীকে ভারতে এনে নাচালে তাদের ইমেজ নষ্ট হবে। আমাদের সামনে কিন্তু এসব ইতিহাস রয়েছে। অপসংস্কৃতি প্রচার করে জনগণের এবং তরুণ শ্রেণীর মনকে ভিন্নদিকে চালিত করে সত্যকে কখনও আড়াল করা যাবে না। বরং একটা জাতি যারা অপসংস্কৃতি প্রচার করে, তারা এর মাধ্যমে জাতিগতভাবে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায় বলে আমি মনে করি। আমাদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। আর আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির ওপর ভর করে আমাদেরকে উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
Click This Link


পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
পাশ্চাত্যের তথাকথিত নারীবাদ বনাম ইসলাম: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
ভূমিকা
নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা ইতিহাসের এক দীর্ঘ অধ্যায়। পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন শুরু হয় ১৮শ শতকের শেষভাগে, যার ফলশ্রুতিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি স্মার্ট জাতির অন্তঃসারশূন্য আত্মজৈবনিক !
একটা সময় ছিল, যখন জাতির ভবিষ্যৎ বলতে বোঝানো হতো এমন এক শ্রেণিকে, যারা বই পড়ে, প্রশ্ন তোলে, বিতর্কে অংশ নেয়, আর চিন্তা করে। এখন জাতির ভবিষ্যৎ মানে—ইনফ্লুয়েন্সার। তারা সকাল ১০টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক্ষমতায় যাবার আগেই নারী বিদ্বেষ শুরু
সংবাদ সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়া হলো নারী সাংবাদিককে, যা বললেন মুফতি ফয়জুল করিম
বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের এক নারী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরীকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইসলামী দলগুলো নারী বিদ্বেষী - এটা একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা
আরবের দেশগুলোকে আমাদের দেশের নারী আন্দোলনের নেত্রীরা দেখতে পারেন না হিজাব ইস্যুর কারণে। অথচ, আরব দেশ কাতার বি,এন,পি'র চেয়ারপারসনকে চার্টারড প্ল্যানে করে দেশে পাঠাচ্ছে। আরো কিছু উদাহরণ দেই। আওয়ামী লীগ... ...বাকিটুকু পড়ুন
নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা
নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা
ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন