পথ দিয়ে হাটতে গেলেই মনে হয় এই তো দম শেষ। পড়লো বুঝি আমার পাপের বোঝাটাই আমার ঘাঁড়ে। আর মর মর করে ভেঙ্গে গেলো পুরো মেরু দন্ডটাই।
অবসর প্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ারের মুখে কখনো ধর্ম কথন শুনি নাই। আজ হঠাত শুনে অবাক না হওয়ার উপযুক্ত কোনো উপায় খুজে পেলুম না। বলেন কিনাঃ এই সব কথা কুরানে লিখা আছে। কোরানে বলা আছে যখন কোনো যাতি নিজেদের অহংকার আর লোভের চরম সিমানায় পৌছে যায় তখনই তার ঢিলে করে দেয়া রশিতে টান মারেন তিনি...
কথাটা বিশ্বাস না করার উপায় থাকলে বলুন? চারিদিকে শুধু লোভী মানুষের আহাজারী... না না কেউ মরলো বলে না। আর কটা টাকা উপার্জনের লোভ। বেঁধে দেয়া সীমা অতীক্রমের লোভ। রাজউক এর সিমানা অতিক্রম করার যতো মজা সব ই এখন ভোগ করছে এরা। শুনলুম কনকর্ডের টাওয়ার ও নাকি কাঁত হয়ে গেছে।
কি লজ্জার কথা। এতো বিখ্যাত নির্মাতা কনকর্ড। থাক। আফসোস আর না ই বা করলাম!!
কারখানার রাসায়নীক পদার্থের সাথে মানুষ একই সাথে বসবাস করবে কেনো?? মানুষের আবাসিক এলাকায় এই সব কারখানা থাকবেই বা কেনো? যুক্তি দিয়ে আমাকে একটু বুঝানতো... আমি কানা না। মেনে নেবো।
এখন কি করা যায় তা ভাবলাম। ভেবে বুঝলাম করার একটাই আছে। তা হলো দু তিনদিন পরে এই সব মর্মান্তিক কাহিনির কবর রচনা করে আবারো সেই লোভী জীবনটার শুরঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে ঘর্মগ্রন্থীতে লবনাক্ত পানির প্রশ্রবন ঘটানো। কারন এইসব তো চুটকি। দেখবেন কাল ই আমরা সবাই ভুলে যাবো। অথবা ভুলিয়ে দেয়া হবেনা। আবার পাপ বাড়তে থাকবে। বিশ্বাস হয়না?? দেখেন ভূলে যাই কিনা!!
আজকে যতো টক শো... যতো সমাধান... যতো কলাম... কালই ফুটুশ। তখন আবার সংবাদ পত্রে আবার জমে উঠবে রাজনৈতীক রগরগে লাল হেডলাইন।
শুধু ভুলতে পারবেনা ঐ নববধু আর তার স্বামী... যারা আনন্দ করতে এসে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বেলচা দিয়ে যাদের ছাই হয়ে যাওয়া হাড়গোড় পুড়ে যাওয়া টিন আর কাঠের সাথে ট্রাকে করে ময়লার স্তুপে ফেলে দেয়া হয়েছে...তাদের স্বজনদের আহাজারী হয়তো থেমে যাবে... কিন্তু ঐ সব দগদগে ক্ষত থেকে পোঁড়া রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরবে এই সব চোখের দৃষ্টি নিভে যাওয়ার আগে পর্যন্ত।
তাই অগ্নিকান্ডে মৃতদের নয়; রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ঐ সব পাপীদের তরে যাদের পাপে নিরপরাধীরাও গজবাক্রান্ত হচ্ছে।
আর কবে আমরা সচেতন হবো??