somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক-আস্তিক সবাই আসেনঃ “নাস্তিকদের উৎপত্তি ধর্মীয় চুলকানি থেকে” (repost)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিকরা কোন স্রষ্টায় বিশ্বাস করেনা। তাদের মতে, কোন সষ্টা নেই। আমার প্রশ্ন, স্রষ্টা না থাকলে সৃষ্টি হয় কেমনে? যদি নাস্তিকরা উত্তরে বলে প্রকৃতি আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাহলে আমি তাদের জিজ্ঞেস করব, প্রকৃতি তোমাদের ঈশ্বর? উত্তরে তারা বলবে, আমাদের কোন ঈশ্বর নেই। আমাদের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।

-তারাই বলছে আমাদের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। আবার তারাই বলেছে প্রকৃতি তাদের সৃষ্টি করেছে। এখন তারাই বলুক তারা কোনটা মানে।

-প্রকৃতিও বদলে যায়। এটা কি নিজে নিজে বদলে যায়? অবশ্যই না। তবে কে বদলিয়ে দেয়? আচ্ছা এই প্রকৃতি কে সৃষ্টি করেছে? মানে কেউ কি প্রকৃতিকে সৃষ্টি করেছে? নাকি প্রকৃতি নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে?

-তারা হয়তো বলতে পারে বৃহৎ বিস্ফোরণের (বিগ ব্যাঙ থিওরি) মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি। এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কে? একটা বোমার বিস্ফোরন ঘটানোর জন্যও একজন লোক দরকার। এটাকে ক্রিয়েট করার পর এটার বিস্ফোরনের চিন্তা। বোমাটার তৈরির জন্য যদি লোক দরকার। তবে এই মহাবিশ্বের মত এত বৃহৎ জিনিষের সৃষ্টিকর্তা থাকবেনা এরুপ চিন্তা কোন ভোদাইরা করতে পারে?
আফটার অল, সৃষ্টি কর্তা ছাড়া সৃষ্টির কল্পনা ছাগল ছাড়া আর কেউ কল্পনা করতে পারেনা। দুঃখিত ছাগলের মান-সম্মান আছে। তবে হ্যাঁ, যাহাদের পাছায় ধর্মের প্রতি চুলকানির বীজ বপন করা হয়েছে শুধুমাত্র তাহারাই এরকম চিন্তা করতে পারে। ধর্মের রীতিনীতি তাহাদের পালন করতে খুব কষ্ট লাগে। তার চেয়ে বরং তারা চিন্তা করে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই ধর্ম থেকে দূরে থাকা যাবে।

-তারাদের পাছার আষ্টেপৃষ্ঠে রয়েছে শুধু ধর্মীয় চুলকানী। এমন কোন নাস্তিককে দেখিনি যে নিজের কোন মতামতের মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে যে, সৃষ্টিকর্তা নেই। তারা বরঞ্চ ধর্ম থেকে বিভিন্ন রেফারেন্স নিয়ে ওগুলো ভুল প্রমাণের ধান্ধায় মেতে আছে। নিজস্ব কোন মতামত দেবার ক্ষমতা কখনো দেখাতে পারেনি ওরা। পৃথিবীর সকল নাস্তিকগুলাই একি রকম। তারা শুধু বিভিন্ন ধর্মকে সমালোচনা করেই নিজের নাস্তিক্যবাদ প্রমাণ করতে চায়। সব কিছুর মূলই হল তাহাদের ধর্মীয় চুলকানি।

-বর্তমানে তাহাদের চুলকানিটা এতই বেড়ে গিয়েছে যে পাছার খাল আর থাকতেছেনা। যে কোন ধার্মিক লোককে কিভাবে অন্যায়ভাবে ফাসানো যায় সেই চিন্তায় তারা মশগুল। তাহাদের চুলকানিটা ইসলাম ধর্মকে নিয়ে একটু বেশি। কারণ অন্যান্য ধর্মকে নিয়ে কিছু বললে ওইসব ধর্মের লোকেরা কিঞ্চিৎ মাত্রায় প্রতিক্রিয়া করে। কারণ তাহাদের ধর্মের প্রতি ফিলিংসতা একটু কম মনে হয় (সিওর না)। কিন্তু ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কেউ বাজে কিছু বললেই ইসলাম প্রিয়রা ক্ষেপে যায়। আর এইসব ক্ষেপে যাওয়াটা নাস্তিকদের দেখতে খুব ভালো লাগে, কারণ তাহদের চুলকানির আরাম বেড়ে যায়।

-অনেক ধার্মিক নিজের ধৈর্য ধরে রাখতে পারেনা। সেই সুযোগে নাস্তিকরা ইসলাম ধর্মের লোকেদের উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী হিসেবে প্রচার করার সুযোগ পায়।

-এসব তারা যতই করতে পারে তাহাদের চুলকানির মজা বেড়ে যায়। এখন নাস্তিক নামধারী ছাগলরা ধর্মকেই বেছে নিয়েছে তাহাদের চুলকানি বাড়ানোর উপকরণ হিসেবে। মুসলমানরা যতই তাদের প্রতি উগ্র হয়ে গালী দিচ্ছে, প্রতিবাদ করছে, হত্যা করছে, ততই তারা আরাম পাচ্ছে। মুসলমানদের জঙ্গি হিসেবে প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে। আরামের চোটে ধর্মকে খোঁচা দিয়ে তারা আরও বেশি বেশি লিখে যাচ্ছে। যদিও তাদের সব রকম ভুল প্রমাণের চেষ্টা বার বার ব্যর্থ হয়েছে তবুও তারা মুসলমানের একটা জিনিষের অভাবে এগিয়ে আসতে পেরেছে। গুটিকয়েক লোক নিয়ে এখনও চুলকিয়ে যাচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে মুসলমানের ঐক্য। সকল ধর্মের ধর্মপ্রাণদের ঐক্য।

-ঐক্যবিহীন ভাবে গুটিকয়েক নাস্তিকের চুলকানি বন্ধ করা সম্ভব নয়। চুলকানি বন্ধের জন্য সঠিক জায়গায় মলম লাগিয়ে দিতে হবে। ঐক্যবিহীন মলম প্রস্তুতও সম্ভব নয়।
“যদি ঐক্য তৈরি না করতে পারো ভোগে চলে যাও কারো কোন আপত্তি থাকবেনা।”
বিদ্রঃ সম্পূর্ণ লেখা পড়লে অবশ্যই মতামত দিবেন।

After a 30 days block I am back to Samu.
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার ভাঙ্গা ল্যাপটপ

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০৬


শুক্রবার রাতে আমার মনে হলো, আমি আমার ল্যাপটপে লিনাক্স ওএস সেটআপ দেব। যদিও আমি সারা জীবন উইন্ডোজ ব্যবহার করে এসেছি এবং লিনাক্স সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। রাতে শুয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'মামলেট’ ‘ওমলেট’ ডিম ভাজা, ডিম পোচ, এগ ফ্রাই, এগ রোল আরও কতো কী .....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

'মামলেট’ ‘ওমলেট’ ডিম ভাজা, ডিম পোচ, এগ ফ্রাই, এগ রোল আরও কতো কী .....

মাছে ভাতে বাঙালির আমিষ হেঁশেলে সেকেন্ড চয়েস গরুর গোসত আর মুরগি। কিন্তু ডিম? তাকে কি বাঙালি কখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈপ্লবিক ছন্দ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:১২




বছর তিনেক আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে উড়ন্ত ভঙ্গিতে ছবি তুলেছিলো একটা মেয়ে। তার নাম ইরা।

ইরার ওই ছবিটাই হওয়া উচিত বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীক। আমাদের মেয়েদের মেধা আছে, অদম্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম ও তার আসল বাস্তবতা

লিখেছেন নীল আকাশ, ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭







বাংলাদেশের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার নামে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের সাথে ভন্ডামি করে বেড়াচ্ছে তাদের জন্য উপরের ছবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‌এই সমস্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমি সমস্যার সমাধান কি?

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

দেশে বিশ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা কত জানেন? অসংখ্য। এর নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা কেউ দিতে পারেনাই, নামে বেনামে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মাদ্রাসার সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি, মার্কিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×