somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বৈরাচারী ও ইন্টেরিম সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অপরিবর্তনীয় অবস্থা ও প্রোপার রোডম্যাপিং এর সীমাবদ্ধতা, তাহলে করনীয় কি?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজেরিয়াল পজিশনে থাকার সুবাদে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখি, যে কোন কাজে আমাকে রোডম্যাপ কিংবা প্ল্যানিং একেবারে শুরু থেকেই করতে হবে। সেটা হোক পুরাতন গদবাধা প্রজেক্ট কিংবা নতুন কোন প্রজেক্ট। আমি খেয়াল করে দেখেছি সেই প্রজেক্টই আমার একেবারে লস প্রজেক্ট হিসেবে কাউন্ট হয়েছে যেখানে আমার রোডম্যাপ সেট করা হয়নি।

রোডম্যাপিং মানে হচ্ছে টোটাল প্রজেক্ট প্ল্যানিং। অর্থাৎ প্রজেক্টের মাইলস্টোনগুলো কিংবা সাব-ওয়ার্ক স্টেপ গুলো কি কি, কতদিনের মধ্যে আনুমানিক ৫০% কিংবা পুরোটা শেষ হতে পারে, কতজন ম্যানপাওয়ার লাগবে, রিসোর্স কি কি লাগবে, সেই কাজগুলোর ব্যাক-আপ প্ল্যানিং কি (যাতে কোনভাবেই সেটা ফেইল না হয়), ম্যানপাওয়ারের কিংবা রিসোর্সের ইফিসিয়েন্সির লেভেল যাচাই করা, কাজের টাইমলাইন ফেইল হওয়ার উপক্রম কিংবা ফেইল হয়ে গেলে করণিয় কি - ইত্যাদি অনেক ব্যাপারই টোটাল প্রজেক্ট প্ল্যানিং এর অংশ।

৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বর্তমান ইন্টেরিম সরকারের অনেক বড় সমর্থকগোষ্ঠীর তালিকা করলে হয়তো আমার নামটাও আসবে কিন্তু এই বাংলাদেশ ২.০ তে আমি বাক-স্বাধীনতার ফিরে পাবার খুশিতে একটা কথা ভুলবো না যে সিদ্ধান্ত যে বা যখনই নিক, সমালোচনা হতে হবে। সমালোচনা ব্যতীত কাংখিত রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না।

সংস্কার - এই একটিমাত্র শব্দ বর্তমান এই ইন্টেরিম সরকারের একমাত্র এজেন্ডা। দেশের প্রতিটি সেক্টরে যেখানে যেখানে স্বৈরাচারী সরকারের ছোয়া লেগেছে, সেখানেই পচনের মারাত্মক দূর্গন্ধ। আসলে চিন্তা করলে বুঝা যায় সেটা টোটাল সিনারিও, নির্দিষ্ট সেক্টরভিত্তিক না। ইন্টেরিম সরকার প্রতিষ্ঠার সময় বড় বড় নামগুলো মনে অনেক আশার জন্ম দিয়েছিল কিন্তু প্রায় ২ মাস ধরে সেই আশার জায়গাটা খুব বেশি আশাবাদী করছে না।

এই বড় বড় লোকগুলো কিন্তু তাদের জীবনে অনেক সেক্টরে ম্যানেজেরিয়াল পজিশন দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তারা আমার চেয়ে রোডম্যাপিং এ অনেক বেশি দক্ষ। কিন্তু সরকারে এসে কেন অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, বুঝতেছি না। আশেপাশে কান পাতলেই যেখানে আফসোস পার্টির দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়, সেখানে প্রতিটি বড় বড় করণীয় সংস্কারমূলক কাজের রোডম্যাপ সেটিং হতে পারতো সমাধান কিন্তু এরকম কার্যত চোখে পড়ছে না।

বড় বড় জাতীয় সংস্কার আপামর জনতার মনের দাবী কিন্তু গরীব অসহায় মানুষের প্রধান দাবী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এর দাম বৃদ্ধির লাগাম যেন এই সরকার অতিসত্ত্বর টেনে ধরে। কিন্তু কার্যত এখানে সরকারের প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে না কিংবা প্রচেষ্টা হলেও সফলতার কোন গ্রাফ আকা যাচ্ছে না। আপনাদের নির্ধারণ করা মূল্য যদি বাজার ক্রেতারা না মানে তাহলে বাজার মনিটরিং স্ট্রংলি কেন করা হচ্ছে না, সেটাও অনেকের মনের জিজ্ঞাসা। এমনকি ভোক্তা অধিকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তর্ভুক্তিও এখানে অনেক কম।

পরিশেষে বলতে চাই, দয়া করে পার্টিকুলার এই বিষয়ে আপনাদের রোডম্যাপিং এখানে আপামর সকল শ্রেণির জনতার মনের দাবী। যদি দাবী মেটাতে না পারেন তাহলে কোন সীমাবদ্ধতার কারণে পারছেন না, আশা করি সেটাও জনগণকে জানাবেন। স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে যেটা জনতা পায়নি সেটাই তো আপনাদের (ইন্টেরিম সরকার) কাছে চায় সবাই। এই চাওয়া কি অতিরিক্ত কিছু?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৪
১৪০ বার পঠিত
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

১৯৭২-এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র ২০২৪-এর অর্জন না

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৩৯


৭২-এর রক্তস্নাত সংবিধান বাতিল করে । নিজেদের আদর্শের সংবিধান রচনা করতে চায় এরা‼️বাংলাদেশের পতাকা বদলে দিতে চায়! বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ভালো লাগেনা এদের!জাতিয় শ্লোগানে গায়ে ফোস্কা পরা প্রজন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০

প্রতিযোগিতার এই দুনিয়ায় এখন আর কেউ নিজের মতো হতে চাই না, হতে চাই বিশ্ববরেণ্যদের মতো। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। সব ছাত্রদের মাথায় জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার,... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এইচএমপিভি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩




করোনা মহামারির ৫ বছরের মাথায় নতুন একটি ভাইরাসের উত্থান ঘটেছে চীনে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামের নতুন এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে দেশটিতে।চীনের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান, আমেরিকা, জামাত-শিবির আমাদেরকে "ব্যর্থ জাতিতে" পরিণত করেছে।

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭



আজকে সময় হয়েছে, আমেরিকান দুতাবাসের সামনে গিয়ে বলার, "তোরা চলে যা, ট্রাম্পের অধীনে ভালো থাক, আমরা যেভাবে পারি নিজের দেশ নিজেরা গড়বো। চলে যাবার আগে তোদের পাকী... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হয়তো কখনো আমরা প্রেমে পড়বো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০০


পোস্ট দিছি ২২/১২/২১

©কাজী ফাতেমা ছবি

কোন এক সময় হয়তো প্রেমে পড়বো আমরা
তখন সময় আমাদের নিয়ে যাবে বুড়ো বেলা,
শরীরের জোর হারিয়ে একে অন্যের প্রেমে না পড়েই বা কী;
তখন সময় আমাদের শেখাবে বিষণ্ণতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×