somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইন ও প্রয়োগ

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



উপজেলা ভূমি অফিস বা, AC Land অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে জানতে পারলেন, জমি আর আপনার নামে নেই, রেকর্ড অন্যকারও নামে হয়ে গেছে। অথচ সিএস,এসএ, আরএস আপনার পূর্বপুরুষের নামে। আপনি তখন কি করবেন, সেটা নিয়েই আলোচনা।

সর্বশেষ প্রকাশিত খতিয়ান নিয়ে যদি বিরোধ হয়,সেক্ষেত্রে সেটা নিষ্পত্তির জন্য Land Survey Tribunal এ মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে।
খতিয়ানের ফাইনাল পাবলিকেশন/প্রকাশ নিয়ে যদি কোন মোকদ্দমা হয় তবে সে মোকদ্দমা কোন দেওয়ানি আদালতে করা যাবে না। Land Survey Tribunal এ করতে হবে।

The State Acquisition and Tenancy Act, 1950 section 145F তে বলা হয়েছে-
"No suit arising out of the final publication of the last revised record-of-rights prepared under section 144 shall lie in any civil court within the territorial limits of the jurisdiction for which a Land Survey Tribunal is established under section 145A."

ধারা 145A অনুযায়ী Land Survey Tribunal এর বিচারক হবে যুগ্ম জেলা জজ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সর্বশেষ প্রকাশিত খতিয়ান নিয়ে Land Survey Tribunal যাবেন; কিন্তু Land Survey Tribunal যাওয়ার একটা তামাদির মেয়াদ আছে, এক বছর।খতিয়ানটা যখন সর্বশেষ প্রকাশিত হবে সেখান থেকে অথবা যখন ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে, যেটা পরে হবে সেখান থেকে এক বছর। এক বছর মধ্যে যদি আপনি মামলা করতে না পারেন তাহলে আপনি যথেষ্ট কারণ দেখাতে পারলে আরো এক বছর সময় পাবেন।

The State Acquisition and Tenancy Act এর Act 1950 section 145A(6) বলা হয়েছে,
Subject to the provision of sub-section (7), any person aggrieved by the final publication of the last revised record-of-rights prepared under section 144 may, within one year from the date of such publication or from the date of the establishment of the Land Survey Tribunal, whichever is later, file a suit in such Tribunal.

145A(7) ধারায় বলা হয়েছে,
A suit may be admitted within next one year after the expiry of the period specified in sub-section (6), if the Land Survey Tribunal is satisfied with the reasons for delay shown by the plaintiff.
অর্থাৎ আপনি আরও ১ বছর সময় বেশি পেলেন, যদি ট্রাইবুনাল আপনার দেখানো কারণে সন্তুষ্ট হয়।

এখন মূল সমস্যা হলো, আপনি যদি এই দুই বছরের মধ্যেও Land Survey Tribunal যেতে না পারেন, তখন আপনি করবেন?
তখন প্রতিকার হচ্ছে আপনাকে দেওয়ানী নিয়ে আদালতে স্বত্ব ঘোষণামূলক মামলা করতে হবে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারায়।
The Specific Relief Act, 1877 এর Section 42 তে বলা আছে,
"Any person entitled to any legal character, or to any right as to any property, may institute a suit against any person denying, or interested to deny, his title to such character or right, and the Court may in its discretion make therein a declaration that he is so entitled, and the plaintiff need not in such suit ask for any further relief:

Provided that no Court shall make any such declaration where the plaintiff, being able to seek further relief than a mere declaration of title, omits to do so."

অর্থাৎ কোন ব্যক্তির আইনগত পরিচয়, মর্যাদা বা কোন সম্পত্তিতে তার কোন অধিকার যদি থাকে , অপর কোন ব্যক্তি তা অস্বীকার করে বা করতে চায়, তখন সেই ব্যক্তি তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই ধারায় মামলা করতে পারে। আদালত সে অনুযায়ী প্রতিকার দিবে। এটি ই ঘোষনা মুলক মোকদ্দমা।
এই মোকদ্দমার জন্য নির্দিষ্ট ৩০০ টাকা কোর্ট ফী দিতে হবে এবং আনুসঙ্গিক প্রতিকার চাইতে হবে। যখন কোন বাদী আনুসঙ্গিক প্রতিকার না চায়, তাহলে আদালত তার প্রতিকার মঞ্জুর করে না।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের 42 ধারায় একসাথে এক বা একাধিক ঘোষণা চাওয়া যায়। মূল ঘোষণার সাথে consequential relief ও চাওয়া যায়।আপনি প্রথমে স্বত্ব ঘোষনা চাইবেন এবং এর সাথে আপনার আরো prayer থাকবে যেমন, সিএস/এসএস/আরএস/মহানগর/বিএস খতিয়ান অবৈধ,অকার্যকর এবং বাদীর উপর binding নয় মর্মে ঘোষণার প্রার্থনা করবেন।
এছাড়া আনুসঙ্গিক প্রতিকার হতে পারে,
১. প্রতিপক্ষের নামজারী/পর্চা বাতিল এবং আবেদনকারী/বাদীপক্ষের নামে নামজারী করার আদেশ
২. বাদী/আবেদনকারীর নামে খাজনা গ্রহণ
৩. বাদী/আবেদনকারীর পক্ষে দখল পুনরুদ্ধার
৪. ভূল খতিয়ান সংশোধন করে নতুন খতিয়ান প্রকাশ
৬. এতদিন বিবাদী যে ভোগ-দখল করলেন, তার জন্য ক্ষতিপূরণ

বিষয়টি এমন না যে, আপনি সহজেই রায় আপনার পক্ষে পেয়ে যাবেন। এটা একটা গাইডলাইন।কারণ, আপনার অপর পক্ষেরও সাক্ষ্যপ্রমাণ, দলিলপত্র থাকতে পারে। আপনারা সকলেই জানেন, জমিজমার মোকদ্দমা দায়ের/তদবির একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া।

সবার জন্য শুভকামনা!

মেহরাব হাসান
এডভোকেট

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

আগে বুঝতে হবে রিসেট বাটন কি......

বেশ কিছুদিন যাবত ডক্টর ইউনুস সাহেব এক সাক্ষাৎকারে "রিসেট বাটন" শব্দদ্বয় বলেছিলেন- যা নিয়ে নেটিজেনদের ম্যাতকার করতে করতে মস্তিষ্ক এবং গলায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু ভগবান না হয় ইশ্বর!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৫২



মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর এতোই ত্যক্তবিরক্ত যে আজকাল অনেকেই অনেক কথা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে। এর জন্য আম্লিগ ও হাসিনাই দায়ী। যেমন- বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল (হাজারের কাছাকাছি),... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮





বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু সংবাদ শুনে কোন গালিটা আপনার মুখে এসেছিলো?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬



"খবিশ মহিলা", গালিটি বা তার কাছাকাছি কিছু?

মতিয়া চৌধুরী (১৯৪২-২০২৪) ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সৎ রাজনীতিবিদ। গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ও সবচেয়ে নিবেদিত-প্রাণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্বে চরম দারিদ্র্যে বাস করা প্রায় অর্ধেক মানুষই ভারতের

লিখেছেন সরকার পায়েল, ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮


বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্রে দিন কাটাচ্ছে। তাদের প্রায় অর্ধেকই যুদ্ধ-সংঘাত লেগে থাকা দেশের বাসিন্দা। জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।


ইউএনডিপির বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×