সৃষ্টির আনন্দ অন্যরকম। তার সাথে অন্য কোনো আনন্দের তুলনা হয়না। আর সেই সৃষ্টি যদি সবার সাথে ভাগ করে নেওয়া যায় সেটার আনন্দ আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। গল্প লেখা কিংবা কবিতাও একটা সৃষ্টি কর্ম। সেটা যখন মলাটবদ্ধ ভাবে সবার সামনে আসে সেটার আনন্দ প্রকাশ ঠিকভাবে হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। নতুন বইয়ের ঘ্রাণের কাছে তখন পৃথিবীর যাবতীয় সুগন্ধি নস্যি হয়ে যায়।
বই কেনো পড়েন? এর উত্তর এক একজনের কাছে এক একরকম হতে পারে। আমার উত্তর সোজা "নিজেকে জানার জন্য পড়ি"। নিজেকে জানিনা সেটা নয় তবে প্রকাশ করার ক্ষমতা সবার এক না থাকার দরুন বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে জানতে ইচ্ছা হয়। বলতে ইচ্ছা হয় আরে এটাতো আমারো কথা। প্রতি বছর বই মেলা আসে বাংলার মাটিতে একটা সুন্দর মাসে, যে মাসে পৃথিবীর একমাত্র ইতিহাস সৃষ্টিকারী আন্দোলন হয়েছিলো, ঝরেছিলো রক্ত মায়ের ভাষার জন্য। এমন মাস গুলো আসলে এম্নিতে মনে অন্যরকম উদ্দিপনা কাজ করে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায়। ভালো লাগে সৃজনশীল মানুষের মুখরতায় ভরা বাংলা একাডেমি অঙ্গনে নিজেকে হারাতে। অন্য মেলাগুলোর প্রতি আকর্ষন না থাকলেও বই মেলা আমাকে টানে, আমি জানি আমার মতো অধিকাংশ ব্লগারকেই টানে এই সুন্দর মেলাটি। অন্যান্যবার অপেক্ষায় থাকি কিছু বিখ্যাত প্রিয় লেখকের বই পড়ার জন্য। এবারের বই মেলাটা আমার জন্য অন্যরকম, বিখ্যাত লেখকদের চেয়ে আমার প্রিয় কিছু ব্লগারের বই টানছে বেশি। জানতে আগ্রহ হচ্ছে উনারা কি লিখেছেন, উনাদের অনুভুতিগুলোকেও নিজের মনে হচ্ছে। আনন্দটা উনাদের চেয়ে আমারো কম নই যেনো। আসুন পরিচিত হয় অতি পরিচিত কিছু প্রিয় মুখের যাদের বই বের হয়েছে এবারের বই মেলায়।
প্রবেশাধিকার সংরক্ষিতঃ
এবারের বইমেলায় আসা একটি বইয়ের নাম। যে বইয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন অনেকে অনেকদিন ধরে।
বইটির লেখক ব্লগের অতি পরিচিত মুখ। সবার প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুব। একজন গল্পকার, একজন দার্শনিক, একজন কবি এবং সর্বোপরি একজন সুন্দর রম্যলেখক ও তিনি। তবে সবথেকে উনি যে জিনিষটায় সবার নজর কেড়েছেন সেটা হলো ছোটগল্প। উনার এক একটা গল্প এক একটা প্রতিবাদ, এক একটা স্বপ্ন কিংবা তীক্ষন বাণে জর্জরিত করা সমাজ। ব্লগে বর্তমানে আমার মতে উনার সমকক্ষ কোনো গল্পকার নেই। উনি দেশের অনেক বিখ্যাত লেখককেও টেক্কা দেওয়ার মত লিখে থাকেন বলে আমি মনে করি। মানুষের মনন উনার বেশিরভাগ গল্পের মুল উপোজীব্য। উনার গল্প পড়া শুরু করলে একটা ঘোরের রাজ্যে চলে যেতে হয়, যেখানে তিনি কাঁটাছেড়া করেন মানুষের মনকে, প্রাত্যাহিক জীবনযাপনকে। বুঝিয়ে দেন কেনো, কিভাবে, কোনভাবে চলে আমাদের জীবন। কেমন করে চালানো উচিৎ। এরকমই কিছু সম্পুর্ন ভিন্ন স্বাদের ছোটগল্প নিয়ে সাজানো এই বইটি। পাঠক বইটি পড়ার সময় একবার হলেও ভাবতে বাধ্য হবে এই লোকটা আমার সমন্ধে এতো কিছু জানলো কিভাবে! কিভাবে সে বলে যাচ্ছে অনর্গল আমারি মনের কথা। সবশেষে বলি অবশ্যপাঠ্য একটা বই।
প্রাপ্তিস্থানঃ ৯৭ নং স্টল। পরিবেশক-আদর্শ। মূল্য-১৩২ টাকা
আজ তোমার মন খারাপ মেয়েঃ
সবার প্রিয় গীতিকার। অসংখ্য অসাধারণ গীতিকাব্যের স্রস্টা, সবার প্রিয় রানা/নস্টালজিক ভাই এই বইটির লেখক। উনাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। উনি নিজেই নিজের পরিচয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের থিম সং এর বাংলা ভার্সনের গীতিকবিতা নিজেদের করে নেওয়ার কৃতিত্ব শুধুই উনার। যা নিয়ে আজ আমরা উচ্চস্বরে কিছু বলতে পারি যে আমরাও আয়োজকের একটা অংশ ছিলাম। উনি লিখেছেন "পরী" নামের সেই অসাধারণ গীতিকবিতা যা বেঁচে থাকবে, যতদিন বাংলা গান বেঁচে থাকবে। বেঁচে থাকবেন উনি। এই দুইটা গীতিকবিতায় অনেক কিছু বলে দেয় রানা ভাইয়ের সমন্ধে তারপরো বলা বাকি থাকে যাযাবর মনের এই গীতিকবি সমন্ধে। আমি উনার গীতিকবিতা নিয়ে কিছু বলার সাহস রাখিনা সত্যিকার অর্থেই। শব্দ দিয়ে যে হৃদয়ে আলোড়ন তুলা যায়, শব্দ দিয়ে যে প্রতিবাদ করা যায়, শব্দ দিয়ে যে সুরের মুর্ছনায় মাতিয়ে রাখা যায়, শব্দ নিয়ে যে খেলা যায় সেটা উনি দেখিয়ে চলেছেন অনেক দিন ধরেই। সেরকমি কিছু আবেগময় স্মৃতি রোমান্থনের সাথে ভালোলাগা গীতিকবিতা দিয়ে সাজানো এ বইটি। যা প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশনী। স্টল নাম্বার ২৯৩-৯৫
আপডেটঃ বইটা আগামীকাল ২২শে ফেব্রুয়ারী নজরুল মঞ্চে প্রিয় ব্যান্ড "দলছুট" মোড়ক উন্মোচন করবে। সবাই আমন্ত্রিত।
চন্দ্রহারা মানবীর চুল থেকে জল ঝরেঃ
ব্লগের অন্যতম কবি ইনি। কবিতা কথা বলে। কবিতা স্বপ্ন দেখায়। কবিতায় তিনি প্রকাশ করেন মনের যত অনুযোগ। তিনি আমাদের সবার প্রিয় মাহী ফ্লোরা এই বইয়ের লেখক। কবিতা লিখে চলেছেন অক্লান্ত। কবিতা যে মানুষের ভাষাও হতে পারে সেটা উনার কবিতা পড়লেই বুঝা যায়। সব্যসাচী ব্লগার হলেও কবিতা উনাকে অন্য মাত্রায় প্রকাশ করেছে ব্লগে। কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠা আদায় করে নিয়েছেন সবার মাঝে। এটাই সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। এত এত লেখক কবির মাঝে নিজেকে চেনানো কম কথা নয় তারপরো উনি অল্প সময় এসেই সেটা করেছেন খুব সহজে। ৫৮টি কবিতা দিয়ে সাজিয়েছেন ৮০ টাকা মুল্যের এই কবিতার বইটি যা পাওয়া যাবে পরবাসী স্টলে। পরবাসীর স্টল নং ৩১২-৩১৩-৩১৪।
মৌনমুখর বেলায়ঃ
একজন কবিতা নিবেদিত প্রাণ ব্লগার কে যদি প্রশ্ন ছুড়া হয় তবে তার ইউত্তরে নির্দ্বিধায় এই কবির নাম চলে আসবে। তিনি সবার প্রিয় রেজওয়ান মাহবুব তানিম। বের করেছেন এই বইটি। কবিতা যে স্বপ্ন হতে পারে তা এই লেখককে না দেখলে বুঝার উপায় নাই। উনার কথাগুলো ঘোরে কবিতাকেন্দ্রিক। উনার স্বপ্ন গুলো ঘোরে কবিতাকেন্দ্রিক। মেধাবী এই কবি কবিতা নিয়ে পরিশ্রম করেন, চেষ্টা করছেন ব্লগে কবিতাকে জনপ্রিয়তা করে তুলার জন্য। উনার বইটি জাতীয় গ্রন্থ প্রকাশন, বইমেলা ১১৭-১১৮ নং স্টল। এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন সবাই।
নিকাশের দায় রেখেঃ
আরেকজন কবিতা নিবেদিত ব্লগার এবং কবি। কবিতা ভালোবাসেন, কবিতা/গল্প নিয়ে কাঁটাছেড়া করতে ভালোবাসেন এই লেখক। তার ভালোলাগা কিংবা মন্দ লাগা গল্প কিংবা কবিতা নিয়ে আলোচনা করেন খুব সুন্দরভাবে। তিনি হানিফ রাশেদীন। কবিতা লেখেন এবং কবিদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন অক্লান্ত ভাবে। এবার বই মেলায় এই বইটি উনার এতদিনের কষ্টার্জিত সাফল্য। যা পাওয়া যাচ্ছে সূচীপত্র, ষ্টল নং- ২১১, ২১২, ২১৩ উলুখাগড়া, (লিটল ম্যাগাজনি চত্বর)
অণু বই: একজন স্বদেশ চলে গেলে কার কি আসে যায়ঃ
বইটি বাজারে এসেছে ৮ই ফেব্রুয়ারী লিটল ম্যাগ চত্বরের ভনে প্রকাশনী থেকে। আমার এবং ব্লগের প্রায় সবার প্রিয় কবি স্বদেশ হাসনাইন এর লেখা বইটি। বইটির মুল্য প্রকাশক নির্ধারন করেছে ১০০ টাকা (ব্লগারদের জন্য ৬০ টাকা) । এই কবি সমন্ধে বলার কিছু নেই। ব্লগের কবিদের মাঝেও তিনি খুবি প্রিয় এবং সম্মানীয় এই কথাটা দিয়েই বুঝা যায় তার কবিতার গভীরতার কথা। জীবনকে তিনি দেখেন কবিতার মাধ্যমেই। বলেন কবিতার মাধ্যমেই। কবিতার প্রতি তিনি যতটা অনুরাগ পোষন করেন বিশ্বাস করি কবিতাও তাকে ততটাই ভালোবাসা ফেরত দিয়ে থাকে।
অপর বাস্তব-৬ঃ
ব্লগের বই ব্লগারদের বই। এতটুকুই যার পরিচয়। প্রতিবছর আসে এই বইটি ভিন্ন ভিন্ন বিশয় নিয়ে। এবারের বিশয় ছিলো রম্য এবং বিকল্প মিডিয়া। যেহেতু এটা ব্লগের বই সেহেতু লেখা জমা পড়ে হাজার হাজার। তার ভিতর থেকে বেছে নেওয়া হয় সেরা কিছু লেখা। এবারো তার ব্যতিক্রম ছিলো না। এই বইটি পড়লে অবশ্যই খুঁজে পাবেন ব্লগের নিঃসন্দেহে কিছু সেরা লেখককে। তাদের রম্য পড়ে যেমন হাসবেন তেমনি বুঝতে পারবেন রম্য দিয়েও বলে দেওয়া যায় অনেক কিছু, করে ফেলা যায় প্রতিবাদ। বইটির আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টায় 'শুদ্ধস্বর' স্টলের (৪৪৪-৪৪৬) সামনে মোড়ক উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। আপনি সবান্ধবে আমন্ত্রিত।
বহূমাত্রিকঃ
সর্বশেষ যে বইটি নিয়ে বলছি এটি শুধু বই নয়, একটি স্বপ্ন ও। স্বপ্ন ছিলো ৩০ জনে মলাটবদ্ধ হওয়া তবে শেষ পর্যন্ত ভাষার মাসের উল্যখযোগ্য তারিখের মতো কাকতলীয়ভাবে ২১ জনে মলাটবদ্ধ হওয়া। যে বইটির মোড়ক উন্মোচন হলো প্রিয় কবি, রূপসী বাংলার অন্যতম কবি জীবনানন্দ দাসের জন্মবার্ষিকিতে যেটাও ছিলো কাকতলীয়। ২১ জনকে একত্র করা তাদের কাছ থেকে কবিতা সংগ্রহ, কবিতা ছাপানো ভুল ত্রুটি শুধরানো, বইয়ের প্রচ্ছদ সবার মন মতো করা সোজা কাজ নয়। তারপরো কাজগুলো সোজা হয়ে গিয়েছিলো কিছু নিবেদিত প্রাণ মানুষের জন্য। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ত্যাগেই সৃষ্টি হয়েছে এই বইটি। যেখানে ২১ জন কবির ২টি করে কবিতা সংকলিত হয়েছে। এই ৪২টি কবিতায় যেমন আছে সুঃখ দুঃখের বাতাবরন তেমনি আছে ইচ্ছের স্বপ্নঘুড়ি। আছে রাত্রির মৌনতা, আছে তীব্র ঘৃণা, আছে নিঃসঙ্গ ছুটে চলার অভিলাষ। ভালোবাসার মোড়কে আবদ্ধ বইটি পাওয়া যাবে বইমেলার ৪৯৩ নং রকমারি.কম এর স্টলে। উল্লেখ্য, 'বহুমাত্রিক' বইটির বিক্রয় থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ চ্যারিটি তহবিলে যাবে। এই বইটিতে যারা আছেনঃ-
জামিনদারঃ একজন পুরোদস্তর কবি। কবিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিজের মত করেই।
কে কে গুপ্ত(নীরব০০৯)ঃ গল্পকার কিন্তু কবিতার প্রতি প্রেম একটু বেশিই। ভালোবাসেন কবিতায় প্রকাশিত হতে।
কাসাফাদ্দৌজা নোমানঃ গল্পকার এবং কবি। দুটোতেই সাবলীল।
ছাইরাস হেলালঃ একজন আপাদমস্তক কবি। কবিতায় ভাবতে ভালোবাসেন। কবিতায় স্বপ্ন দেখেন এবং দেখান।
ছোটমির্জাঃ নয়া কবিতা প্রেমিক। কবিতা লিখতে যেয়ে কবিতার সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছেন সদ্যই।
তারিক মাহমুদ(নীরব দর্শক)ঃ নীরবে শুধু দেখেই গেছেন এতদিন এখন কবিতা লইখে ধরা খেয়েছেন কারন তিনিও ভালো লিখেন।
ত্রাতুলঃ ইনাকে প্রশংসা করার যোগ্যতা অর্জন করেছি কিনা জানি না তবে বলতে পারি অসাধারণ একজন কবি। কবিতায় বেঁধে ফেলতে চান সবকিছি হোকনা সেটা অবাধ্য তবুও।
নষ্ট কবিঃ একজন ভালো গদ্যকার এবং কবি। অনেকে ভালোবেসে ডাকেন গবি। অস্থিরতাগুলোকে কবিতায় সমাধিস্থ করাটাই যার কাজ।
নিভৃত নয়নঃ একসময়ের নিয়মিত গল্পকার এবং কবি। কবিতা উনার ভালোবাসা।
ময়নামতিঃ ইনার সাথে ইন্ট্যারাকশন কম থাকার দরুন বলতে পারছিনা তবে বইয়ে পড়া কবিতা থেকে বলতে পারি, ছন্দজ্ঞান দারূন। ছন্দে ছন্দে আশার কথা স্বপ্নের কথা বলেছেন উনার কবিতায়।
মোঃ আরিফ রায়হান মাহিঃ ইনার কবিতাও পূর্বে পড়া হয়নাই। তবে বইয়ে প্রকাশিত কবিতা দুটোই স্বপ্নের কথা ভালোবাসার কথা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ভাবতে বাধ্য করেছে আমিও সেই মায়াময় পথে হেঁটে চলেছি কারো পাশাপাশি।
মিরাজঃ আমি নিজে। নিজেকে কবি বলতে লজ্জা লাগে। কবিতা লেখাটা অনেক কঠিন কাজ যা আমার জীবনে লেখা দুই তিনটা কবিতা লিখেই বুঝে ফেলেছি। এইসকল কবিদের সাথে থাকতে পেরে গৌরবান্বিত হয়েছি শুধুমাত্র।
মোজাম্মেল হক পাভেলঃ স্বপ্ন দেখেন আলাপনের সাক্ষি রেখে নির্ঘুম চাঁদকে। কবিতা দুটো অনেক ভালো লেগেছে। আমিও উনার মত ভাবতে শুরু করেছি।
রোকন রাইয়ানঃ কবিতা দিয়ে যার সাথে আমার পরিচয়। একজন সংঘঠক, কবি এবং গল্পকার। অনেক সুন্দর লিখেন।
সাহেদ খানঃ পরিচিত কবি। যাকে পরিচয় করিয়ে দেবার মত পরিচয় আমার নাই। একজন ভালো মানুষ এবং গায়ক ও বটে।
সুপান্থ সুরাহীঃ কবি সমাজের অলংকার। কবিতা যার নেশা। কবিতায় প্রকাশ করেন সবকিছু, ভালোবাসা থেকে ক্ষোভ। ইদানিং চাকরীর জন্য ব্লগকে কম সময় দিচ্ছেন।
শায়মাঃ ইনাকেও আমার পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। অনেক আগে থেকেই ব্লগকে ভালোবেসে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন কবিতা থেকে শুরু করে অনেক কিছু। স্বমহিমায় ভাস্বর এক কবি।
শাকিলা তুবাঃ কবিতায় দর্শন ফুটিয়ে তুলেছেন অনবদ্যভাবে।
শিপু ভাইঃ কবি তকমা না লাগিয়েও কবিতা এত সুন্দর করে লেখা যায় তা উনার কবিতা না পড়লে বুঝা যাবে না। কবিতা উনার লক্ষ্য নয় তবুও ভালোবাসেন কবিতা এটাই বা কম কিসে।
তির্থক আহসান রুবেলঃ উনার একটা কবিতা পড়ে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি হ্যাটস অফ ব্রো। কবিতা দিয়েও যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া যায় সেটা উনার কবিতায় সবাই উপলব্ধি করতে বাধ্য হবেন বলেই আশা করি।
হূপফুলফরিভারঃ হারিয়ে যাওয়া প্রিয় একজন ব্লগার, প্রিয় একজন মানুষ। কবিতা গল্প স্মৃতিকথায় নান্দনিকতার ছাপ পরিলক্ষিত।
কৃতজ্ঞতাঃ জিসান শা ইকরাম , অথৈ সাগর কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি রেজোওয়ানা আপুকেও। সুন্দর সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
এবং কিছু কথাঃ
বই মানুষকে সমৃদ্ধশালি করে মননে, চিন্তায় এবং কাজে। বই মানুষকে উৎসাহিত করে। বই মানুষকে স্বপ্ন দেখায়, বই মানুষের একমাত্র বিপদের বন্ধু যা কখনোই বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এখন আমি ব্লগারদের বলবো উপরেল্লোখিত বই গুলো কিনতে। কিন্তু কথা হলো কেনো কিনবেন? কিনবেন এই জন্য যে এই ব্লগাররা আপনার সহব্লগার। আপনি আমি বা আমরা সবাই আমাদেরকে প্রকাশিত করার জন্য ব্লগে এসেছি। আমাদের প্রকাশ করার ভঙ্গিমা ভিন্ন হলেও উদ্দ্যেশ্য অভিন্ন। কেউ গল্পে প্রকাশিত হন, কেউবা কবিতায়, কেউবা লিরিকে, কেউবা দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে। আমরা আমাদের সুখ-দুঃখ, ক্ষোভ-হতাশা, স্বপ্ন-আশা প্রকাশ করে থাকি এই প্ল্যাটফর্মে। চিন্তার ভিন্নতা থাকলেও আমরা একটা গোষ্ঠি হিসাবেই আছি। সেই গোষ্ঠির একজনের উৎসাহ ছাড়া এখানে উল্লেখিত কেউ সাহস রাখতেন না বই প্রকাশের। আপনার আমার এবং আমাদের একটুখানি অনুপ্রেরণাই পারে এই সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে। আমি বা আমরা কেউই চাই না ব্লগাররা একবার বই বের করে থেমে যাক সুযোগ নিক কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। যেখানে মননের প্রশ্ন সেখানে আপোষ করার কোনো যুক্তি নেই। তাই আসুন এই সকল প্রিয় ব্লগারদের বই কিনি, পড়ি এবং বন্ধুদের পড়তে উৎসাহিত করি। তাহলে আমাদের স্বপ্নের দেশের বাস্তবায়ন খুব বেশি দূরে থাকবে না কারন বই মানুষকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় শেখায় আত্মত্যাগ করতে।
অঃটঃ এখানে উল্লেখিত বইগুলো আমার পরিচিত এবং কিছু প্রিয় মুখের, সেজন্য এই পোষ্ট। এটা কখনোই পুরো ব্লগকে প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই অনেক সুন্দর সুন্দর লেখকের বই এখানে উল্লেখ করা হয়নি। যাদেরকে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের কারো কোনো আপত্তি থাকলে এডিট করা হবে। কয়েকজনের লিঙ্ক দিতে না পারার জন্য দুঃখিত। এই টাইপ পরিশ্রমলব্ধ পোষ্ট দেওয়াটা আমার কর্ম নয়, পোষ্ট তৈরির পরের উপলব্ধি। সবার জন্য শুভকামনা।