মতিঝিলে লাশ গুম করা হয়েছে এমন কথায় নেতা-নেত্রী-মিডিয়া বেশ সরগরম। এই বিষয়ের সুরাহা খুব সহজেই সম্ভব। যারা লাশ গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করছে যেমনঃ এমকে আনোয়ার, সাদেক হোসেন খোকা, শামসুজ্জামান দুদু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ বিএনপি-জামাত নেতাদের সঙ্গে হেফাজতি নেতা জুনাইদ বাবুনগরী, নূর হোসাইন কাসেমী, আবদুল রতিফ নেজমী সাহেবসহ কয়েকজন এবং বিজিবি প্রধান, ডিএমপি কমিশনার, র্যাব প্রধান সহ আরো কয়েকজন একসঙ্গে আলচনায় বসতে পারে। সে রাতে মতিঝিলে উপস্থিত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগন, ধারনকৃত ও প্রচার করা ভিডিও ক্লিপ সহ সহায়ক অন্যান্য সবকিছু নিয়ে বসতে পারেন। যে কোন একটি মিডিয়া এ আলোচনার উদ্যেগ নিতে পারে। এই আলোচনায় বুদ্ধিজীবিগনও থাকবেন। লাইভ প্রচারের মাধ্যমে দেশবাসীও সরাসরি দেখবে।
এভাবেই একটি ফয়সালায় যাওয়া সম্ভব। নইলে এটা নিয়ে অপরজিনৈতিক অপপ্রচার বন্ধ হবে না। বছরের পর যুগের পরে যুগ এই অপপ্রচার চলবেই। কিন্তু সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে বন্ধ হওয়া উচিৎ।
যদিও অপপ্রচার করে লাভ নেই। এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে অপপ্রচার আর গুজব। কারণ কয়েক হাজার লোক মারা গেলে তাদের স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোনরা ছবি নিয়ে কেঁদে কেঁদে ঢাকায় আসতো। সাভার ট্র্যাজেডি এর বড় প্রমাণ। হাজার হাজার স্বজন সাভারে ভিড় করেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে যাচ্ছে। এখনো লাশ খুঁজছে। কিন্তু মতিঝিল-শাপলা চত্বরে কয়েক হাজার লোক মারা গিয়ে থাকলে কমপেক্ষ ১ লাখ স্বজন ঢাকায় এসে ভিড় জমাত, লাশের দাবি জানাতো অথবা নিখোঁজদের খুঁজতো। তাইনা? কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো সংবাদ বা ঘটনা আমরা জানতে পারি নি যে, লাশ বা স্বজনের খুঁজে শত শত লোক ঢাকায় ভিড় করছেন। হাতে ছবি নিয়ে ঘুরছেন অথবা স্বজনের শোকে আহাজরীতে ভারী করে ফেলেছেন ঢাকার বাতাস। এমন কথা কোথাও কেউ শুনিনি। এটা বুঝতে খুব বেশি হিসেব-নিকেশ আর বক্তব্যের দরকার নাই। খুব সহজ কমনসেন্সে এটা বুঝা যায়।
এরপরেও সরাসরি আলচনার প্রস্তাব এই কারনে যে, এটা নিয়ে মিথ্যাচার এবং নোংরা ভোটের রাজনীতি হবে। এজন্য এই বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ হলে আরেকটি বিষয় হবে; সেটি হলো, কতিপয় নেতার মিথ্যাচার প্রকাশিত হবে। জাতি দেখবে সরাসরি। এতে আর কেউ মিথ্যাচার করার সাহস পাবেনা। এজন্য এই প্রস্তাব।
তাই কোন একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দ্রুত আলোচনার আয়োজন করুন। প্লিজ...................