২২ টি বছর আগে এক সরিষা ক্ষেতের আইল ধরে এক ভীষণ হলুদ বিকেলে আমরা অনেকগুলো ভাইবোন মিলে গিয়ে দাঁড়ালাম এক প্রকান্ড নদীর তীরে । আমার বয়স তখন পাঁচ , জগত পাঠশালার ভীষণ মনযোগী ছাত্র । সে বিকেল কি মায়ায় জড়ালো জানিনা , ২২ বছর পরেও প্রতিটা বিকেলের অন্তত একটি মুহুর্তে এ চোখ জোড়া , আকুল হয়ে সে নদীতে প্রতিফলিত হয়ে আসা স্বর্ণ রশ্মি খোঁজে।
সে নদীর নাম "পদ্মা "। আমার একান্ত আপন নদী , যেখানে মিশে আছে আমার পূর্বপুরুষের শেকড়। সেই বিকালের স্বাক্ষী কয়জন ছিলাম আমরা? অ্যালবামে রেখে দেয়া রঙিন ছবিতে মুখ গুনে ১৮ জনকে খুঁজে পাই ।
আমি পাহাড়ে বেড়ে ওঠা মানুষ , সে পাহাড় মোটেও রাঙামাটির পাহাড়ের মত ভীষণ সবুজ ছায়া দিত না, ধুসর সে পাহাড়ে গাছ দুষ্প্রাপ্য , আর প্রস্তর -নুড়ি বিস্তর। সুদূর ইরান দেশের রুক্ষ সে পাহাড় বেয়ে বেড়ে উঠেও আমি নদীকেই বেশি ভালবাসতাম । সে নদীর বর্ণনা দিলে হয়তে অনেকের গালেই টোল পড়বে। হসপিটাল কম্পাউন্ডের পেছনেই সারি সারি চিনার গাছ , এক সারি , দু'সারি কি দশ সারি সে কথা মনে নেই । শুধু মনে পড়ে চিনার গাছ জড়িয়ে নিঃশব্দ হয়ে রইলে যার কুলকুল ধ্বনি শোনা যেত , সেই আমার প্রথম ভালবাসা নদী । পাহাড়ী সে নদী প্রস্থে ৩০ কি ৪০ হাত , অথচ স্রোতস্বিনী । অনেকগুলো বছরে একটি মুহুর্তেও তাকে মন্থর হতে দেখিনি। ছোট সে নদীই কি পদ্মার মায়ার জালে আমায় জড়িয়েছিল ?
আবার সেই বিকেলে ফিরে যাই , গোধূলীলগ্নে আলো আঁধারীর মাঝে সবার সাথে দাদাবাড়ি ফিরছি , পেছনে ফেলে আসা পদ্মার শব্দ নীরব হচ্ছে , আর আমার ভেতরকার ছলাৎ ছলাৎ ধ্বনি গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।
বাবা মায়ের সাথে আবার ফিরে গেলাম ইরানে । অনেক স্মৃতির সাথে নিয়ে গেলাম পদ্মাকেও। পদ্মা নিয়ে আমার সে কি উচ্ছাস, ছোটবেলার সে কথা ভেবে হাসিই পায় , ভীষণ ভাললাগা ছুঁয়ে যাওয়া হাসি। ইরানিরা আমাদের দেখলেই জিজ্ঞেস করত বাংলাদেশে আমাদের বাড়ি কোথায় । ঢাকা ছাড়া কোন শহর চিনত না বলে আমার সমবয়েসী অন্য ছোট বাংলাদেশীরা হয়ত বলত "ঢাকা"। দাদাবাড়িতে স্থায়ী হয়ে থাকা হয়নি, তবুও আমি বলতাম "পদ্মা নদীর ধারে" । তারপর ভীষণ উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে চেয়ে থাকতাম পরের প্রশ্নের আশায় । পরের প্রশ্নটি ছুটে আসতো , "পদ্মা ? এটা কোন নদী ?"। বাবার মুখে শুনে আমি শিখে নিয়েছিলাম উত্তর । পন্ডিতের মত বলতাম "গঙ্গা চেনো ? গঙ্গাই তো পদ্মা । বাংলাদেশে ওকে পদ্মা নামে ডাকে " । মোটামুটি সবাই গঙ্গা চিনে যেত , বাড়ি ঠিকমত চেনাতে পেরেছি বলে আমার ভেতরকার আনন্দের ছটা বোধ করি চোখে মুখে খেলে যেত।
তারপর আরও কত কি আদিখ্যেতা । ছোটবেলার আদিখ্যেতাগুলোর কথা মনে হলে এখন লজ্জা লাগার কথা , অথচ পদ্মা নিয়ে আদিখ্যেতা গুলো এখনও কত গভীরভাবে অনুভব করি। মানচিত্র দেখা শিখলাম বাবার কাছে , রাজশাহীর দক্ষিণ প্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে গোয়ালন্দ ঘাটের কাছে যমুনার সাথে মিশে আরও বড় পদ্মা , তারপর চাঁদপুরের কাছে গিয়ে মেঘনায় বিলীন। যমুনার সাথে মিশে যাওয়াটা আমার একদম পছন্দ হত না । সে পদ্মায় আমি যমুনার গন্ধই বেশি করে পেতাম । আমার চোখে পদ্মা ছিল গোয়ালন্দ অব্দি। গোয়ালন্দের উজানে থেকে খাঁটি পদ্মা পাড়ের বাসিন্দা আমি , সে কথা ভেবেও কি অদ্ভূত গর্বটাই না হত ।
বাবার কাছে বায়না ধরতাম পদ্মার গল্প শোনাতে । বাবা গভীর কিসের মাঝে যেন ডুবে যেতেন । সে গল্পে হাসি থাকত , কষ্ট থাকত , আমার কাছে বাবার জীবনটা উপন্যাসের মত মনে হত । বাবা বলতেন "যে পদ্মা তুমি দেখে এসেছো , সে তো কিছুই নয় , কি প্রকান্ড ছিল পদ্মা সেটা বোঝানো দায়" । পাহাড়ী ত্রিশ হাতি নদী দেখে বেড়ে ওঠা আমি কল্পনায় পদ্মাকে আর বড় করতে পারতাম না , একসময় ক্ষান্ত দিয়ে বাবার পদ্মাকে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের মত করে ভাবতাম।
বাবার ছোটবেলায় পদ্মাজুড়ে দিনমান চোখে পড়ত অসংখ্য পালতোলা নৌকা । আমার দাদাবাড়ি ছিল পদ্মার ঠিক পাশেই । এমন কোন দিন যেত না যেদিন আমার বাবা অন্তত দু'বার পদ্মায় গোছল করতে নামতেন না। দাদাবাড়ির পাশেই নৌকা বাঁধা থাকত , সে নৌকা বেয়ে কতদিন আমার বাবা হাটে যাচ্ছেন , সে ছবি দেখতে কষ্ট হত না । পদ্মায় সে সময় কুমির চোখে পড়ত , রোজ সকালে ঘাটে সারি সারি নৌকায় মিলত স্তূপ করা রুপালী ইলিশ । নদীর এপাড়ে পাবনার সুজানগর আর ওপাশের রাজবাড়ীর পাংশার মানুষজনের মাঝেও ছিল গভীর আত্মীয়তার বন্ধন । নদী পাড় হয়ে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যেতেন বাবারা দল বেঁধে। বাবা যখন ঢাকায় মেডিকেলে পড়েন , দাদা ব্যবসা শুরু উপলক্ষে নিজের গ্রামের পাশ থেকে লঞ্চে চড়ে পদ্মা হয়ে নিয়মিত নারায়ণগঞ্জে যেতেন।
কেবল এসব শুনে আমার তৃপ্তি হত না । একবার দাদার কাছে পদ্মা স্মৃতি জানতে চেয়ে চিঠিই লিখলাম । সে চিঠির উত্তর আসতে দু'টো মাস লেগে গেল । সবটুকু মনে পড়ে না , কিন্তু দাদা লিখেছিলেন:
"আমাদের গ্রামের পাশেই সাতবাড়িয়ায় স্টিমার ভিড়ত , সে স্টীমারে চড়ে যাওয়া যেত কলকাতা পর্যন্ত । ত্রিশ দশকের শেষ দিকে কলকাতা থেকে স্টিমারে খবরের কাগজ আসত , বিশ্বযুদ্ধের অবস্থা জানতে দাদা অপেক্ষা করে রইতেন। তারও দু'তিন বছর আগে ঘাট থেকে লোকেরা স্টিমারের যাত্রীদের কাছে খেলার খবর জিজ্ঞেস করতেন । কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের একের পর এক বিজয়ের খবর আসত স্টিমারের ভেতর থেকে । ঘাটে জমা হওয়া উৎসুক মানুষের মাঝে উল্লাস শুরু হয়ে যেত"। দাদার জবানীতে আমি আমার কল্পনার চোখে ১৯৪০ সালের কোন একদিন পদ্মা হয়ে আসা কোন যাত্রীকে নিবিষ্ট মনে পড়তে দেখি পত্রিকার হেডলাইন "রাতভর লন্ডনে জার্মান বিমানের বোমাবর্ষণ"।
হয়ত মাঝে কয়েকটা দিন কেটে যেত , বাবার কাছে আবার শুনতে পেতাম পদ্মার গল্প । "বুঝলে ? পদ্মাকে সবাই ডাকত কীর্তিনাশা , কত মানুষের কত কিছু যে ভেঙে নিয়ে গেছে এই পদ্মা । আমাদের বাড়ি , মানে তোমার দাদাবাড়ি ভেঙে গেল পরপর দু'বার । বিশাল বাড়ি ছিল , এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে ভেঙে যাওয়ার সেসব ছবি। এত বড় পরিবার নিয়ে নদী থেকে অনেকটা দূরে এসে ঘর তুলতে হল । ছোটবেলার সে বাড়ির দুঃখ ভুলতে পারি না "
পরের বার দেশে এলাম , বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এবার পদ্মার ধারে দাঁড়ালাম। জিজ্ঞেস করি , আচ্ছা , তোমাদের বাড়ি কোথায় ছিল ? বাবা চারপাশটা ভাল করে দেখেন , তারপর কোনাকুনি হাত বাড়িয়ে দেখালেন । আমি ঠিক জায়গাটা ধরতে পারিনা , কিন্তু বুঝতে পারি , জায়গাটা মাঝ নদী পেড়িয়ে আরও ওদিকে। আমার প্রশ্ন শেষ হতে চায় না । বোকার মত প্রশ্ন করি : "আচ্ছা ওপাশে কি পাংশা উপজেলা ? এখন কেউ ওখানে যায় না?" বাবা বলেন , "যাবে না কেন , এখনও তো যায়"।
আমার খুব পাংশা যেতে ইচ্ছে করে , কেন যেতে ইচ্ছে হয় জানিনা। ফেরার পথে বাবাকে জিজ্ঞেস করি "কই পদ্মাতো বড়ই লাগে , তুমি বল এর কিছুই অবশিষ্ট নেই"।
তারপর আবার পদ্মা থেকে দূরে চলে যাই , দিন কাটে , বছর কাটে , অনেক কিছু বদলায় । বাবার মুখে ফারাক্কার কথা জানি । ভীষণ কষ্ট হয় , ভেতরটা দলা পাকিয়ে আসে । পদ্মার আরও কত কি গল্প শুনি । ৭১ এ আমাদের গ্রামে অনেক ধনাঢ্য হিন্দু বসবাস করতেন । যুদ্ধের সময় কলসের ভেতর স্বর্নালংকার লুকিয়ে অনেক হিন্দু পালিয়ে গিয়েছিলেন । নদী ভাঙনে পরে সেসবের কিছু কিছু বেরিয়ে আসে।
তারপর আরও অনেকগুলো বছর পর আবার ১৯ জন কাজিন দাদা-বাড়িতে হাজির হই । স্বর্নঝরা এক বিকেলে পদ্মাকে সামনে নিয়ে দাঁড়াই । সারি সারি নৌকা চোখে পড়ে না , আমার চাচাতো ভাই ভীষণ সুরেলা কন্ঠে গান তোলে "ও নদীরে , একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে"
পদ্মাকে আমি মন মনন থেকে তাড়াতে পারি না , প্রতিটা রক্তবিন্দুতে পদ্মাকে অনুভব করি । রবি ঠাকুর তার গল্পে কবিতায় নামহীন অনেক নদীর কথা লিখেছেন , স্বার্থপর হয়ে আমি সবক'টার মাঝেই পদ্মার ছবি খুঁজে পাই । কেনই বা পাবো না ? শিলাইদহ কি শাহজাদপুরে বসে কতগুলো অসাধারণ কবিতা উপন্যাসের জন্মই না তিনি দিয়েছেন । সে কালে পূর্ব বঙ্গে চলাচলের প্রধান মাধ্যমই ছিল নৌপথ , সে হিসেবে পদ্মায় ছিল তার অবাধ যাতায়াত। আমার কল্পনার জগত কেবল ভাবে , "আমার নিশ্চিন্তপুর গ্রামটির পাশ দিয়ে যাবার সময় কখনও রবি ঠাকুর ফিরে তাকিয়েছিলেন?"
শেষ যে বিকেলে পদ্মায় গেলাম , পদ্মা আমায় যেন নতুন কিছু দেখাল । চুন সুড়কিতে গাঁথা পুরনো দেয়াল ভেসে উঠেছে , চুন খসে গিয়ে কোথাও বেরিয়ে পড়েছে ইট । পাশে চোখে পড়ে ডুবে যাওয়া একটা নৌকার গলুই । স্থানীয় মানুষেরা সে দেয়াল দেখে চিনতে পারে । প্রায় ৪০ বছর আগে ভেঙে যাওয়া এক সম্ভ্রান্ত বাবুর দালানের ধ্বংসাবশেষ । আমি কি যেন খুঁজি । কি খুঁজছি বোকার মত ? কলস ? স্বর্নালংকার ? সে স্বর্নালংকার যদি পেতাম তার স্বর্ন মিলত না , আমি যে স্বর্ণের মাঝে ৭১ এ হারিয়ে যাওয়া কোন মা বা মেয়ের কান্নাই খুঁজছি
নৌকা দেখে এক মুহূর্ত কীর্তিনাশা পদ্মার কথা মনে হয় । এই নদী কত স্বপ্ন ভেঙেছে , এপারের সুজানগর আর ওপারের পাংশার মাঝে আত্মীয়তার বন্ধন গড়ে ফিরে আসার পথে হয়ত মাঝ নদীতে ডুবে হারিয়ে গেছে কত স্বপ্ন ।
পরক্ষণেই আমার নিজেকে কেন যেন সেই পুরনো দিনের মানুষ মনে হয় । সেই পুরনো সময়ে সেই দালানে আমার প্রবেশাধিকার নাই জেনেও দালানের শৌর্য সৌকর্যের দিনগুলি দেখে আসতে ভীষণ ইচ্ছে হয় ।
তারপর কয়েকটি বছর কেটে গেছে আমি পদ্মাকে দেখা দিইনি । নদীহীন সুদূর পরবাসে একটি মুহুর্তও পদ্মাকে ভুলিনি । অনেকগুলো দিন পর দেশে ফিরে এসেছি , কিন্তু পদ্মা বিরহের অবসান এখনও হয়নি।
কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এখন আর ভাল খেলেনা জেনে কষ্ট হয় । বরিশালগামী স্টিমারের শব্দ আর দেহ আমি কল্পনায় নিষ্প্রাণ পদ্মায় অতিক্রান্ত হতে দেখি , অথচ মোহামেডানের জয়ের খবর পাব না ভেবে মনটা বিষাদগ্রস্থ হয়ে উঠে।পদ্মায় নেমে গোছল করার সুযোগ হবে না ভেবে , সাঁতার শিখতে ইচ্ছে হয় না । জল হারানো পদ্মায় বাবার মত একাকী ডিঙি নৌকা বাইতেও শখ হয় না।পদ্মা নদীর মাঝি কুবেরের জেলে পাড়া কোথাও আর খুঁজে পাই না। শত মাছ ধরা নৌকার কুপিবাতি আর হারিকেনে পদ্মা বুকের নিকষ কালো আকাশে যে শত তারা জ্বলজ্বল করত , সেসব খুঁজে পাই না। পাকশীর কাছে শতবর্ষী হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে ধু ধু মরুভুমি দেখে বুকটা চৌচির হয়ে যায় ।
শত নাই আর হারানোর মাঝেও ইচ্ছে হয় অন্তত একবার বর্ষায় একাকী পদ্মার সামনে গিয়ে দাঁড়াবো , ঠিক কবিতার সাথে মিলিয়ে এমন কোথাও , দিনের এমন কোন সময়, ঠিক যেন বলা যায় :
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা—
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসী-মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা—
এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা॥
রবিবাবুর প্রিয় বজরা "পদ্মা"য় চড়ে তার চোখে এঁকে থাকা পদ্মার ছবি টুকে নিতে ইচ্ছে হয় । তাকে অনুরোধ করতে ইচ্ছে হয় , সবগুলো নামহীন নদী পদ্মায় মিশিয়ে দিতে । এই ব্যস্ত নগরজীবনে কখনও বর্ষায় পদ্মার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয় না , নিকষ কালো মেঘের মাঝে পদ্মা তীরে বসে সোনার তরী আসে কিনা দেখতে ইচ্ছা হয়।
পদ্মায় আমার শেকড় গেঁথে আছে । অনেক অনেক পুরনো দিনে ফিরে গিয়ে আমারও স্টিমারে চড়ে কলকাতায় যেতে ইচ্ছে হয় , অথচ দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো ফারাক্কা বাঁধের কথা ভেবে অস্থির রকমের কষ্ট হয় । আশ্চর্য, সুন্দরবনে কুমির দেখেও আমি পদ্মার হারিয়ে যাওয়া কুমিরই খুঁজি। পদ্মা নদীর মাঝি হয়ে অচেনা ময়নাদ্বীপ খুঁজে বেড়াই ।
২২ বছর পর আবার সেই ১৮ টি মুখকে নিয়ে বর্ষাস্নাত ভেজা আরেকটি ছবি আঁকতে ইচ্ছা হয় , শেষ আরেকটি বার পদ্মার বুকে "ও নদীরে একটু কথা শুধাই শুধু তোমাকে" শুনতে ইচ্ছা হয় ।
জানি , সেসব আর হওয়ার নয়..............................