somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেলস ফ্রম দা “গবেট’স ল্যান্ড’ B-)

১৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লেখকঃ রাহাত খান


(এটি কিছু গল্পের সমাহারে এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক। যদি অনিয়ত্রিত ভাবে কোন ঘটনা বা কোন চরিত্র কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তির সাথে মিলে যায় তা হবে সম্পূর্ণ কাকতলীয়। এর মধ্যে কোন কিছু ব্যস্তবের সাথে এমন কিছু পেলে আপনি একজন গবেট, এবং আশা করি আপনে তা কোনদিন প্রমান করবেন না. এই লেখা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সংশোধন, বিয়োজন, আর যে ভাবে সম্ভব করে নামে , বে নামে, যা ইচ্ছা করে যতবার, যাকোনভাবে ব্যবহারের স্বত্ব সকলকে দেয়া হল)
রাজ্যাভিষেক
আমি যে দেশের কথা বলছি তা কোথায় আমি তা জানি না। হয়তবা আনেক দূরে কোথাও। কাছা কাছি হলে তো আমার আগেই আপনারা জেনে যেতে্ন। এই দেশের গল্প আমি শুনেছি সপ্নে। হাসেন কেন মানুষ যদি সপ্ন (ঘুমের সপ্ন) তে নির্দেশনা – ওষুধ পেতে পারেন তা হলে আমি একটা সাধারন গল্প পেতে পারব না … হাইসেন না , নতুন দেশটা কে চিনেন।

দেশটা কেমন। দেশটা আনেক সুন্দর। মানুষ আনেক বেশি , কিন্তু বেশীর ভাগ লোকই সাধারন, মিশূক, আতিথিপরায়ন আর কর্মঠ। কিন্তু তাদের কথা বা চাহিদার কোন দাম নাই। দেশের মূল শক্তি এরা হলেও, তা কেও বলে না। আর এই লোক গুলো এত সরল তারাও নিজেদের নিচু সম্প্রদায়ের মেনে নিছে।
কিছু লোক আসে যারা ধংস-বিদ্যালয় নামক এক জায়গা থেকে কিছু মন্ত্র মুখস্ত করে বের হয়ে ভাবে তারাই দেশ চালাসছে। আসলে দূর থেকে দেশের নীতি নির্ধারকরা হাসে। আসলে ঐ ধংস-বিদ্যালয়ে এই মানুষগুলাকে মেরুদন্দহীন ও মগজ দোলাই করা হয়। সে গল্প না হয় আরেক দিন করব।

বিরক্ত হন কেন। মুল গল্পে আসছি। গল্পের আগে ঘটনা বুঝতে হবে না। দেশটির ইতিহাস বড়ই প্যচাল। স্বাধীন হবার আগ পর্যন্ত দেশটি ২০০ বছর ফিরিঙি ল্যান্ড ও ২৪ বছর পূর্ন স্থানের লোকেরা শাসন করত। কিন্তু তার পরি লাগে প্যচ। একবার বলে এক রাজা একে স্বাধীন করছে আবার বলা হয় সেনাপতি। এই প্যচের গল্প শুনলে আপনি গবেট ল্যন্ডের গবেটদের মত গবেট হয়ে যাবেন। আর গবেট ল্যন্ডের গবেটরা ডিম আগে না মুরগী আগে এমন সমস্যার মত এই সমস্যা নিয়ে পরে আছে। কেমনে দেশর উন্নতি হয় , সুন্দর ভাবে চালানো যায় এই ফেলে , রাজা বর না সেনাপতি বড় এই নিয়ী ঝগরা করে দিন কাটায়।

গুনিজনরা বলে ভাল লোক বেশিদিন বাচে না। সেই কথা প্রমান করতে রাজা কে মেরে ফেলা হয়, এর পর সময়ের চাহিদায় সেনাপতি (সেনাপতি এক) রাজ্য পরিচালনার দ্বায়িত্য নেয়। কিন্তু সেওত ভাল লোক, বেশি দিন কিভহাবে বাচে। একদিন তাকেও মেরে ফেলা হয়। আগের সেনাপতির (সেনাপতি এক) দেখানো পথ ধরে নতুন সেনাপতি(সেনাপতি দুই) রাষ্ট্র চালানোর মহৎ , প্রবিত্র ও কষ্টকর দ্বায়িত্ব কাধে নিল।

এবাবে দিন কেটে যাছিল।
কিন্তু সমস্যা দেখা দিল আন্য যায়গায়। রাজা আর সেনাপতি এক এর ও তো ছেলে-মেয়ে-বউ আছে। তারা তো একটা কাজই পারে , রাজ্য চালনা। তো তারা বসে থাকে কেমনে। এদিকে রাজার মেয়ে রাজকুমারির আনুসারিরা গবেটলীগ আর সেনাপতির বউ এর আনুসারিরা গবেটদল এর নামে এক হতে থাকল। দিনে দিনে বেশির ভাগ গবেটরা এই দুই দলে ভাগ হয়ে গেল। সেনাপতি দুই পরল বিপদে, কারণ গবেটলীগ আর গবেটদল বিখ্যাত গবেট তন্ত্রের দাবি জানিয়ে বসল। একবার গবেটতন্ত্র দিয়ে সেনাপতি দুই কিছু দিন রাজ্য পরিচালনার মহৎ দ্বায়িত্ব নিজের কাছে রাখলেন। কিন্তু গবেটদের জ্বালায় তা আর সম্ভব হল না বেশি দিন। গবেটরা হল হাতির মত প্রানী। এম্নে শান্ত কিন্ত খেপে গেলে আর রক্ষা নাই। তো গবেট ল্যান্দ পরল এক মহা সমস্যায়। দেশ চালাবে কে। রাজকণ্যা চায় সে চালাবে, আন্য দিকে রানী চার সে চালাবে।

দেশের গবেট রা চোখে আধার দেখতে লাগল।
রানি আর রাজকন্যা বসল আলোচনায়। কিন্তু কেও ই দেশ পরিচালনার মহৎ দ্বায়িত্ব ছারতে রাজি না। দুই জনের ই আনেক আনুসারি আছে। আবার দেসে গবেট তন্ত্রের ঝামেলা। ভাল কাজ করলে তো একবার যে সুযোগ পাবে সারা জীবন ই সে দ্বায়িত্বে থাকবে। আন্য জন তা হলে কি আংগুল চুষবে। এ ভাবে হয় না। কি করা যায় ভাবে তেই দিন কেটে যেতে লাগল।

তখন এক বুদ্ধি বের করা হল। যেহেতু গবেটতন্ত্রে দেশ কে চালাবে বলবে গবেটরা , সুতরাং তাদের কে রানি আর রাজকন্যার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে বাধ্য করা হবে সুকৌশলে।তারা মনে করবে তারাই ঠিক করছে পরবর্তিতে রাজ্য কে চালাবে, আসলে এখানেই ঠিক হয়ে যাছে কিভাবে কি হবে।


কিন্তু কেমনে??????????????????
খুব সোজা যে যখন রাজ্য চালাবে তখন এমন আবস্থা তৈরি করবে আর গবেটদের এত জ্বালাবে যে পরবর্তিবার গবেটরা এমনেই আন্যজনকে পছন্দ করবে। আর পরের বার গবেটদের আরো বেশি জ্বালানো হবে, সুতরাং বুঝতেই পারছেন………………………… শুধু এতটুকু নিশ্চিত করতে হবে যাতে আর কেও এর মাঝে না আসে।
রানী আর রাজকন্যা খুশি হয়ে আলোচনা থেকে উঠে গেল। শুধু একে আপরকে কে বলে গেলেন , দেখেন আপা আমাদের এই মহৎ উদ্দ্যেশ্য যাতে কেও জানতে না পারে। গবেটদের মঙ্গলের জন্য এ করা। কিন্তু গবেটতো গবেটই। ওদের কাজ আমাদের জন্য খেটে যাওয়া। দেখেন আমরা দেশ কে কই নিয়ে যাই। এই মহৎ উদ্দ্যেসের জন্য আমাদের নিজেদের মধ্যে দূরত্ব রাখতে হবে। কি আর করা । মহৎ কাজের জন্য কিছু কষ্টতো স্বীকার করতেই হবে।

তার পর থেকে গবেট ল্যান্ড পর্যায় ক্রমিক ভাবে রানী আর রাজ কন্যা দিয়ে শাসিত হতে থাকলো।
আর গবেটরা চীর সুখে জীবন কাটাতে তাকলো। যদিও তারা কিছু আভিযোগ করে , কিন্তু জানেনই তো সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। সুতরাং ও নিয়ে না ভাবলেও চলবে।



সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:০৬
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×