ঝুম বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সময়ে কেমন অদ্ভুত বিষন্নতা জাগে।
অবশ্য কখনই বা আনন্দ জাগে মনে আমার? এমন প্রশ্ন তুলেই ফেলে কেউ
বারান্দার বাইরে ঝুম বৃষ্টি। কোনায় দাঁড়ানো একা ল্যাম্প পোস্ট এর ফ্যকাসে আলো।
দূর থেকে আসা গাড়ির জোড়ালো হেড ল্যম্পের আলোয় লাফিয়ে ওঠা বড় বড় মোটা মোটা বৃষ্টি ফোটা।
এই সবের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে কোন পুরানের কথা মনে হয় কে জানে।
দৃশ্যেরও যে নিজের মত পুরানো স্মৃতি থাকে কে জানত!
চেনা চেনা মনে হয়, রাস্তার ওপারের টিনের চাল থেকে গড়িয়ে পড়া সোনালী জলের ধারা।
হাল ফ্যশনের এনার্জী সেভিং বাল্ব জোটেনি ওই দেয়ালের ভাগ্যে।
তাই পুরোন হলদে আলো গায়ে মেখে দাড়িয়ে আছে কিশোরী পেয়ার গাছেন নিচে।
বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে ঘরে ফেরে অল্প বয়েসী সেলাই কর্মীরা,
কিন্তু কোন কাক দেখতে পাইনা।
এই রকম সময়ে মন তার বিচিত্র চিন্তার ঝুলি খুলে বসে।
স্তুপ করে রাখা লাল ইটের উপর ঝুলে থাকা বড় বড় পাতা থেকে বৃষ্টি ঝরে
এই একই জলকনা দেখে দেখে কতদিন ধরে একই অজানা কথা ভাবছি আমি?
কি সেই অদ্ভুতুরে না জানা গল্প? আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
কি যেন করার ছিল, কি যেন জানানোর ছিল, যা নিজেই জানিনা এখনো!
আকাশ জুড়ে জ্বলে ওঠা বিদ্যুতের ঝলকে এফোড় ওফোড় হয় বেয়াড়া ভাবনাগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৪