স্পয়লার অ্যালার্ট! স্পয়লার অ্যালার্ট!
গল্পে একটু ভিন্নতা থাকলেই বেশিরভাগ সময় সেটা মাস্টারপিস বা মাস্ট-ওয়াচ উপাধি পেয়ে যায়। ব্যতিক্রম হয়নি আসামীজ মুভি 'আমিষ' এর বেলাতেও। সুমন তার ভালোবাসার মানুষের কাছে ভালোবাসার প্রকাশস্বরূপ নিয়ে গেলো নিজের শরীরের মাংস। সুমনের উরুর এক চিলতে মাংস খেয়ে নির্মলী যেন প্রেমে পড়ে গেলো। যতটা না সুমনের উপর, তার চেয়ে বেশি মানুষের মাংসের উপর! এত সহজে একজন মানুষের উপর ক্যানিবালিজম এর ভূত সওয়ার হয়ে গেলো? আর এই মাংস খাওয়া নিয়েই এগিয়েছে তাদের সম্পর্ক, সেই সাথে এগিয়েছে 'আমিষ' এর গল্প!
একটা সিনেমা মাস্টারপিস বা মাস্ট-ওয়াচ হতে গেলে লাগবে ঝকঝকে দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি যা দর্শকদের অনেক দিন পর্যন্ত মনে থাকবে; শক্তিশালী কিছু ডায়লগ যা দর্শকদের বোধ নাড়িয়ে দিবে; শব্দ সংযোজন এমন হতে হবে যেন মনে হয় দর্শক আসলে স্ক্রিনের সামনে নয়, সিনেমার চরিত্রের কাছেই বসে আছে; থাকতে পারে সিম্বোলিক কিছু লং বা ক্লোজ শট, আর শক্তিশালী একটা প্লট তো লাগবেই! আমার মতে, 'আমিষ' এর একটি ডিফারেন্ট প্লট ছাড়া বাকি সব সিনেমাটিক ল্যাঙ্গুয়েজ কম-বেশি মিসিং আছে।
পরিচালক এখানে দুটি নিষিদ্ধ ব্যাপার নিয়ে খেলেছেন। একটি নিষিদ্ধ প্রণয়, একটি নিষিদ্ধ আর লোকসমাজ বহির্ভূত জীবনধারা বা কালচার! নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি, তাই সিনেমাটা ভালোই আকর্ষণ করেছিল আমাকে। প্রধান দুই চরিত্রের সাবলীল অভিনয়ে সিনেমাটা মোটামুটি উপভোগ্যই ছিল বলা যায়। কিন্তু যে পরিমাণ রেটিং 'আমিষ' কে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে, সে হিসেবে আমার কাছে মনে হচ্ছে 'আমিষ' পুরোপুরি ওভাররেটেড একটা সিনেমা! আমার কাছে, ডার্ক থীমের 'আমিষ' একটি ভিন্ন গল্পের সমান্তরাল উপস্থাপনার সিনেমা, যেখানে পরিচালক দর্শকদের উপর জোর করে কিছু চাপিয়ে না দিয়ে দর্শকদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, নিষিদ্ধ প্রণয় আর নিষিদ্ধ জীবনযাপনের শুদ্ধতা বিচার করার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০৮