somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যার এডওয়ার্ড কোক (Sir Edward Coke) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্যার এডওয়ার্ড কোক (Sir Edward Coke) (জন্ম পহেলা ফেব্রুয়ারী ১৫৫২, মিলেহাম, নরফক, ইংল্যান্ড- মৃত্যু ৩ সেপ্টেম্বর ১৬৩৪, স্টোক পোজেস, বাকিংহ্যামশায়ার), একজন ব্রিটিশ আইনজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ। রাজকীয় বিশেষ অধিকার প্রতিষ্ঠার স্টুয়ার্টের (Stuart) দাবীর বিরুদ্ধে কোকের সাধারণ আইনের (common law ) আধিপত্যের রক্ষণ ইংরেজী আইন এবং সংবিধানের উন্নতি সাধনে ব্যাপক অবদান রেখেছে।

শৈশব ও সরকারী চাকুরী (public service)

কোক নরউইচ গ্রামার স্কুল (Norwich Grammar School), ট্রিনিটি কলেজ (Trinity College) এবং ক্যামব্রিজ (Cambridge ) এ শিক্ষা লাভ করেন। এবং ১৫৭২ সালে ইনার টেম্পল (Inner Temple) প্রবেশ করেন, ইনার টেম্পল(Inner Temple) হল চারটি ইনস অব কোর্ট (Inns of Court ) এর একটি, আর এগুলোই হল উনিভার্সিটি অব ল’(university of law) এর কলেজ সমূহ। ১৫৭৮ সালে তিনি বার থেকে আহ্বান পান, এবং খুব শীঘ্রই সুখ্যাতি অর্জন করেন। তার প্রথম দিককার মামলাগুলোর মধ্যে ছিল শেলীর মামলা ( Shelley’s case) , যা ইংরেজী ভূমি আইনের ইতিহাসে একটি প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রথিত যা উত্তরাধিকার রুল ( inheritance precedents) প্রতিষ্ঠা করে। উইলিয়াম সেসিল ( William Cecil), এবং রানী এলিজাবেথ প্রথম এর প্রথম মন্ত্রী লর্ড বার্গলে ( Lord Burghley) এর পৃষ্ঠপোষকতায় কোক পাবলিক সার্ভিসে প্রবেশ করেন এবং খুব দ্রুত তার উত্থান হয়, ১৫৮৯ সালে আলডেবার্গ (Aldeburgh) আসনে সংসদ সদস্য হন, এবং ১৫৯২ সালে সলিসিটর জেনারেল (solicitor general ) এবং লন্ডনের রেকর্ডার (Recorder) হন। এক বছর পর হাউজ অব কমনস ( House of Commons ) এর স্পীকার নির্বাচিত হন এবং যাজকীয় বিষয় নিয়ে আলোচনায় সাধারণের আগ্রহ কমাতে এলিজাবেথের নীতি বাস্তবায়নে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন। ১৫৯৩ সালে এটর্নি জেনারেল এর পদ শূন্য হলে কোক এবং আর্ল অব এসেক্স সমর্থিত ফ্র্যান্সিস বেকন ( Francis Bacon) পদটির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৫৯৪ সালে কোক নিয়োগ লাভ করেন এবং পরবর্তীতে সলিসিটর জেনারেল হওয়া থেকে বেকন (Bacon) কে বিরত রাখেন, অথবা বেকন (Bacon) এমনটাই মনে করেন। ১৫৮৯ সালে কোকের প্রথম স্ত্রী ব্রিডজেট পেস্টন (Bridget Paston) মারা যান, এবং চার মাস পর কোক লেডি এলিজাবেথ হ্যাটন ( Lady Elizabeth Hatton) কে বিয়ে করার সময় বেকন (Bacon) প্রণয় সংক্রান্ত ব্যাপারে তার একজন অসফল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হন।

সলিসিটর জেনারেল হিসেবে কোক রাজতন্ত্র এবং এটার বিশেষ ক্ষমতার রক্ষক ছিলেন। কুৎসা রটানোর বিরুদ্ধে তিনি রাষ্ট্র কর্তৃক দায়ের কৃত একের পর এক মামলা নিতে শুরু করেন। এবং সেই সময়ের কয়েকটি বড় বড় রাজদ্রোহিতার মামলা পরিচালনা করেন, আর্লস অব এসেক্স এবং সাউথ্যাম্পটন [ Southampton] (১৬০০-০১), স্যার ওয়াল্টার রেলেইগ [Sir Walter Raleigh ] (1603) এবং গানপাউডার প্লট [Gunpowder Plot] (1605) এর ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনেন। এই সমস্ত ক্ষেত্রে তার বিচার প্রণালী, বিশেষ করে রেলেইগ ( Raleigh) এর ক্ষেত্রে, ১৭ শতকের মানদন্ডের তুলনায়ও নৃশংস ছিল।


প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার কর্মজীবন

১৬০৬ সালে কোক কোর্ট অব কমন প্লীস ( Court of Common Pleas) এর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন, এবং এখানেই শুরু হয় এমন সব দ্বন্ধ-সংঘাত যা পরিণামে তার বিচারিক জীবনে ( judicial career) পরিসমাপ্তি টেনে দেয়। কোকের নিয়োগ লাভের সময় আর্চবিশপ রিচার্ড ব্যানক্রফ্ট (Richard Bancroft) যাজকীয় কোর্টের অধিক্ষেত্রের উপর কমন ল’ কোর্টের (common-law courts) নিয়ন্ত্রণ ঝেড়ে ফেলার জন্য সচেষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। ব্যাপারটি ফুলারের মামলায় [Fuller’s case] (১৬০৭-০৮) প্রথম সারিতে চলে আসে, যখন কোক কোর্ট হতে মামলা প্রত্যাহার করার রাজার ক্ষমতার বিরুদ্ধে আদেশ জারি করেন, সাধারণ আইন (common law) হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন (Supreme Law) এবং “রাজা একা কোন মামলা মীমাংসা করতে পারেন না,” এটা বলে তিনি রাজা জেমস প্রথম ( James I ) কে ক্রোধান্বিত করে তোলেন। ১৬১০ সালে কোক আবারও রাজকীয় পরিষদের সামনে উপস্থাপিত ঘোষণাপত্রে একটি প্রখ্যাত সিদ্ধান্তে রাজা জেমসের অবাধ্যতা করেন, যেখানে তিনি বলেন যে রাজা সাধারণ আইনের কোন অংশকে পরিবর্তিত করতে পারেন না অথবা ঘোষণার মাধ্যমে এমন কোন একটা অপরাধ তৈরী করতে পারেন না যা পূর্বে অপরাধ হিসেবে গণ্য হত না। সেই একই বছর পরবর্তী সময়ে কোর্ট অব হাই কমিশন (Court of High Commission) এর সাথে বিতর্কে তিনি যুক্তি দেখান যে ব্যভিচারের জন্য কয়েদ করার ক্ষমতা এই কোর্টের নেই, এবং জেমস ১৬১১ সালে কোককে এই কোর্টে নিয়োগ প্রদান করতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

কোকের অবস্থান ছিল শক্তিশালী। ন্যায়পরায়ণ এবং শ্রদ্ধাভাজন কোক ছিল সাধারণ আইন (Common Law) এর প্রতিমূর্তি। ১৬১৩ সালের আগষ্টে তাকে কেনার প্রচেষ্টা চালানো হয় যখন জেমস- বেকনের পরামর্শ অনুযায়ী - কোর্ট অব কিংস (কুইন’স) বেঞ্চ (Court of King’s (Queen’s) Bench) এর প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাকে নিয়োগ প্রদান করেন, যেখানে আশা করা হয় যে তিনি রাজকীয় স্বার্থের তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য পদ লাভ করেন এবং লর্ড চিফ জাস্টিস অব ইংল্যান্ড নামে তাকেই প্রথম সম্বোধন করা হয়। কিংস বেঞ্চে তিনি তার প্রাধান্য ধরে রাখেন এবং পার্লামেন্ট ব্যতীত সকল প্রতিষ্ঠান ও সকল ব্যক্তির উপর সাধারণ আইনের আধিপত্য বজায় রাখেন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে সমর্থন জানিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করায় অভিযুক্ত একজন পাদ্রী এডমন্ড পিচাম ( Edmond Peacham) এর মামলায়, বিচারকদের সাথে ব্যক্তিগত ও আলাদাভাবে পরামর্শ করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এই চর্চাটি রাজা জেমস- বেকনের সহযোগীতায়- কম অথবা বেশী অনুসরণ করতে থাকেন যখন দেখা যায় যে পুরো বেঞ্চটি একত্রে পরামর্শ করলে সেখানে শুধু কোকের চিন্তাই প্রতিধ্বনিত হয়। যাহোক, ১৬১৫ সালে কোক নিজেকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করেন যখন কোর্ট অব কিংস বেঞ্চ একটি সাধারণ আইনের সিদ্ধান্তের উপর এই কোর্টের হস্তক্ষেপ করার- এবং পরোক্ষভাবে তা বাতিল করার- অধিকারকে কেন্দ্র করে (Court of King’s Bench ) কোর্ট অব চ্যানসেরি (Court of Chancery ) এর লর্ড চ্যান্সেলর ব্যারন এলেসমেয়ার (Baron Ellesmere ) এর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। কিংস বেঞ্চের একটা ফরমান মানতে অস্বীকার করাতে কোর্ট অব চ্যানসেরির সহযোগীতা প্রার্থনায় তাদের প্রচেষ্টার জন্য প্রিমানায়ার [praemunire] (রাজা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অপরাধ) এর শাস্তি পাওয়ার উপযোগী কিছু অভিযাক্তা (Suitors) তৈরীর ব্যর্থ প্রচেষ্টার পেছনে তাকে দায়ী করা হয়। এরমধ্যেই, কবি স্যার থমাস অভারবুরি (Thomas Overbury) হত্যা মামলা চলাকালীন সময় ধর্মীয় বিষয়ের (High place) দিকে কলঙ্কের গূঢ় ইঙ্গিত করার মাধ্যমে তিনি তার অবস্থানকে আরো বিপন্ন করে তোলেন। (১৬১২ সালে রাজার প্রথম সন্তানের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে কোক বলেন, “ঈশ্বর জানেন সেই মিষ্টি বাচ্চাটার, প্রিন্স হ্যারি, কি পরিণতি হয়েছে, তবে আমি কিছুটা জানি।”) অবশেষে, একই সাথে কতিপয় যাজকীয় বৃত্তি ধরে রাখতে অনুমতি প্রদানে রাজার অধিকারকে কেন্দ্র করে রাজা জেমসের সাথে তিনি পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হন। কোক এবং অন্যান্য কিছু বিচারক একটা রাজকীয় হুকুম প্রত্যাখ্যান করে এই বলে যে এই অধিকার সংক্রান্ত কোন মামলায় তারা কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না পর্যন্ত রাজার ইচ্ছা জানা যায়, তাদেরকে রাজা এবং কাউন্সিলের সামনে ডাকা হয় এবং এই হুকুম পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। যদিও অন্যান্য বিচারকরা এই নির্দেশ মেনে নেয়, তবে কোক শুধু বলে যে সে তাই করবে যা একজন সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ বিচারকের করা উচিত।

চাকরি থেকে বরখাস্ত

১৬১৬ সালের জুন মাসে প্রিভি কাউন্সিল, বেকনের মদদে, কোকের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ গঠন করে। একটা ছিল খুবই নগন্য একটা ব্যপার, যা কখনই প্রমাণিত হয় নি, একটি বন্ড সম্পর্কিত যা তার হাত দিয়ে গৃহিত হয়েছে। অন্য দুইটি হল কোর্ট অব চ্যানসেরি এর উপর হস্তক্ষেপ এবং কতিপয় যাজকবৃত্তি একত্রে গ্রহণ করার ব্যাপারে রাজার প্রতি অসন্মান প্রদর্শন। কোকের সার্কিট (Circuit) চালিয়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং তার রিপোর্টে ভুল সংশোধনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এবং ১৬১৬ সালের ১৪ নভেম্বর তাকে বরখাস্ত করা হয়। এর ফলে, সম্ভবত একজন প্রভাবশালী বন্ধু পাওয়ার আশায় তার কন্যাকে স্যার জন ভিলিয়ারস ( Sir John Villiers), বাকিংহামের ডিউক জর্জ ভিলিয়ারস ( George Villiers) এর ভাই, এর সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কোকের স্ত্রী এতে আপত্তি জানায় এবং শিশুটিকে লুকিয়ে রাখে, যার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। তবে কোক মেয়েটিকে জোর করে ছিনিয়ে নেয় এবং মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভিলিয়ার্সের সাথে বিয়ে দেন। এরপর কোক ধীরে ধীরে জন জীবনে প্রত্যার্পণ করেন এবং ১৬১৭ সালের মধ্যে পুনরায় প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হন সেই সাথে কোর্ট অব স্টার চেম্বার (Court of Star Chamber) এর বিচারক পদে আসীন হন।

ধারণা করা হয় রাজার একজন সমর্থক হিসেবে কোক ১৬২০ সালে পুনরায় পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন। যদিও তার কর্ম জীবনের বাকী সময়টুকুতে তিনি বিরোধী পক্ষের একজন নেতৃত্বস্থানীয় সদস্য ছিলেন। তিনি প্রস্তাবিত প্রিন্স চার্লসের স্প্যানিশ বিবাহের( স্পেনের রাজা ফিলিপ তৃতীয় এর কন্যার সাথে প্রিন্স চার্লসের বিয়ের চুক্তি হয়।) বিপক্ষে ছিলেন; কারও কারও মামলা তার কোর্টে ঝুলে ছিল এমন কিছু অভিযাক্তাদের (suitors) নিকট থেকে আসা উপহার সামগ্রী গ্রহণ করায় বেকন, যিনি সে সময় লর্ড চ্যান্সেলর ছিলেন, এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উত্থাপনে অংশগ্রহণ করেন। ১৬২২ সালে জেমসের আদেশে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি পার্লামেন্টের স্বাধীনতা এবং সরকারের দুর্নীতির বিষয়ে বড় বড় আলোচনায় অংশ নিতেন। টাওয়ার অব লন্ডনে (Tower of London) তিনি নয় মাস কাটান এবং কয়েকবার তাকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করা হয় তবে তার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত করার মত কোন তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায় নি। কোকের সবচেয়ে বড় সংসদীয় সময় এসেছিল ১৬২৮ সালে, যখন রাজকীয় বিশেষ অধিকারের বিরুদ্ধে তার স্বাধীনতার বিলটি- যা সে একই ধরনের পুরাতন বিষয়ের মত করে সাজিয়েছিল, এর মধ্যে মাগনা কার্টাও ছিল, রাজা চার্লস প্রথম ( Charles I) এর নিকট পিটিশন অব রাইট ( Petition of Right) আকারে পেশ করা হয়। অধিবেশনটির শেষে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। কোকের মৃত্যুর পর তার নথিপত্রগুলো সাথে সাথে বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবং এগুলোর মধ্যকার- তার উইল সহ- কিছু নথিপত্র কখনই উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।

মৃত্যু পরবর্তী প্রভাব (Legacy)

এটা সত্য যে কোক বার এবং বেঞ্চ উভয় জায়গাতেই উদ্ধত এবং অধৈর্য হওয়ার দিকে ঝুঁকে থাকতেন। তিনি নিঃসন্দেহে ছিলেন সংকীর্ণ মানসিকতার এবং সবসময় যৌক্তিক ছিলেন না। যাহোক, আইন বিষয়ে তার জ্ঞান ছিল অতুলনীয়, যদিও তিনি “একজন মধ্যযুগীয় আইনজীবী হিসেবে নয় বরঞ্চ একজন টিউডার (Tudor) হিসেবে ইয়ার বুকস [ পুরাতন আইন বিষয়ক প্রতিবেদন ] পড়তেন। “কোক মধ্যযুগীয় “রুল (Precedents)” গুলোকে সাধারণ আইনের (Common law) প্রতি তার সতেরশ শতকের দৃষ্টিভঙ্গীকে পৃষ্ঠপোষকতা দান করতে ব্যবহার করতেন। চার্চ, রাজকীয় নৌবিভাগ এবং রাজকীয় বিশেষ অধিকারের বিপজ্জনক দাবীর বিরুদ্ধে সফল ভাবে কোর্টে এবং পার্লামেন্টে এই সাধারন আইন (Common Law) কে সফলভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। তিনি কোর্ট অব চ্যানসেরি ( Court of Chancery) এর বিরুদ্ধে সাধারণ আইনকে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। এই কোর্ট ছিল তার তুলনায় অনেক বেশী শক্তিশালী।

১৬০০ থেকে ১৬১৫ সালের মধ্যে তিনি তার প্রতিবেদনের ১১ টি খন্ড প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি সিদ্ধান্তসমূহ ব্যাখ্যা এবং সেগুলোর উপর মন্তব্য করার মাধ্যমে ইংরেজী আইনের মূলনীতিগুলোকে নিয়মাবদ্ধ করেন; অন্যান্য আইনজ্ঞরা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নি। ( প্রতিবেদনের দুইটি বাড়তি খন্ড তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়, যদিও সেগুলো ছিল অন্যান্য খন্ডের তুলনায় নিম্ন মানের)। বিভিন্ন উত্থাপিত বিষয়ের উপর ব্যক্তিগত অথবা সাধারণ মন্তব্য সমন্বিত এই প্রতিবেদনগুলো আধুনিক যুগের ধারনায় কোন একটা সুনির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত আইনের সংক্ষিপ্ত সার নয়, এবং এগুলো ছিল ব্যপকভাবে প্রভাবশালী। একজন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার গুরুত্বের একটা ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য বিচার এসেছিল প্রধান বিচারপতি উইলিয়াম বেস্ট ( Chief Justice William Best) এর নিকট থেকে ১৮২৪ সালে:

ব্যাপার হল, লর্ড কোক যা বলেছেন সেই ব্যাপারে তার প্রায়ই কোন কর্তৃত্ব থাকত না। তবে ওয়েস্টমিনিস্টার হলে যা আইন হিসেবে বিবেচিত হয় তার একটা বড় অংশ থেকে আমরা বঞ্চিত হব যদি কর্তৃত্ব বাদে লর্ড কোক যা বলেছেন তা যদি আইন না হয়। যে কোন সময়ে যে কোন কোর্টে নেতৃত্ব দেওয়া সবচেয়ে বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×