কোন একটা বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরী হলে তা চলতেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন একটি বা উভয় দল বা গোষ্ঠীর মানসিকতায় বড় ধরনের কোন পরিবর্তন হয়। এবং বিরোধটি যদি গভীর কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে সংগঠিত না হয় তাহলে সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় তা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
গণজাগরণ মঞ্চের উত্তালসময়গুলোতে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো জামাতী ও যুদ্ধাপরাধীদের দেওয়া বিশাল অংকের টাকা খেয়ে গণজাগরণ মঞ্চ সমন্ধে তাদের দেশব্যাপী ছড়ানো অশ্লীল, নোংরা, কুৎসিত, বীভৎস প্রোপাগান্ডাগুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য কীট সদৃশ হাসানাত আব্দুল হাইয়ের লেখা “টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি” শিরোনামের একটি গল্প খুবই সুপরিকল্পিত ভাবে চিত্রশিল্পী দিয়ে গল্পটির জন্য প্রচ্ছদ আঁকিয়ে তাদের সাহিত্য পাতায় ছাপিয়েছিল সমারোহ করে। সাথেই সাথেই গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলিত জনতা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে ভয়ানক ক্ষেপে উঠে শাহবাগ চত্বরে পত্রিকার কপিতে আগুন ধরিয়ে তাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারপর থেকে আজ অবধি খুব বেশী সময় পেরিয়ে যায় নি। প্রথম আলোর সম্পাদক পদে মতিউর রহমানের বদলে অন্যকেউ এসে বসেনি, বা মতিউর রহমানের ভন্ডামীর নীতিতে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন সাধিত হয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত করে জানতে পারিনি। অথবা প্রথম আলোর সাথে গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধটি কি খুবই ভাসাভাসা পর্যায়ের ছিল যে মাত্র বছর দেড়েকের মাথায় তা ধুয়েমুছে পরিষ্কার হয়ে গেল? তবে পরিবর্তনটি কোথায় সাধিত হল যে, শত্রুতা তড়িঘড়ি বন্ধুত্বে রুপান্তরিত হয়ে গণজাগরণ মঞ্চের উচ্চতর নেতৃত্ব পর্যায়ের সংগঠকের লেখা প্রথম আলোতে ছাপা হওয়ার খবর শোনা যায়? এই খবরে বিস্মিত হয়ে মনে প্রশ্ন জাগে “টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি” শিরোনামের জঘন্য লেখাটি সত্যিই প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছিল কিনা! নাকি এ আমাদের বিভ্রান্তিকর কল্পনা!
প্রাণের নিজেকে মেলে ধরার জায়গা যখন ধীরে ধীরে কোন এক অজানিত কারনে সঙ্কুচিত হতে শুরু করে তখন মনে হয় একটি লোমশ, ধারালো নখর সমেত হাত ভয়ানক আক্রোশে গলা চেপে ধরছে!