কাল কি তোমাকে বিষাদ ছুঁয়েছিলো? সারাদিন চুপচাপ নীরবতা! চোখে দূর দৃষ্টি মেলে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলে যে মৌনতাও হয়ে গিয়েছিলো খুব বেশি উদাসীন। দুহিতা মেঘেরা অবাক বিষ্ময়ে দেখছিলো তোমায়। নশ্বর পৃথিবীর আপেক্ষিক ধুম্রজালকে পাশ কাটিয়ে, বর্তমানকে উচ্ছিষ্টের মত ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলে শত শত আলোকবর্ষ দূরে। যেখানে অনন্ত রংধনুর সাত রঙে ঢাকা থাকে আকাশ। গিয়েছিলে সেই নীল পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে ফুটে আছে অজস্র উদ্ভাসিত রক্তগোলাপ আর নীলকন্ঠের ভালোলাগা? শ্বেত পাথরে বসে ছুঁয়েছিলে ঝর্নার শীতার্ত নরম জল? নাকি রূপালী নদীর স্নিগ্ধ জলে সাতার কেটেছ অবিরত? সেই রূপসী প্রজাপতিটাকে দেখেছিলে যার ডানায় রয়েছে শিল্পীর খেয়ালী মনের হাজারো রঙের কারুকায? সেই ময়াবী পাখিটাকে দেখেছিলে যার চোখের নীলে রয়েছে অবারিত স্বপ্নের মহিমা? আর সেই সবুজ ঘাসে ঢাকা কাশবন যার ফুলে ফুলে রয়েছে শুভ্র শিশির কনা? গিয়েছিলে সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গ পথে যার গভীরতা সীমাহীন? যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ বাঘের নখের মতই হিংস্র। পেয়েছিলে সেই কাঙ্খিত পথ যেই পথ এসে মিশে গেছে ধ্রুবতারায়? যেখান থেকে চেনা যায় সপ্তর্ষিমন্ডল, চেনা যায় অতি পুরাতন বৃদ্ধ এই পৃথিবীটাকে। ফেরা যায় নিজস্ব অবস্থানে পথ চিনে চিনে। গিয়েছিলে সেই নীল পাহাড়ে, যে পাহাড়টিকে তোমাকে দিয়েছিলাম আমার প্রথম উপহার? যার নাম- “ ভালোবাসা ”।
কথোপকথোন (২)
Click This Link
কথোপকথোন (১)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮