সৌদি আরবের মরু এলাকায় গতকাল বুধবার উদ্বোধন করা হয়েছে কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি(KAUST) নামের অত্যাধুনিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। কয়েক শ কোটি ডলার ব্যয়ে গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। গতকাল বাদশা আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন। দেশটির সমুদ্র বন্দর জেদ্দার ৫০ মাইল উত্তরে লোহিত সাগরের উপকূলে উষর মরুভূমিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ ধরনের সর্বাধুনিক গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বে সম্ভবত এটিই প্রথম। এএফপি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সুপার কম্পিউটারসহ নানা আধুনিক সরঞ্জামাদি। এ খাতেই ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় শ কোটি ডলার। দেশে প্রযুক্তি শিক্ষার উন্মেষ ঘটাতে বাদশা আবদুল্লাহর একান্ত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলো। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্রছাত্রীরা এক সঙ্গে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন। দেশটিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নারী-পুরুষের এক সঙ্গে পড়ালেখার জন্য এটিই প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, দেশটির কট্টরপন্থী ইসলামি চিন্তাবিদেরা নারী-পুরুষের একত্রে লেখাপড়ার ঘোরবিরোধী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট চুন ফং শিহ বলেন, দুই বছর আগে এই জায়গায় ছিল ধু ধু মরুভূমি, চারদিকে শুধু বালি আর বালি। আজ সেখানে অত্যাধুনিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল, মালয়েশিয়ার কিং টুংকু মিজান জয়নাল আবেদিন, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল অ্যারোইও, মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওদ আবদুল আজিজ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির একজন প্রতিনিধি। —এএফপি অবলম্বনে লুত্ফর রহমান হিমেল
সূত্রঃ প্রথম আলো
আমি নিজে এই ইউনিভার্সিটির প্রথম ব্যাচের ছাত্র। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও আজকের অপেনিং সেরেমনি তে উপস্থিত ছিলেন। (ইত্তেফাক)
আমি যে ল্যাবের ছাত্র (ন্যানো ফ্যাব্রিকেশন ল্যাব) ... এই ল্যাবটি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট একাডেমিক ফ্যাব। (আমার প্রফেসর সেটায় বলেন।)
এখানকার সব প্রফেসরই বিশ্বের নামি দামি ভার্সিটি (অধিকাংস USA এর)থেকে এসেছেন । আর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ন্যাসনাল ইউনিভার্সিটি অব সিংগাপুর (NUS)এর সাবেক ভি, সি, যিনি নিজের হাতে গড়েছেন NUS কে।
এখানকার ছাত্ররা এসেছে ৬১ টি দেশ থেকে যার মধ্যে এমেরিকান ৮%, চাইনিজ ১৪%, মেক্সিকান ১১%, সাউদী ১৫%। ক্যাম্পাস সাইজ ৩৬ বর্গ কিমি; যার ফলে এটি বিশ্বে সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস।(প্রাক্তন সবচেয়ে বড় Stanford এর ক্যাম্পাস ৩৩,১ বঃকিমি। )
এটিই মধ্য প্রাচ্যে একমাত্র প্রতিস্টান যা Leadership in Energy and Environmental Design (LEED) Platinum certification পেয়েছে। LEED award হল U.S. Green Building Council (USGBC) কর্তৃক প্রদত্ত building environment এর সর্বোচ্চ certification. এটিই বিশ্বের LEED certification project গুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ। (লিঙ্ক) এবং পুরো মরুভুমি থেকে বিশাল ক্যাম্পাস তৈরি করা হয়েছে মাত্র ২ বছরে। কিং আব্দুল্লাহ এটাকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট রিসার্চ ভার্সিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা কিছু সম্ভব তাই করবেন। তিনি এই ভার্সিটির মাধ্যমে তেল নির্ভর সউদি অর্থনীতি থেকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি তে রুপান্তর করতে চান। তাই তিনি এ ভার্সিটির অপর নাম দিয়েছেন house of wisdom.
সবচেয়ে মজা হল, এখানে ফান্ডিং অনেক বেশি ।
১।মাস্টার্সের জ ন্য ২০০০০ USD/ year, পিএইচ,ডি, এর জন্য ৪০০০০ USD/ year, Post-doc দের জন্য ৭০০০০ USD/year.
২। ২৫০০ USD কম্পিউটার এলাউন্স,
৩। ফ্রি এয়ার টিকে্ট, ( এয়ার পোর্ট থেকে ভার্সিটি প্রতিনিধি কর্তৃক সাদর সম্ভাষন, এক মিনিটে কাস্টমস পার, বিশ্রামের জন্য ৫ স্টার হোটেলে রাখা। )
৪। ফ্রি মেডিক্যাল ইন্সুরেন্স,
৫। ফ্রি হাউজিং। অত্যাধুনিক গৃহ সামগ্রিসহ (২ টা ২৫ ইঞ্চি আইপি টিভি, ২ টা আইপি টেলিফোন- ন্যাশনাল কল/মোবাইলে কল ফ্রি, ফ্রিজ, এসি, ডিশ ওয়াসার, ওয়াসিং মেশিন, ড্রায়ার, রেঞ্জ, কাঠের অসংখ্য আসবাব সহ অনেক কিছু) ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট- মাস্টার বেড রুম, লিভিং রুম, রিডিং রুম, ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম, কিচেন রুম, ২ বাথ রুম।
৬। নো টিউশন ফিস।
৭। ক্যাফেটেরিয়া, পিজ্জাইন, ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট সহ অনেক গুলি খাবারের দোকান প্রথম দুই মাসের জন্য ফ্রি। ক্যাফেটেরিয়ার খাবার আমার দেখা ৫ স্টার হোটেল গুলির থেকে ভাল।
৮। চলাফেরার জন্য সবসময় সাটল বাস।
৯। ফ্রি থিয়েটার সহ আরো অনেক কিছু ফ্রি।
১০। স্ত্রী বা সন্তান থাকলে তাদের জন্য ও উপরোক্ত ফ্যাসিলিটজ ফ্রি। স্ত্রী- সন্তান থাকলে আরো বড় আপার্টমেন্ট, তাদের জন্য খাবার, এয়ার টিকেট ইত্যাদি ফ্রি।