" দেবী, তবে কি চাও অর্ঘ্য? কোলে তুলে নেব, যতই বাধাঁ দাও। আমার ঘরের ছোট্ট টেবিল টাতে বসাবো। বেদী নেই তাই টেবিলই ভরসা। তারপর নতজানু হয়ে পায়ে দিব চুমুর পূজা! আর কি চাও বল.....................সর্বনাশ হবে কিন্তু! তোমার সব আভরন ছিনিয়ে নেব, চুমু তে অর্ঘ্য দেব ভালবাসার, তারপর আমার শরীর টা হারাবে তোমার অতলে, মেটাবে দেবীর কামনা। তারপর??? দেবীর কাছ থেকে চেয়ে নেব বর........ ছোট্ট একটা পরী। দেবে আমাকে, অ্যাফ্রোদিতি?"
দেবীত্ব পেয়েই আমার স্বেচ্ছাচারিতার শুরু..........পা দুটি প্রচন্ড দর্পে বাড়িয়ে দিলাম। তুমি প্রজা, চুমুতে ভরাও, পা দুটিতে মাথা ঠেকিয়ে ঠায় বসে থাকো দিনের পর দিন! এত্ত অহংকার এত দিন কোথায় ছিল আমার!!!!! বললাম,প্রমত্ত হও। উড়াও বসন, ছিড়ে ফেল অলংকার।ঘুরে বেড়াও আমার প্রতিটি কোনে, প্রতিটি বাঁকে। প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তোমার অধর ছুঁয়ে মণ্ত্র উচ্চারন করো সেই আদিম পূজার! শিহরন তোলো দেবলোকে।তোমার শরীরের কোন একটি অংশেরও ছুটি নেই আজ! প্রত্যেককে আলাদা আলাদা কাজ দাও। আমাকে খুশি করার কাজ। দেবীর কোন পাপ নেই,নেই পাপবোধ। আছে শুধু তৃপ্ত হওয়ার বাসনা। অনন্তকালের অতৃপ্ত বাসনার ঝড় থামাও আজ!
উহ, আবার সেই অহংকার!!!
সরে যাও, নগন্য প্রজা তুমি! কিই বা দিতে পারো তুমি আমাকে?!!! সরে গেলে চুপ করে,আশা ছেড়ে দিয়ে...........আবার বসলে পায়ের কাছে মাথা ঠেকিয়ে,নতজানু হয়ে। হায় রে আমার অহংকার!!!
আবার ডাকছি "এসো", এলে! "ঝড় তোল", তুললে! মণ্ত্র উচ্চারনে কাপিঁয়ে দিলে জগৎ-সংসার! শুরু করলে সেই আদিম প্রলয় নৃত্য!!! সমস্ত শরীর জুড়ে অশ্রু-বিন্দুর মত ঘাম জমেছে তোমার ! কত নিষ্ঠুর আমি,তবুও রেহাই দিলাম না তোমাকে! অবশেষে মৃতপ্রায় তুমি আছড়ে পড়লে আমার পায়ে! আমি তৃপ্তির হাসি হাসলাম! বর দেবারও আশ্বাস দিলাম। অথচ ছুঁয়েও দেখলাম না তোমার ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত দেহটা কে! আমার কোন মায়া নেই,মমতা নেই,নেই কোন অনুভূতি!
বলো,এরপরও দেবী বলবে আমায়???????????????
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১২