সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে "হাজারো শহীদের রক্তে এবং হাজারো মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মহান স্বাধীনতা"
কিন্তু,আমার প্রশ্ন, এই কথাটি কি পুরোপুরি সঠিক?
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি মিলিটারিদের কর্তৃক বহু নারী লাঞ্চনা ও ধর্ষনের শিকার হয়েছিল। কিন্তু তাই বলেই কি তাদের সম্মান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল? কিন্তু কিভাবে?
একজন নারীর মর্যাদা তার ধর্ষিত হওয়ায় নষ্ট হয়েছে বলে ধরা হয় কিন্ত ধর্ষক পুরুষটি কিভাবে সসম্মানে ঘুরে বেড়াতে পারে? কারোর সম্মান যদি নষ্ট হয়েই থাকে তাহলে তো সেটি হবে ধর্ষক পুরুষটির। ভিকটিমের সম্মান কিভাবে নষ্ট হয়? মানুষ হিসেবে সকলেই মর্যাদার অধিকারী। ভিকটিম তো আর অপরাধী নয়।তাহলে ভিকটিমকে কেনো আমরা সমাজে মর্যাদাহীন প্রতিপন্ন করবো?
একজন নারী বা একজন পুরুষ হিসেবে নয়,বরং একজন মানুষ হিসেবে বিষয়টি বিবেচনা করে বলুন তো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গড়তে গিয়ে শেখানো এই বিষয়টির কি সংশোধনের প্রয়োজন নেই?
অবশ্যই আছে,নাহলে মানুষ ছোটবেলা থেকেই শিখবে যে এ ধরনের অপরাধে অপরাধীর কোনো ক্ষতি হয়না,ভিকটিমের সম্মানহানি হয়।
আর আমরা যদি একটি সুন্দর সমাজ গড়তেই চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই এ ধরনের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মুক্ত হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩