জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি গত ৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এক আড়ম্বড়পূর্ণ ইফতার পার্টির আয়োজন করে। উক্ত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার এ্যডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. ইউনুস আলী সরকার এমপি(গাইবান্ধা-৩), আবুল কালাম আজাদ এমপি(গাইবান্ধা-৪)ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি(গাইবান্ধা-১)। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু বক্কর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ইফতার পার্টিতে যোগদানের উদ্দেশ্যে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার এবং সাংসদগণ বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপস্থিতিতে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ইফতার পূববর্তী অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী ফিরোজের উপস্থাপনায় শুরুতেই গাইবান্ধা জেলা হতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৪৩ তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের পর শুরু হয় প্রবীণদের বিদায়ের পালা। ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নবীন বরণ ও বিদায়ের পর ছাত্র কল্যাণ সমিতির ২০১৪-১৫ এর নতুন কার্যকরী কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন উক্ত সমিতির মাননীয় উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মো. খোরশেদ আলম। এ বছরে সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন যথাক্রমে ফেরদৌস খান মিরাজ ও পলাশ আহমেদ।
এরপর মাননীয় ডেপুটি স্পীকার এবং সাংসদদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন সাধারন শিক্ষার্থীরা। মত বিনিময় সভায় ছাত্র-ছাত্রীরা গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি গাইবান্ধ্া জেলাকে নিয়ে তাদের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়কালে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার বলেন, একটি অঞ্চলের ভাগ্য উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। একমাত্র শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে এগিয়ে নিতে। তাই একতাবদ্ধ হয়ে একটি শিক্ষিত সমাজ গঠনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি ঘোষণা করেন, আগামী বছর হতে গাইবান্ধা জেলার অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করবেন।
মতবিনিময় শেষে মাননীয় সাংসদগণসহ ডেপুটি স্পীকার ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। এরপর অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান রতন মিয়া।