ফুরফুরা শরীফেরকিছু আকিদা ও মতবাদ
• মিলাদ, কেয়াম, সালাম, দুরূদ, ইয়া রাসুলুল্লাহ স. বলে ডাকা জায়েজ, বরকত ও সাওয়াবের কাজ, মাহফিলে নবীপাকস. এর রূহ মুবারকআসা সম্ভব।
• নবী, ওলি-আউলিয়া, মা-বাবা ও মৃত ব্যক্তিদের প্রতি (তারিখ ধার্য করে বা না করে) সাওয়াব রেসানী (ইসালে সাওয়াব) করা জায়েজ, বরকত ও সাওয়াবের কাজ ।
• নবী আওলিয়া কেরামগণ জিন্দা। তাঁদেরঅসিলা দিয়া দোয়া চাওয়া, শির্নী, খাদ্য বিতরণ করা নেক ও সাওয়াবের কাজ।
• কবরের উপর গম্বুজ করা, কবরের দিকে হাত উঠিয়ে মোনাজাতকরা, কবরে কাঁচা ডাল পোতা জায়েজ ও নেক কাজ।
• কোন ওলির মাজার জিয়ারতেরউদ্দেশ্যে সফর করা জায়েজ ও নেক কাজ।
• শবে বরাতে হালুয়া, রুটি বা খিঁচুরী বিতরণ করা, কবরস্থান জিয়ারত করা জায়েজ ও নেক কাজ। খাদ্য বিতরণ করলে সাওয়াব হয়।
• লাশের জন্য খাসকরিয়া সাওয়াব বখশীস করা, কুলখানি ও কোরআন পাঠ করা জায়েজ, নেক কাজ।
• আযান শেষে দোয়া পড়া ও হাত উঠিয়ে মোনাজাতকরা জায়েজ ও নেক কাজ।
• বাপ,মা, এলমে জাহের, বাতেন জ্ঞানের অধিকারী পীর মরশেদের কদমবুসী সম্মানে দাঁড়ানো জায়েজও নেক কাজ।
• আখেরি জোহর নামাজ বা এহতিয়াতুজ জোহর না পড়িলে গোনাহ হইবে।
• মসজিদ বা অন্য স্থানে আল্লাহরজিকির, হালকায়ে জিকির করা, অন্তæরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টির জন্য মুরাকাবা করা জায়েজ। আল্লাহ্ বলেন, “তোমাদের মধ্যে বড় জালেম ঐ ব্যক্তি যাহারা আল্লাহ্র মসজিদে আল্লাহরনাম নিয়ে জেকের করতে নিষেধ করে।”-আল-কোরআন
সবার নীতি ও বিশ্বাস এক নয়। কিন্তু প্রশ্ন তখনই দেখা দেয় যখন কেউ নিজেকে ফুরফুরা সিলসিলার অংশ হিসাবে দাবী করে অথচ উপরোক্ত মতবাদের একাংশওঅবিশ্ব্বাস করে। তারা ফুরফুরা শরীফেরমৌলিক নীতি ও মতবাদের উপর বিশ্বাস না রেখেও ফুরফুরা শরীফের নাম ব্যাবহার করে সহজেই ফুরফুরা শরীফের ভক্তদেরপ্রভাবিত করে ইসলামের সঠিক পথ থেকে বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যায়। বস্তুত তারা ব্যাক্তিগত ও আর্থিক সুবিধারজন্যই ফুরফুরা শরীফের নাম ব্যাবহার করে থাকে। এসব মোনাফেক থেকে সাবধান থাকতে হবে। এরা ফুরফুরা সিলসিলার অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
“ নিঃসন্দেহে মুনাফেকেরা রয়েছে দোযখের সর্ব নিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনোও পাবে না। ” সূরা আন-নিসা আ’য়াত ১৪৫
(কোন কথা গুলো ভুল এবং কি জন্য)