আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “সামনে নির্বাচন নিয়ে অনেকেই ভয়ে আছে, আমাদের সরকার কি আবার ক্ষমতায় আসবে? আমার কাছে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা বিএনপির মিথ্যাচার মোকাবেলা করবো। আগামী ৬ মাস যুবলীগসহ সকলকেই মাঠে থাকতে হবে এবং বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার মোকাবেলা করতে হবে। এখন থেকে আগামী ছয় মাস বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে হবে।”
জয় বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনুন, বাংলার চেহারা পাল্টে দিব।”
তিন বলেন, “গত সাড়ে চার বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এখন আর মানুষকে লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। আওয়ামী লীগই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছে। বিএনপি ক্ষমতা থাকতে নুতন কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে পারেনি।”
জনগণের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আপনারা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের দুই টার্ম তুলনা করে দেখেন, কারা বেশি উন্নয়ন করেছে। আওয়ামী লীগ এক টার্মে যে উন্নয়ন করেছে, বিএনপি দুই টার্মেও সে উন্নয়ন করতে পারেনি।”
সজীব ওয়াজেদ বলেন, “বিএনপির আমলে হলমার্ক, ডেসটিনির মতো দুর্নীতি করলেও কেউ গ্রেফতারও হতো না। এমনকি এসব কথা বলাও যেত না। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এক নম্বর ছিল। ব্যবসায়ীদের চাঁদা জমা দেয়ার জন্য হাওয়া ভবন সৃষ্টি হয়। খাম্বার কথা কেউ ভুলে যায়নি।”
জয় বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে কাউকে চাঁদা দিতে হয়নি। হাতিরঝিলের মতো স্থাপনার কারণে ঢাকাকে আন্তর্জাতিক শহর মনে হয়।”
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। এভাবে অর্থনীতি এগোলে আমাদের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর বিএনপির আমলে হয় শুধু দুর্নীতি।” ২০০১ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের জন্য চারদলীয় জোট সরকারকে দায়ী করেন জয়।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, “২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার কথা ভুলে যায়নি। ওই সময় আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জনকে হত্যা করা হয়। চারশ জন আহত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এতে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেটা দুঃখজনক।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছের আলী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা যুবলীগ নেতা হারুনুর রশীদ, ফজলুল হক প্রমুখ।
View this link
-----------------------------------------------------------------------------
আগে ভাবতাম ব্লগের হাম্বারাই শুধু কল্পনাবিলাসী, এখনতো দেখি দেশের সব হাম্বাই.................. এমনকি সজিব ওয়াযেদ জয় !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫