জুয়েল নামের একটি ছেলে।ছিলেন অনেক হাসিখুশি,প্রাণবন্ত ছেলে।জগন্নাথ কলেজের ছাত্র।কিন্তু টার আসল পরিচয় ,তিনি ছিলেন ক্রিকেটার।প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।
পুরো নাম আব্দুল হালিম চৌধুরী।থাকে ঢাকা তে।
দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনারা ঘুমন্ত বাঙ্গালির ওপর আক্রমণ চালিয়েছে ট্যাংক-কামান দিয়ে।
ঢাকার রাস্তাই শুধু লাশ আর লাশ।যেদিকে তাকানো যায় শুধুই লাশ !!পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হলেন আরেক ক্রিকেটার মুশতাক।জুয়েল আর তার বন্ধুরা ঠিক করে ফেললেন
তাদের কর্তব্য।তারা চলে গেলেন ভারতের আগরতলায়।মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে এলেন ঢাকায়।একটার পর একটা গেরিলা অভিযান পরিচালনা করলেন তারা।এক অভিযানে জুয়েলের
হাতে গুলি লাগলো।গোপনে তার হাতের চিকিৎসা চলতেছিল।৩০ আগস্ট ধরা পড়লেন জুয়েল সহ আরও অনেকেই।জুয়েল কে ধরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি সেনারা আঘাত করলো গুলি লাগা হাতে।তার মুখ থেকে কোন কথা বার করতে পারলো না পাকিস্তানি সেনারা।তাকে হত্যা করা হল।একই সময়ে ধরা পড়লো আরও অনেকেই।তারা আর ফিরে আসে নাই তাদের
মা এর কাছে।
তারা আছেন আমাদের জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তে।এই রক্তিম সূর্যে তরুন ক্রিকেটার জুয়েল-মুশতাক এর রক্তও মিশে আছে।স্বাধীনতা দিবসে আমাদের একটাই চাওয়া
আমরা সকলেই যেন এই লাল-সবুজ পতাকার যথাযথ সম্মান দিতে পারি।স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদ দের জানাই শ্রদ্ধা।
সকলকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।