বাংলাদেশে যে মান্দারবাড়িয়া নামে একটা সমুদ্র সৈকত আছে এই প্রথম জানলাম, তা’ও আবার সাতক্ষীরায় আমার দেশের বাড়ী। অবাক হইনি, মান্দারবাড়িয়ার নাম খুব কম লোকই জানে বলে ধারনা করছি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনএর ওয়েবপেজ দেখতে গিয়ে হঠাৎ করেই মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের নাম দেখলাম। এই ওয়েব পেজের বর্ণনায় “মান্দারবাড়িয়ার একদিকে সুন্দরবন অপরদিকে বঙ্গোপসাগরের মায়াবী জলরাশির অবিশ্রান্ত গর্জন যে কোন মানুষকেই দেবে অনির্বচনীয় আনন্দ। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপরূপা সুন্দরবন ও উত্তাল বঙ্গোপসাগরের এক রূপসী কন্যা-যা এখনও কিছুটা অনাবিস্কৃত এবং অস্পর্শিত। এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত”। বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর থেকে মান্দারবাড়িয়া ৭৫/৮০ কিলোমিটার দুরে। সাতক্ষীরা থেকে বুড়িগোয়ালিনীর দুরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। বুড়িগোয়ালিনীর নীলডুমুর পর্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়, তার পরের ৭৫/৮০ কিলোমিটার যেতে হবে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা স্পীড বোটে। এই ৭৫/৮০ কিলোমিটার পথের পুরাটাই সুন্দরবনের বুক চিরে যাওয়া বিভিন্ন নদী। বুঝতেই পারছেন মান্দারবাড়ীয়া কেবল মাত্র হার্ডকোর ঘুরুঞ্চিদের জন্য। মান্দারবাড়িয়ার উপর ওয়েবে কেবল মাত্র সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনএর পেজে (এখানে ক্লিক করুন ) কিছু তথ্য পেলাম অন্য যা পেলাম সেগুলো ওই পেজেরই কপি পেষ্ট। সাপ লুডু ডট কমে মার্জিয়া লিপি ‘বাঘের বাড়ী’ ভ্রমন কাহিনীতে মান্দারবাড়ীয়ার চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। এখানে ক্লিক করে আগ্রহীরা পড়তে পারবেন। এ সমুদ্র সৈকতটির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার পর্যাপ্ত সুযোগ আটকে গেছে সীমাবদ্ধতার শিকলে। পর্যটকদের নিরাপত্তা,পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, ব্যাপক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রাখতে পারলে এই সমুদ্র সৈকতটি হতে পারে বিশ্বের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। ভ্রমনের সময় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আবহাওয়া ভাল থাকা স্বাপেক্ষে।
আমি হার্ডকোর ভ্রমন বিলাসী নই, তাই হয়তো কোনদিন মান্দারবাড়ীয়া যাওয়া হবে না, তবে যারা যাবেন অবশ্যই বিস্তারিত লিখবেন, আপনাদের লেখায় আমরা বেড়িয়ে আসব মান্দারবাড়ীয়া।