somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বিতর্ক

২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত চার-পাঁচদিন মনে হয় সবাই অন্য এক জগতে ছিলাম। সামুতে আসারও সময় হয়নি। আসলে প্রিয়জন হারানোর কষ্ট সবার মতো আমারও হয়েছে। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাখো মানুষের ঢল দেখে নিজের ব্যক্তিগত কষ্টের অনেকখানিই লাঘব হয়েছে। কিন্তু কষ্ট বেড়েছে অন্য জায়গায়।

নন্দিত কথাসাহিত্যিকের দাফন নিয়ে রাতভর যে নাটকটা হলো রাত জেগে আমিও তার দর্শক ছিলাম। ব্লগে, ফেসবুকে নানাজনের নানা মত আর মন্তব্যের তোড়ে নিজেও ভেসে গিয়েছিলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, এই দ্বন্দ্ব কেন?

আমি কারও পক্ষ নিচ্ছি না। কিন্তু কাল বিমানবন্দর ও শহীদ মিনারে হুমায়ূনের আগের পক্ষের সন্তানদের কষ্ট দেখে নিজেই বিহ্বলিত হয়েছি বার বার। বাবা - সে তো বাবাই। জীবদ্দশায় যে বাবার প্রতি প্রচণ্ড অভিমান নিয়ে মেয়েরা দূরে থেকেছিল, মৃত্যুই তাকে আবার কাছে এনে দিয়েছে। এজন্যই ওরা চাইছিল, এতোদিন পর যেহেতু পেলই তারা বাবাকে, তাহলে কাছেই থাকুক সে। ওরা চাইছিল মিরপুরে দাফন করতে।

কিন্তু বাদ সাধলো সাত বছর ধরে বাবাকে আগলে রাখা এক রমনী। আমি তাকেও দোষ দিচ্ছি না। কারণ সাত বছর আগের ঘটনাটির জন্য সে তো একা দায়ী নয়। ভীষণভাবে দায়ী লেখক নিজেই। দুজনে মিলেই ওরা সামাজিকতার বিরুদ্ধে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিল এতোদিন। কিন্তু আজ যখন শক্তিটা চলে গেল, তখন মেয়েটা অসহায় হয়ে খড়-কুটো ধরে বাঁচতে চাইছে। সে চাইলো নুহাশ পল্লীতে সমাহিত করতে।

এই দ্বন্দ্বে শেষপর্যন্ত জয়ী হলো সেই রমনী। তবে মেয়েরা কিন্তু হারলো না। বরং ওরা দ্বিতীয়বারের মতো জিতলো আমাদের হৃদয়ে। জয়তু শীলা, নোভা, বিপাশা আর নুহাশ। আর স্যালুট তোমাদের মা গুলতেকিনকে।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

মেফতাউল ইসলাম বলেছেন: একটা মানুষের দাফন নিয়েও এখন রাজনীতি দেখছি।

২. ২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

লিচপেথ বলেছেন: কিছু বলার নাই ভাই :(

৩. ২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

মো কবির বলেছেন: কিছু বলার নাই ভাই :(

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইনডিয়ান মিডিয়া, র এবং সংখ‍্যালঘু প্রসঙ্গ

লিখেছেন মোরতাজা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫৭



১.
ইন্ডিয়ান মিডিয়াকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র বঙ্গে গীতা/বাইবেল জ্ঞান করা হতো। ৫ আগস্টের পর এই দেশটির মিডিয়া আম্লীগ এক্টিভিস্ট সুশান্তের আমার ব্লগের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে প্রমানিত হয়েছে—জানায়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪১

আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×