ঢাকা, অক্টোবর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকারের সংলাপে দলের অন্যতম নেতা হিসেবে হুলিয়া মাথায় নিয়েই দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ফখরুদ্দীন আহমদসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
পুলিশের চোখে পলাতক জামায়াত নেতা মুজাহিদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মঙ্গলবারের এই বৈঠক নিয়ে পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,"এগুলো নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না।" --'সরি'-বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
বড়পুকুরিয়া খয়লা খনি দুর্নীতি মামলার অন্যতম আসামী মুজাহিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে তাকে মামলাটিতে পলাতক দেখিয়ে পুলিশ রোববার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
এরপর পুলিশ কমিশনার নাইম আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের উত্তরে জানান, সামাজিক মর্যাদার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সংলাপ শেষে সাংবাদিকরা একই প্রশ্ন করেন উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের কাছে। জবাব এড়িয়ে উপদেষ্টা বলেন, "তার আইনজীবী এখানে উপস্থিত আছেন, এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন।"
মুজাহিদের আইনজীবী ও সংলাপে অংশ নেওয়া জামায়াত নেতা ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, "অনেক রাজনীতিবীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা আছে। আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।"
তিনি আরও বলেন, "উচ্চ আদালতে তার জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এমাসের ১৬ তারিখে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আমি মনেকরি, বৈঠকে তার উপস্থিত হতে আইনগত বাধা নেই।"
ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক ৬ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদসহ এ মামলার ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাকে বাড়িতে না পেয়ে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রোববার আদালতে জমা দেয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তা এমনই দাবি করেছেন।
হুলিয়া মাথায় নিয়ে মুজাহিদ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন এবং প্রকাশ্যে চারদলের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। সোমবার বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করার বিষয়ে সরকার এই বলে হুশিয়ার করে দেন যে, এতে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘœ হতে পারে।
বিচারক মো. আজিজুল হক জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আলী আহসান মুজাহিদসহ অন্যান্যদের আদালতে হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন এবং এই নির্দেশ অমান্য করা হলে কেন তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ইএইচবি/এডি/জিএনএ/২০০০ ঘ.
এগুলা কিন্তু সত্য না। ফখ্রু সরকার একটু দেশবাসীর সাথে মস্করা করতেছে আর কি।
(কিন্তু গুনিজন বলেন মস্করার একটু লিমিট থাকা দরকার)