somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গরু হারালে এমনই হয় মা!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সকাল ৭:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জোট সরকারের বোধহয় গরু হারিয়ে গেছে। গোপাল ভাঁড় যেমন গরু হারিয়ে নিজের স্ত্রীকেও মা ডেকেছিলেন তেমনই জোট সরকার একুশে পদক বিতরণ করতে গিয়ে শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান খানকে অধ্যাপক হামিদুজ্জামান বানিয়ে দিয়েছে। আসলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ভাষা কিংবা কৃষ্টির জন্য কোনও সম্মানবোধ বা গর্ববোধ না থাকলে যা হয় তাই হয়েছে গতকাল 20 ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এবারের একুশে পদকপ্রাপ্তদেও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে।
ভাষার জন্য প্রাণদানকারী শহীদদের পবিত্র আত্মার স্মরণে নির্মিত যে মিনার, তার স্থপতি কিংবা নির্মাণকারী কে সেটা যদি জাতীয় ইতিহাসেও ভুলভাবে উপস্থাপনের সরকারী প্রচেষ্টা চলে তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ না করার কোনও কারণ আছে কি? বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যনত্দ অনত্দতঃপৰে তিনবার বাঙালি জাতির এই স্মৃতির মিনার ধ্বংস করেছিল পাকিসত্দানীরা। সর্বশেষ একাত্তরে এই মিনারটি মর্টার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদও স্থাপন করা হয়, প্রত্যৰদশর্ীদের কেউ কেউ বলেছেন সেখানে নাকি একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মসজিদ শব্দটি লিখে। কিন্তু শেষ পর্যনত্দ বাঙালির বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি ওরা, তাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র একুশে ফ্রেবুয়ারির শহীদদের স্মৃতির এই মিনারও মসজিদেও জায়গায় বাঙালিই প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু আজ দেখুন, একুশে পুরস্কারকে যেমন মামুলি মেডেলে পরিণত করেছে সরকার তেমনই এই মিনারের স্থপতিকেও দলীয় করার উদ্দেশ্যে খোদ্ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মিথ্যের বেসাতি হচ্ছে। অথচ বায়ান্ন সালে অধ্যাপক হামিদুজ্জামানের শহীদ মিনারের স্থাপত্য-নক্শা করার বয়স অব্দি হয়নি। হা হমোস্মি!
বস্নগারদের প্রতি আমার সর্নিবন্ধ অনুরোধ আপনারা দয়া করে, বাংলাদেশের আজকের পত্রপত্রিকায় এ সংক্রানত্দ সংবাদটি পড়ে দেখবেন। কোনও বিশেষ পত্রিকার প্রতি পৰপাত বা বিদ্বেষ নয়, প্রত্যেকটি পত্রিকাই যদি উল্টে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন জাতির সর্বোচ্চ সম্মানকে কীভাবে নিলামে তোলা হচ্ছে। আপনাদেও নিশ্চয়ই দুঃখ হবে, কিন্তু কিছুই আসলে করার নেই, একাত্তরের ঘাতক জামায়াত এখন বিএনপিকে গিলেছে অজাগরের মতো, তাইতো গো আজমও এখন ভাষা সৈনিক হতে চায়; জানি না সেই ভাষাটি বাংলা নাকি ঊদর্ু। ঊদর্ু হলে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু বাংলা হলে আমার, আমাদের ঘোর আপত্তি, আপনারা কী বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তর মানে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের জীবনের ল্যান্ডমার্ক, ৩৬ জুলাই আমাদের চেতনা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪২




এই ছবিটার গুরুত্ব অপরিসীম।
কেন জানেন, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের খোলনলচে বদলের ব্লু প্রিন্ট রচনার দায় তাদের কাধে। এই ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি আর স্বাধীনতাকামীদের এক করে ফেলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংসদের দ্বিকক্ষবিশিষ্টকরণ: বিশ্বের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩০

বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাবটি বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই নিবন্ধে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংসদীয় পদ্ধতির বৈচিত্র্য এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে এর তুলনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-আফগানিস্তান কূটনীতি, ক্রিকেট ও বৈশ্বিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০


কথায় আছে শত্রুর শত্রুকে বানাতে হয় বন্ধু- এই প্রবাদ ভারত ও আফগানিস্তানের সমসাময়িক কূটনীতিক তৎপরতার প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাই মাসে কোন আন্দোলন বা বিপ্লব হয়নি, ইহা ছিলো আমেরিকান এম্বেসীর আরেকটি ক্যু

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫



১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট'এর পর আমেরিকান এম্বসী আরেকটি বড় ক্যু করেছিলো এরশাদকে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে; এরপর আরেকটি বড় ক্যু করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটায়েছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধানসিঁড়িটির তীরে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৫



ধানসিঁড়িটির তীরে স্বপরিবারে ঘুরতে গেলাম। শালিক সাহেব পিছনে এসেই বসলেন। মেয়ে ছবি তুলতে গেলেই উড়ে গেলেন। বকের ঝাঁক কয়েকবার মাথার উপর দিয়ে টহল দিলেন। ছাগল ছানা খেলছিল বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×