ভাষার জন্য প্রাণদানকারী শহীদদের পবিত্র আত্মার স্মরণে নির্মিত যে মিনার, তার স্থপতি কিংবা নির্মাণকারী কে সেটা যদি জাতীয় ইতিহাসেও ভুলভাবে উপস্থাপনের সরকারী প্রচেষ্টা চলে তাহলে সেই জাতির ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ না করার কোনও কারণ আছে কি? বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যনত্দ অনত্দতঃপৰে তিনবার বাঙালি জাতির এই স্মৃতির মিনার ধ্বংস করেছিল পাকিসত্দানীরা। সর্বশেষ একাত্তরে এই মিনারটি মর্টার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদও স্থাপন করা হয়, প্রত্যৰদশর্ীদের কেউ কেউ বলেছেন সেখানে নাকি একটি সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মসজিদ শব্দটি লিখে। কিন্তু শেষ পর্যনত্দ বাঙালির বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি ওরা, তাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র একুশে ফ্রেবুয়ারির শহীদদের স্মৃতির এই মিনারও মসজিদেও জায়গায় বাঙালিই প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু আজ দেখুন, একুশে পুরস্কারকে যেমন মামুলি মেডেলে পরিণত করেছে সরকার তেমনই এই মিনারের স্থপতিকেও দলীয় করার উদ্দেশ্যে খোদ্ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মিথ্যের বেসাতি হচ্ছে। অথচ বায়ান্ন সালে অধ্যাপক হামিদুজ্জামানের শহীদ মিনারের স্থাপত্য-নক্শা করার বয়স অব্দি হয়নি। হা হমোস্মি!
বস্নগারদের প্রতি আমার সর্নিবন্ধ অনুরোধ আপনারা দয়া করে, বাংলাদেশের আজকের পত্রপত্রিকায় এ সংক্রানত্দ সংবাদটি পড়ে দেখবেন। কোনও বিশেষ পত্রিকার প্রতি পৰপাত বা বিদ্বেষ নয়, প্রত্যেকটি পত্রিকাই যদি উল্টে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন জাতির সর্বোচ্চ সম্মানকে কীভাবে নিলামে তোলা হচ্ছে। আপনাদেও নিশ্চয়ই দুঃখ হবে, কিন্তু কিছুই আসলে করার নেই, একাত্তরের ঘাতক জামায়াত এখন বিএনপিকে গিলেছে অজাগরের মতো, তাইতো গো আজমও এখন ভাষা সৈনিক হতে চায়; জানি না সেই ভাষাটি বাংলা নাকি ঊদর্ু। ঊদর্ু হলে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু বাংলা হলে আমার, আমাদের ঘোর আপত্তি, আপনারা কী বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০