somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্যঃ সিনেমাখোরদের আড্ডায় - ০১

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[এই পোস্ট আগেও দিছিলাম। যারা আগে এটা পড়েছিলেন তারা আর কষ্ট করে ঢুইকেন না]


অনেকেই জানেন যে সামুর সিনেমাখোরদের একটা ফেসবুক গ্রুপ আছে। সেখানে সিনেমার লিঙ্ক বা শর্ট রিভিউ যেমন আদান প্রদান হয় তেমনি সিনেমা নিয়ে বিস্তর আলাপ আলোচনাও হয়। মাঝে মাঝে এরা নিজেদের সময় বের করে গেট টুগেদারের আয়োজন ও করে থাকে। তো, তেমনি এক গেট টুগেদারে মিলিত হয়েছেন আমাদের সামুর কিছু ব্লগার। এরা সিনেমাখোর - সিনেমা খায়। কিছু কিছু মানুষ পাবেন যারা এক বাসন পান্তা ভাত পেলেই হলো; মহানন্দে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ডলে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে। এরা হল সেই জাতের সিনেমাখোর।

তো, ফেসবুকের ইনবক্সের সুবিধা উসুল করে ঠিক করা হলো অমুক দিন একটা আড্ডা হয়ে যাক। আড্ডায় যাদের ডাকা হলো - পুশকিন, নোবিতা রিফু, ইউসুফ খান, তাহমিদ অংশু, দারাশিকো, নাফিজ মুনতাসীর, সৈয়দ মিরাজ, কাউসার রুশো, আরজু পনি, দিপ, ফেলুডার চারমিনার, দূর্যোধন, স্নিগ এবং তন্ময় ফেরদৌস ।



রুশোঃ উফ, কি গরম পরছে দেখছেন? শরীর জ্বলতেছে

স্নিগঃ হ, আর এই গরমে কেউ দুপুরবেলা আড্ডা রাখে!! আড্ডা হবে রাত-বিরাতে।

তন্ময়ঃ সন্ধ্যা বা রাতে করলে পনি আপুর জন্য সমস্যা হয়ে যেতো।

পনিঃ সমস্যা। খুব সমস্যা।

পুশকিনঃ এই আড্ডায়, মন বাড্ডায়

ফেলুডাঃ বাড্ডায় কিরে বাই?

স্নিগঃ আর বইলেন না। উনার প্রোফাইলের ছবি দেখলেই বুঝবেন। হাত ধরাধরি করে পুরা ১৮ পিলাচ অবস্থা!

ইউসুফঃ পুশি ভাই কবে ১৮ মাইনাচ ছিলোরে ভাই!! সারাজীবন দেখলাম খালি ১৮ পিলাচ পোস্ট দিয়া যাইতে!

মিরাজঃ সহমত।

পুশকিনঃ এইসব কি আকথা বাই? বাস্তবে সুযোগ নাই তাই সিনেমায় একটু দেখি।

স্নিগঃ পুশিক্যাট এর অভ্যাস খারাপ। সেদিন আমারে যেই পিক এ ট্যাগ করছে!! বলেন আস্তাগফিরুল্লাহ।

মিরাজঃ সহমত। আই মিন আস্তাগফিরুল্লাহ।

তন্ময়ঃ হ, আমিও দেখছিলাম। দেইখা তো আমার দাঁড়ায়া গেছিলো!

ফেলুডাঃ কস কি মমিন!! কি দাঁড়াইয়া গেছিলো? :-/

তন্ময়ঃ আরে হাতের পশম দাঁড়ায়া গেছিলো। ক্যান, আপনে কি ভাবছেন?

ফেলুডাঃ আমি! আরে না না তেমন কিছু না। হেহেহেহে। এই আর কি। হাহাহা। কিরে দিপ, কথা কস না ক্যান ব্যাডা?

দিপঃ আমি আর কি বলবো! ইন দ্যা ইয়ার নাইন্টিন নাইন্টি...

স্নিগঃ থাউক, আর আগান লাগবোনা। আচ্ছা, সিনেমাখোরদের আড্ডায় সিনেমা খাওয়া হবেনা এটা কি ঠিক? আড্ডাটা কারো বাসায় হইলে ভাল হতো।

অংশুঃ সিনেমা খাওয়া হোক বা না হোক, গ্রীল চিকেন খাওয়া উচিত।

ইউসুফঃ নাফিজ আসলে ওরে বাইন্দা খাইতাম। কিন্তু হালায় আসলো নাতো :(

পনিঃ ফিফা ফিফা

মিরাজঃ পনি আপার কি হইছে?

ফেলুডাঃ বাদ দেন মিরাজ বাই।

রুশোঃ আচ্ছা। আমাদের টপিক ঠিক করেন। কি নিয়া আলোচনা করা যায়!

ইউসুফঃ গ্রুপের ব্যানার?

মিরাজঃ সহমত।

পনিঃ ফিফা!

তন্ময়ঃ ক্যামেরা?

অংশুঃ টপিক? আড্ডা আবার টপিক ঠিক করে দিতে হয় নাকি রে ভাই?

ফেলুডাঃ দারাশিকো নাহয় গ্রামের বাড়িতে বলে আসলোনা কিন্তু দূর্যোধন কেনো এখনো আসলোনা!! স্নিগ?

স্নিগঃ আমিও শিউর না। মেসেজে বলছিলো চেষ্টা করবে।

পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো

পুশকিনঃ আমার নতুন পোস্ট টা দেখছেন কেউ?

ইউসুফঃ ১৮ পিলাচ!!

পুশকিনঃ আরে না, আরব সিনেমা নিয়া।

তন্ময়ঃ না দেখি নাই। ইদানীং ডকু নিয়া ব্যস্ত আছি। দেখুম নে।

ফেলুডাঃ বাংলা সিনেমার উত্থান হচ্ছে কিন্তু। খেয়াল করেছেন?

রুশোঃ হ। বেশ কিছু ভালো ভালো সিনেমা আসতেছে দেখলাম।

মিরাজঃ সহমত।

ইউসুফঃ বাংলা সিনেমা দেখে কি হবে? হলিউডের সিনেমার উপর কোন কথা নাই।

মিরাজঃ সহমত।

দিপঃ মিরাজ ভাই, আপনার সমস্যা কি? আপনি সহমত দেন ক্যান? সিনেমার আপনি বুঝেন?

মিরাজঃ চুপ বেয়াদপ। যত বড় শইল নয় তত বড় ধর। দিমু নাকি পাটি খুলে কান বাড়ায়া চড়! X(

অংশুঃ কানের নীচে চর, দিপের বাচ্চা মর!

দিপঃ এইডা কি হইলো পুশি বাই? ব্যক্তিগত আক্রমন হইতেছে ক্যান?

ইউসুফঃ তুমি ই তো মিয়া ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু করছো? ফাত্রামি করার যায়গা পাওনা না? X(

ফেলুডাঃ আরে আজীব তো! কোত্থেকে কই গেলা তোমরা?

রুশোঃ এইরকম হবে আগেই জানতাম।

তন্ময়ঃ এরকম হলে আমাকে আগেই জানানো উচিত ছিলো। আমি আড্ডা আনফলো করতাম।

স্নিগঃ এইডা কিছু হইলো! এইখানে ঝগড়া করতে আসছি আমরা? :-/

পনিঃ একতলা বাড়ি তার দুই দলা ঘর/ প্রহরের আলোতে বয়েছিল ঝড়।

মিরাজঃ ভালো হইছে। পনিকে পিলাচ। :)

দিপঃ হেহ। আইছে আমার কবিতাবিদ!

স্নিগঃ দূর্যোধন আর আইলোনা। :(

পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো!

ইউসুফঃ আচ্ছা, দূর্যোধন কে কেউ দেখছেন এখানে?

দিপঃ ইন দ্যা ইয়ার টু থাউজেন্ড... মানে গত বছর একবার চেষ্টা নিছিলাম বসের সাথে দেখা করতে। উনি রাজী হইলেন না।

রুশোঃ না, আমি দেখি নাই।

তন্ময়ঃ উহু

ফেলুডাঃ নাহ!

ইউসুফঃ আমি একটা ব্যাপার কনফিউজড। দূর্যোধন কি কারো মাল্টি নাকি?

দিপঃ মাল্টি!!

ইউসুফঃ তা নয়তো কি! কেউ ইনাকে কখনো দেখেনাই। ফেসবুকের একাউন্ট ও ফেইক। আসলে ইনি কে?

রুশোঃ কে?

ফেলুডাঃ কে?

মিরাজঃ কে? কে?

অংশুঃ রহস্য!

পনিঃ দূজ্জ ইজ রহস্য।

স্নিগের মোবাইলঃ মারিয়া ভুজংগ তীর/কলিজা করিলো চৌচিড়/কেমনে শিকাড়ি তীর মারিলোগো

স্নিগঃ হ্যালো! হ্যা দূর্যোদা!

রুশোঃ তন্ময়, ব্লগে আসোনা কেন?

তন্ময়ঃ আর বইলেন না রুশো ভাই। ব্লগ আর ব্লগের মতো নাই।

রুশোঃ কি হইছে?

তন্ময়ঃ ব্লগে তো এখন গরু ছাগল ভরা। ব্লগে ঢুকলে মনে হয় গরুরা গোয়ালঘর থেকে বের হয়ে সাইবার ক্যাফে তে ঢুইয়া আইডি পাসওয়ার্ড দিয়া ব্লগিং করে।

রুশোঃ হাহাহাহা।

ইউসুফঃ তন্ময় ঠিক ই বলছে। দেশে গাধাদের সংখ্যাও উর্ধ্বগতি।

স্নিগঃ দূর্যোদা ফোন করে বললো সে আজকে আসতে পারবেনা।

পনিঃ দূজ্জো দূজ্জো :(

ইউসুফঃ আমি আগেই জানতাম।

মিরাজঃ সহমত

দিপঃ মিরাজ ভাই কিন্তু খালি সিন্ডিকেইট করতেছে কইয়া দিলাম। ইউসুফ বাই কিছু কইলেই কয় সহমত। খুব খিয়াল কৈরা!

ইউসুফঃ আমি কি তোমার মতো ফাউল কথা পোস্ট দেই নাকি মিয়া? আমার কথার ইজ্জত আছে একটা X(

রুশোঃ তোমরা একটু থামোতো। দূর্যোধন আসবেনা ঠিক আছে। ওদিকে নোবিতা আসলোনা কেন একটু বুঝায়া বলতো! ফেলুডার সাথে তো নোবিতার চ্যাট হয় শুনছিলাম।

ইউসুফঃ নোবিতা তো একটা ছাইয়া

পনিঃ চালে ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়া ছাইয়চা চালে...

অংশুঃ ছাইয়া মানে!

ইউসুফঃ আরে ভাই নাম দেখলেই তো বুঝা যায়। নোবিতা হইলো একটা মেয়ের নাম। যেমন ধরেন, কবিতা। কি ঠিক কইলাম না?

মিরাজঃ ঠিক, অবশ্যই ঠিক।

তন্ময়ঃ এই ছাইয়াদের জন্য এখন ব্লগিং করে আরাম পাওয়া যায়না।

ফেলুডাঃ ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করছি। ইদানীং ছাইয়ার সংখ্যা বাড়ছে।

অংশুঃ নোবিতা ছাইয়া?

ইউসুফঃ অবশ্যই। নোবিতার পর কি? রিফু। আমার খালাতো বইনের নাম রিফু। অবশ্য আমি ওরে আদর করে রি বলে ডাকি। আর আমাকে ইউ বলে ডাকে। সেদিন কি হইছে শোনেন।

ফেলুডাঃ থাউক। আর শোনা লাগবোনা। কিন্তু নোবিতা রিফু যদি ছাইয়া হয় তাহলে তার প্রো পিকে ছেলের ছবি দেয়া কেনো?

ইউসুফঃ এইত্তো লাইনে আইছেন। নাম মেয়ের, ছবি ছেলের - ইহা একখান ছাইয়া নিক।

রুশোঃ এরকম হলেতো খুব খারাপ!

পলিঃ খুব খারাপ! খুব খারাপ!

তন্ময়ঃ দেখছেন? এই জন্যই ব্লগে যাই না আর।

অংশুঃ ভাই আমার খুব ক্ষিদে পাইছে। আমরা খেতে খেতে কথা বলতে পারিনা?

মিরাজঃ সহমত।

স্নিগঃ চলেন স্টার এ যাই। কি বলেন সবাই?

দিপঃ চলেন।

তন্ময়ঃ হুম।

রুশোঃ আমার কোন সমস্যা নেই।




চলবে...



[ব্লগারদের অনুমতি নিয়েই লিখা হয়েছে]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯
৩৪টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×