টেলিভিশনের কিছু চ্যানেলে প্রতিনিয়ত কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতে দেখা যায়। সেখানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিয়ে 'সুফল' পেয়েছেন এমন কিছু ব্যক্তির সাক্ষাৎকার ও মন্তব্য প্রচার করা হয়। এমন একটি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে সম্প্রতি ঢাকার কাকরাইল এলাকায় একজন হোমিও ডাক্তারের কাছে রোগীসহ যাই। ডাক্তারের সহকারীর কাছে নির্ধারিত দু'শ টাকা ফিস্ জমা দিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করি। তিনি রোগী দেখেন এবং বিবরণ শুনে মন্তব্য করেন, 'এটি পুরাতন রোগ, সারতে বেশ সময় লাগবে।' ওষুধ নিতে রাজী কিনা ডাক্তারের এমন প্রশ্নে 'হাঁ সূচক জানালে তিনি তখন ক্যালকুলেটর টিপে হিসেব করে জানান আপাতত একমাসের ওষুধ দেয়া হবে যার দাম পড়বে সাড়ে তিন হাজার টাকা। ওষুধের দাম অনেক বেশি দাবী করছেন এমনটি ধারণা হওয়ায় তাকে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতে অনুরোধ করি, যাতে বাইরের কোন ফার্মেসী থেকে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে কেনা সম্ভব হয়। এর জবাবে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং জানান যে, এখন টাকা হাতে না থাকলে পরে যে কোনদিন টাকা দিয়ে তার কাছ থকে ওষুধ নিতে পারব। কিন্তু তিনি এখন কোন ব্যবস্থাপত্র লিখে দেবেন না। এ পর্যায়ে তাকে প্রদত্ত দু'শ টাকা ফিস্ প্রদানের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি জানান যে, ঐটা 'কনসাল্টেশন ফি'। বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দু'শ টাকা সম্পূর্ণ গচ্ছা দিয়ে খালি হাতে ফিরে আসি। আমার ধারণা, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই বিজ্ঞাপন দেখে এসে একইভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। গণমাধ্যমে ঘন্টার পর ঘন্টা এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে চিকিৎসার নামে এ ধরনের প্রতারণা ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। হোমিও চিকিৎসার ব্যবস্থাকে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতির আওতায় আনার বিষয়ে সংশিস্নষ্ট কতর্ৃপক্ষের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫