ইভটিজিং এক অবর্ণনীয় মানসিক যন্ত্রণা। কিশোরীরা আজকাল ভয়ে ভয়ে শহরের রাস্তায় এবং স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে। দৈনিক পত্রিকার হিসেব অনুযায়ী এই মহাযন্ত্রণার শিকার হয়ে আজ পর্যন্ত ১৪/১৫ জন কিশোরী-যুবতী আত্মহত্যা করে মুক্তি পেয়েছে। পত্র-পত্রিকায় যে সব খবর প্রকাশিত হয়, আসল হিসেব তার থেকে বেশি।
স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বিপথগামী কিছু ছাত্র ইভটিজিং-এর সঙ্গে জড়িত। যারা শিক্ষিত এবং সচেতন নাগরিক, তাদের মনে প্রশ্ন জাগে-এইসব ছেলের মা-বাবা সব জেনেও তাদের কেন শাসন করেন না? এটা তো তাদের পবিত্র দায়িত্ব। এই লজ্জাজনক অপরাধ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যা কল্পনাকে হার মানায়। এখানে দুটি খবর তুলে ধরা হলো: ১) রাজশাহীর পুটিয়া উপজেলায় যৌন হয়রানির শিকার মহিলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৭/১/২০১১। ২) অভিজাত ধনীর দুলালীসহ প্রায় এক লাখ টিনএজার জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা সেবনে (দৈনিক সংবাদ, ২২/২/২০১১)। এসব চিন্তা করে মাঝে-মধ্যে ভাবি আমরা কোন্ দেশে বসবাস করছি?
আমরা অতি সাধারণ নাগরিক। ফলে আমাদের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলের প্রধান দু'জনই মহিলা। শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও মহিলা। মহিলা হয়েও তাঁরা কঠোর হতে পারছেন না কেন? যাইহোক, সরকারের কাছে আবেদন জানাবো-
ইভটিজিং দমন অত্যাবশ্যক। এর কোনোই বিকল্প নেই। খাদ্যে ভেজাল দেয়া মারাত্মক অপরাধ। এই অপরাধ ধরা এবং দমনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে কয়েকটি টিম রয়েছে। এই টিমের সংখ্যা অতি নগণ্য। এই টিমের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। ইভটিজিং-এর বিষয়ে এই টিমকে বিশেষ আইনের আওতায় তাত্ক্ষণিকভাবে যথাযথ শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। যাতে তারা খাদ্যে ভেজাল এবং ইভটিজিং-এই দুটি বিষয়ে একসঙ্গে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।