somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিয়ার গিলস আর আমার বউয়ের বাপের বাড়ি :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খাবার দেখলেই আমার জিব লকলক, চোখ চকচক, পেট নক নক করে ওঠে।রাস্তার আজেবাজে থেকে শুরু করে সব খাবারই আমার জিব থেকে রেহাই পায় না। এই নিয়ে বউয়ের সাথে প্রায়ই ঠুসাঠুসি লেগেই থাকে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিয়ে দেখলেই নিজ দায়িত্তে ঢুকে পড়ি। ঘরে এসে বউয়ের সাথে ২য় বার খাই, বউ আমার অবস্তা দেখেই বুজতে পারে কাহিনি কি, কিন্তু কিসু বলেনা। মনে হয় আমাকে কুত্তার লেজ ভাবে। মাঝে মাঝে পেট বেচারা গুম ধরে , কোন সময় কষা মারে আবার কোন সময় ডাইরেক্ট লাইন।

যায়ই হোক আসল কথাই আসি। সারাদিন অফিস শেষে রাতে ডিস্কভারি নিয়া বসি। বিয়ার গিলস এর কারবার দেখে আমি মজা পাই। তার অখাদ্দ গুলাকে মজা করে খাওয়া দেখে জিবে পানি আসে। প্রথম প্রথম দেখতে খারাপ লাগতো কিন্তু পরে তার আখাদ্দগুলুকেই খাদ্দ মনে হতে লাগলো। বাজারের অবস্থা দেখে নিজেকে বিয়ার গিলস মনে হয়।
এইতো সেদিন বাজারে বড় বড় পাংগাস গুলো আমার দিকে কি করুন চোখে তাকিয়ে ছিলো।একটা হাতে নিয়ে ভাল করে টিপে দেখছি এই সময় বিয়ার গিলসের সেমন খাওয়ার দৃশ্য মনে পড়লো। দুহাতে চেপে ধরে ঠিক বুকের অংশে কামড় দিয়ে খাচ্ছে।ভাবতে ভাবতে আমিও কোন সময় পাংগাসে কামড় বসিয়েছি টেরই পেলাম না। মাছওয়ালার চিৎকারে হুশ হলো। সবাই হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আাছে, পাশে একলোকতো বলেই ফেলল, ভাই কি আমাজোনে থাকেন নাকি। কি বিশ্রী ব্যাপার।

একদিন ছুটির দিনে বউকে বললাম মাংস রাদতে, আমি তাকে হেল্প করবো। বউ এককথায় রাজি হয়ে গেলো। আমাকে মাংস ধুতে দিয়ে সে অন্য কাজে ব্যাস্ত হল। নাদুস নুদুস মাংসগুলো নাড়তে নাড়তে আমার বিয়ার গিলস এর কথা মনে পরে গেল। গত পর্বে কাচা উটের মাংস খেয়েছিলো বেটা। আশেপাশে বউ নাই দেখে এক টু মাংসটা চেখে দেখতে ইচ্ছে হল। গপ করে ২ টুকরা মুখে পুরে দিলাম, বউ টের পাওয়ার আগেই। প্রথমে বুজা গেলনা কিছুই, চাবানোর চেষ্টা করলাম। বাপ্রে কি শক্ত, আর কি বিশ্রী স্বাদ।
এরই মধ্যে বউ এসে হাজির।আমাকে চুপ দেখে বউ অবাক হল , অন্য সময় হলে মুখে কথার ফুল ঝরত আমার।
বউ কে দেখামাত্র মাংস দুটো ঝোরে চাবাতে লাগলাম, বমি ওগলে আসার আগেই গিলে ফেলার চেষ্টা করলাম। না পারলাম না , ওগলে বউয়ের গায়ে বের করে দিলাম। এর পরের দৃশ্য দেখার মত না। কাচা মাংস খেতে দেখে আমাকে বউ ভুত মনে করে দৌড় দিলো। আশে পাশে মানুষ জড় হল। পরে কোনরকমে হাজার খানেক পরিক্ষা দিয়ে গনধুলাই থেকে বাঁচলাম।

এরপর বেগ গুছিয়ে বউ বাপের বাড়ি, এ রকম Sick মানুষের সাথে থাকা যায়না। অনেঅ বুঝিয়ে ও কাজ হলোনা।কয়েকদিন পর বউকে আনতে গেলাম, শশুর বেটা শর্ত দিলেন যে আর মাংস ঘরে আনা যাবেনা। ডিসকোভারিও দেখা যাবেনা।

বেটা বিয়ার গিলস আর একটু হলেই গেছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে কিসে পরিণত হয়?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭



স্বাধীনতাকামীদের বাচ্চারা মাদ্রাসায় গিয়ে শিবির কিংবা হেফাজতে পরিণত হয়, যারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

মুসলিম বিশ্বে, গরীবদের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় গিয়ে, আধুনিক জীবনভাবনা থেকে বিদায় নেয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৯

সামু ব্লগ কি আবারও ধর্মবিদ্বেষ ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত হইতেছে!

ছবিঃ অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

ইহা, উহা, ইহার, উহার, ইহাকে, উহাকে - ইত্যাকার সাধু ভাষার শ্রুতিমধুর কিছু শব্দসম্ভারের প্রয়োগ কদাচিত আমাদের প্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাফ-লেডিস বলছি.......

লিখেছেন জটিল ভাই, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮


(ছবি নেট হতে)

আজ ব্লগ না থাকলে কবেই আত্মহত্যা করতে হতো। জ্বী আমার কথাই বলছি। আমার মতো উপযোগহীণ গর্দভ টক্সিক ব্যক্তি বেঁচে আছি শুধু ব্লগের জন্যে। কিভাবে? তবে বলছি শুনুন।

ছোটবেলা হতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুলে যাচ্ছি কত কিছু=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



ভুলে যাচ্ছি মমতার ঋণ, বাবার আদর
ক্রন্দনরত দিন, বৃষ্টির ঝুম আওয়াজ
ভুলে যাচ্ছি কত কিছু দিন দিন
বিছানো ছিল কোথায় যেন স্নেহের চাদর।

ভুলে যাচ্ছি দেহের শক্তি, সরল মন
কঠিনের মাঝে ডুবে ধীরে
ভুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রেমিট্যান্স যোদ্ধা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৬


সদ্যই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপরিবারে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন। নির্বাচনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরসহ অন্যান্য সবাইকে এক প্রীতিভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা যাচাই-বাছাই করে সেসব অতিথিদের ভেতরে ঢুকতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×