ব্লগার মিজানুর রহমানসুমন ভাই এবং সত্যাচারী ভাই এর ব্লগ থেকে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেই একটা ইটেনারী বানালাম।ইতিমধ্যে তিন দেশের ভিসাও হাতে এসে গেলো।যেহেতু সিঙ্গাপুর হয়ে মালেশিয়া এবং থাইল্যাণ্ড বাই রোড় এ যাবো তাই আমার এয়ার টিকেট হবেঃ ঢাকা টু সিঙ্গাপুর ওয়ান ওয়ে এবং ব্যংকক টু ঢাকা ওয়ান ওয়ে ।ইনটারনেট এ টাইগার এয়ারওয়েজ এর টিকেট কাটলাম ঢাকা টু সিঙ্গাপুর মাত্র ১৪০০০ টাকার কমে যাওয়ার জন্য। ট্রাভেল এজেনট থেকে ইউনাইটেড এয়ার এর আসার টিকেট ও কাটলাম ব্যাংকক টু ঢাকা মাত্র ১৪০০০ এর কমে ওয়ান ওয়ে ।
কোথায় কয় দিন থাকবো যাতায়াত খরচ সব হিসাব করলাম মুটামুটি। তাছাড়া ইনটারনেট থেকে বিভিন্ন দশ'নীয় জায়গার ঠিকানা এবং খরচ প্রিন্ট করে নিলাম।খসড়া হিসাব মতে ২০০ সিং ডলার (১৩৬০০টাকা),৫০০ ইউ এস ডলার (৪১৫০০ টাকা) নিলাম পুরা ১২ দিনের জন্য।
আমার হিসাব মতে যাওয়া আসা এয়ার ২৮০০০টাকা এবং পুরা ১২ দিনের খরচ ৫৫১০০ টাকা মোট ৮৩১০০ টাকার কৃপনের বাজেট।এইবার ভাবছেন শিরোনামে ভূল হিসাব দিলাম? না ভূল দেইনি, কিভাবে কৃপনের বাজেট আরো হাড় কৃপন বানালাম আসেন দেখি ঃ
২৬ -০৯- ২০১২ঃ
টাইগার এয়ার এর চিত কাইত এয়ারক্রাফ্ট এ করে রওনা দিলাম সকাল ২টায়। আসলে আমাদের হিসাবে ২৫ তারিখ রাত।স্বভাব মতে জানালার পাশের সিট নিয়েছি।এরকম চিতকাইত এয়ার এ আমার প্রথম ভ্রমন নয়, এর আগে গ্রীস গিয়েছিলাম ইজি জেট এ লন্ডন থেকে। অনেকের সাথেই কথা হলো বোডিং এর সময়, আমিই সম্ভবত একমাত্র টুরিষ্ট, বাকি সবাই সিঙ্গাপুরে কাজ কর।
একটা কথা বলে রাখি, টাইগার এয়ারক্রাফ্টের ভেতরে কিছুই ফ্রি দেয়না, তাই আগে খেয়ে আসবেন। যদিও ভেতরে আপনি খাবার কিনে খেতে পারেন কিন্তু দাম অনেক বেশী আর পে করবেন সিং ডলারে।
সিঙ্গাপুর চেঙ্গি এয়ারপোট এ পৌছলাম লোকাল টাইম সকাল ৮টায়। আমার কাছে কোন লাগেজ ছিলোনা কাধে ব্যাকপেগ ছাড়া। ল্যান্ডিং কাড পুরন করে ইমেগ্রেশন লাইনে দাড়ালাম।(ল্যান্ডিং কাডে আপনি সিঙ্গাপুরে কোথায় থাকবেন তার ঠিকানা দিতে হয়, তাই আপনি আপনার ইনভাইটির ঠিকানা সাথে রাখবেন।) ইমিগ্রশন অফিসার আমার পাসপোট, রিটান টিকেট আর ডলারগুলো দেখতে চাইলো। এরপর পাসপোটে সীল দিয়ে ল্যান্ডিং কাডের একটা অংশ ঢুকিয়ে দিলো ভেতরে, এটা সিঙ্গাপুর ত্যাগ করার সময় লাগবে।
ইমিগ্রেশন পার হওয়ার পর আপনি ফ্রি লোকাল ফোন করতে পারেন বুথ থেকে।
সকাল ১০টা বেজে গেলো বের হতে। এয়ারপোট থেকে একটা ম্যাপ নিলাম ফ্রি। যেহেতু ১২টার আগে হোটেল চেকইন হয়না তাই ভাবলাম বাড পাক থেকে ঘুরে আসি। এয়ার পোটের সাথেই মেট্রো ষ্টেশন। ২ দিনের টুরিষ্ট পাস চাইলাম। বলল এখনও টুরিষ্ট পাস বিক্রি শুরু হয়নি,১২টায় হবে। সিঙ্গেল টিকেট নিয়ে সিটি হল চলে যা্ও ওখানে পাবে। মেশিন থেকে টিকেট কেটে সিটি হল গেলাম ৩ সিংডলার। এইটা আমার হিসাবে ছিলোনা, তাই একটু মনটা খারাপ হলো। সিটি হলে গিয়ে এক নতুন বিষয় দেখলাম। মেশিনে আমার সিঙ্গেল টিকিটটা জমা দিয়ে ১ সিং ডলার ফেরত পেলাম। এবার কাউন্টার থেকে ২ দিনের জন্য টুরিষ্ট পাস নিলাম ২৬ সিং ডলার।এই কাড দিয়ে সিঙ্গাপুরে বাস, মেট্রো সবই কাভার করবে। কাড ইউজ শেষে ফেরত দিলে ১০ সিংডলার ফেরত দিবে।
এইবার কিছু খেয়ে নিয়ে Bird Park এ যাওয়ার পালা......।।
পাঠক চাইলে চলবে.........