(২০১১ এর শুরেতে ফেইসবুকের নোট এ লেখাটা লিখেছিলাম)
কিছু দিন আগে আমার এক বন্দ্বুকে জিজ্ঞাস করলাম কিরে তোর জিএফ এর কি খবর?
ও বললো আর বলিস না এখন ফরমে আছে, কারন ইভটিজিং আইন।
ওই দিন পেপারে পড়লাম -ইভটিজিং এর কারনে পুলেশের হাতে ধরা পড়া এক ছেলে বলতেসে ও রে আমার ভালো লাগে, তাই প্রতিদিন স্কুলের সামনে দাড়াই থাকি ওরে দেখি।
এক উপন্যাসে পড়েছিলাম "সুন্দর নারী দেখলে বিধাতা ও তাকিয়ে থাকে।"-আর আমাদের দেশে নাকি এখন মেয়েদের দিখে তাকানোটাই ইভটজিং। প্রধাননমন্ত্রি শেখ হাসিনাকে এক অনুষ্ঠানে বলতে শুনেছি-"ইভটিজিং এর জন্য আমাদের পোশাক-পরিচ্ছেদই দায়ী''।আমি ওনার কথা সমরথন করি।আবার যদি হায়দার হোসেন এর গানের কথায় বলি "বিধাতার তুমি এক অপুরবো সৃষ্টি, পেরানো যায় না অফলক দৃষ্টি , তার উপরে রংধনু সাত রঙ লবিয়াছো আনমনে প্রতিক্ষন তনমন,
অঙ্গে অঙ্গে যেন রুপ তার ঝরেনা ১২ হাত শাড়িতে ও অবলোক ডাকে না্, হাতের কাকন বাজে রিনিঝিনি রিনিঝিনি
মনে হয় সারক্ষন দেয় যেন হাত চানি, তবুও বলছো তুমি ওভাবে কি দেখছি??
কোন সে নেশার ঘোরে পিছু পিছু চুটছি..."""
।আমার প্রেমিকা ওরে আমি খুব লাইক করি , ও যখন ক্লাস ৮ -এ পড়ে, আমি তখনো অরে প্রোপজ করি নাই কেনো জানেন-কারণ ও তখন ছিলো under age ,কিন্তু আমার মনে ভয় ছিলো , এজন্য ওরে বোঝাতে যে আমি still ওরই-এজন্য ওর স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম ওরে দেখতাম, ওর পিছু পিছু ওদের বাসা পরযন্ত যেতাম। আল্লাহ বাচাইছে ঐ সময় টা যদি এখন হতো তা হলে আমি ইভটিজিং এর স্টার হইতাম ,জুতার মালা পরানো আমার ছবি পত্রিকা তে আসতো। কিন্তু আমার কি হতো? আমি তো ভালো ঘরের ছেলে, এরকম কিছু হলে নিশ্চয় আমাকে ও ধরষিতা মেয়েদের মত গলায় ফাস দিতে হতো।
এতক্ষন লেখাটা পড়ে ভাবতেছেনা আমি মনে হয় একালের রাজাকার!! যেখানে পুরো দেশ এতার বিপক্ষে আর আমি কিনা এটার পক্ষে বলছি।আমি যা বলতে চাই আইন না সচেতনার মাধ্যমে আমাদেরকে ইভটিজিং এর মোকাবিলা করতে হবে।।
জোর করে কিছু হয় না প্রথম আলোর স্লোগান গুলো আসলেই চরম!!-বদলে যাও, বদলে দাও।
'দেশ দেশ (মা মা)করে কি হবে? বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা প্রথম আলোর দেশ কে মায়ের মত ভালোবাসুন-এ জাতীয় স্লোগান গুলো সত্যিই সচেতনতা তৈরি করে-এখন আমি আর অভিমানেও দেশ কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করি না। আমি প্রবাসে থাকি এখানকার মানুষদের প্রায় দেশ দেশ করে কি হবে্ বাংলাদেশ কে দিয়ে কিছু হবেনা, হায়রে বাংলাদেশ!!!
আসা যাক আবার ইভটিজিং প্রসঙ্গে , যতটুকু মনে পড়ে আমি যখন ক্লাস-৮ এ পড়ি আমার বড় আপারে নিয়ে মারকেট গিয়েছিলাম, কই একটা ছেলে আমাদের পিছনে পিছনে হাটতেসে আর টিজ করতেছে ওরা সবাই আমার ৭-৮ বছর এর বড় হবে ,সেই সময় আমি তিব্র প্রতিবাদ করেছিলাম,ঐ ছেলে গুলারে মারতেও বসেছিলাম। আমার বোন বলে কি আমি ওদেও ইভটিজং এর প্রতিবাধ করেছিলাম, বিশ্বাস হবে কিনা জানিনা আমি তখন জানতামিনা ছেলে মেয়ের রেলেতিওন কি? এ রকম অনেক হইছে আমার এক ভাগ্নি ছিল খুব সুন্দর,ওর পিছনে অনেক ছেলে গুরতো স্কুল ছুটির পর ছেলে গুলা ওর পিছু পিছু আসতো-এ নিয়া কত ছেলে রে যে আমার বড় ভাইয়ারা মারছে...
এবার আমার ফ্রেন্ড সারকেলের ইভটিজং এর কিছু গল্প বলিঃ
রোজার মাসে যখন ঢাকার মারকেট গুলা জমজমাট, সব ফ্রেন্ড একসাথ হয়ে বসুন্দরা কিংবা গাউচিয়া নিউমারকেট যাইতাছি কেন -মাইয়া দেখার জন্য, আমাদের ডায়ালগ ছিল "মাইয়া দেখতে হলে চলে আসবি নিউমারকেট, নিলক্ষেত,...বাহারি রকম মাইয়া, উচা-লম্বা,ফরসা,শ্যমলা ,বিভিন্ন সাইজ আর বিভিন্ন বয়সের মাইয়া।"-হায়রে তখনতো গাউচিয়া,নিউমারকেট আমার আম্মা,আন্টি,আপারা তো যাইতো- যে আপার জন্য আমি একদিন প্রতিবাধ করেছিলাম আমি কিনা...
ছি!
ছি!!
ছি!! মারুফ ছি!!