somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাইরা দে মা, কাইন্দা বাঁচি (একটা ফান/সিরিয়াস টাইপ পোষ্ট)

০৬ ই মে, ২০১০ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সব মানুষের জীবনেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে কিংবা মানুষ ছোট খাটো এমন কিছু করে থাকে যেটা পরবর্তী সময়ে সেটা মনে পড়লে মানুষ লজ্জা পায়, আর সেটা নিয়ে অনেক অনেক দিন পরও হাসাহাসি চলতে থাকে।
আজ তাহলে এই রকম পুরনো কিছু গল্পই না হয় বলি।
১.
সবেমাত্র টুয়েলভ গ্রেডে উঠেছি তখন। ক্লাসের প্রথম দিন। আমার প্রথম ক্লাসটাই ছিলো "আমেরিকান হিস্টোরি"। তো আমি স্কেজুয়েল থেকে রুম নাম্বার জেনে রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার আমেরিকান হিস্টোরি ক্লাসের টিচারের নাম লেখা ছিলো Rose. এখানকার হাই স্কুলের টিচাররা ক্লাসের দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকে, টুকটাক হাই হ্যাল্লো বলে। আর স্টুডেন্টরা যদি প্রথম প্রথম ক্লাস খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়ে তাহলে টিচারদের প্রশ্ন করলেই ওনারা সাহায্য করে। তো যাইহোক, আমি আমার ক্লাসের সামনে একজন লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। তো উনাকে গিয়ে বললাম যে, "Is it Miss Rose’s class?" (গোলাপ ফুলের নাম দেখে আমি ভেবেই নিয়েছি যে আমার টিচার হবেন একজন মহিলা :| )
আমার প্রশ্ন শুনে লোকটা আমাকে গুড মর্নিং বলে যা বললো সেটা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
লোকটা: Yes my dear, I am Mr. Rose। B-)
লজ্জায় আমার ইচ্ছা করছিলো যে মরেই যাই। :((
২.
আমার ক্লাস তখন সকাল বেলায় ছিলো। আমার যেহেতু গাড়ি ছিলো না, ভাইয়াই আমাকে গাড়ি দিয়ে নামিয়ে দিয়ে আসতো। একদিন ভাইয়ার জরুরী একটা কাজ ছিলো। আমার কলেজ যেহেতু বাসার খুব কাছেই ছিলো তো আমার সিদ্ধান্ত নিলাম যে হেঁটেই চলে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। দিলাম হাঁটা....
কলেজের একবারে কাছে পৌছে যাওয়ার একটু আগে ঘটলো ঘটনাটা। কোথা থেকে যেনো একটা কুকুর দৌড়ে আসলো। আগেই বলে রাখি আই এ্যাম নট এ বিগ ফ্যান অফ ডগিস X(
কুকুর দেখলেই কলিজায় পানি থাকে না, চউক্ষে দেখি আন্ধা, ঠ্যাং কয়-দে দৌড় :(( কিন্তু ভয়ে দৌড়ও দিতে পারতেছিলাম না। আমি আস্তে হাঁটলে দেখি কুকুরও আস্তে হাঁটে, আমি তাড়াতাড়ি হাঁটলে দেখি কুকুরও! ডরের চুটে দোয়া দুরুদও মুখে আসতেছিলো না। কিন্তু কুকুর থাইকা তো বাঁচা লাগবে।
ডাইনে বামে তাকায়া দেখি ঘাসের উপর এই সাইজের একটা সাইন বোর্ড পুতা।

কুকুর থেকে বাঁচার জন্য সেই সাইন বোর্ডটাকে মাটি থেকে তুলে ফেললাম। এরপর কুকুর ডান দিকে গেলে আমিও সাইন বোর্ডটা দিয়ে আমার পা থেকে ঢেকে ডান পাশে সরি। কুকুর বাম দিকে সরে আসলে আমিও সাইন বোর্ড বাম দিকে ঘুরাই। রাস্তা দিয়ে দুনিয়ার মানুষ যাওয়া আসা করে সবাই ভাবছে আমি মনে হয় কোন কিছুর এডভারটাইজমেন্ট দিচ্ছি। কেউ আমাকে বাঁচাইতে আসলো না। :(( সবগুলো মানুষের উপর তখন খুবই মেজাজ খারাপ হইছিলো। সবাই শুধু গাড়ি দিয়ে যাওয়া আসা করে কেন! দুই একজন রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসলে তো আমি কারোর হেল্প চাইতে পারতাম। :((
বাসার আসার পর ঐদিন প্রথম যেই কথাটা আম্মুকে বলছিলাম সেইটা হলো: এই দেশে থাকমু না, এই দেশ পচা। তুমি আমাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করো। X(
অবশ্য বাসার সবাই আসল ঘটনা শুনে ব্যাপক হাসছিলো। মানুষের মনে দয়া মায়া সব উইঠা গেছে X((:((
৩৩টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

১০০ টা নমরুদ আর ১০০ টা ফেরাউন এক হলেও একজন হাসিনার সমান নৃশংস হওয়া সম্ভব ছিলো না!!

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫২

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জন্য কবর খুঁড়তে হয়েছিলো ২ টা।
একটা না।
ফাঁসির ৪ ঘন্টা আগেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী জানতেন না, আজকেই তাকে যেতে হবে।
ফ্যামিলি যখন শেষবারের মতো দেখা করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিন নিয়ে এতো লাফালাফির কি আছে?

লিখেছেন অপলক , ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:১০

ফিলিস্তিনে গত ৩ বছরে মারা গেছে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫১ হাজার। বাংলাদেশে ১৯৭১এ মাত্র ৯মাসে মারা গেছে ৩ লক্ষ, যদিও শেখ মুজিব বলেছিল, ৩০ লক্ষ।
কোথায় ৫১ হাজার কোথায় ৩০ লক্ষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন ...

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৯





****
আরো দেখতে চাইলে ভেতরে আসেন ...







...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

হুজুগে-গুজবে বাংগালী....

"হুজুগে-গুজবে বাংগালী"- বলে আমাদের একটা দুর্নাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। গুজব আর হুজুগ যমজ ভাই।
গুজব বা হুজুগের সবকিছু মানুষ কিনতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্যোতনা দেয় অন্ধ বিশ্বাস।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হে অনন্যা তোমার কথিকা

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫২



তোমার ভাবনা আজ মনের ভিতর ডাল-পালা মেলে
পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে বিচিত্র সব ফুলের দেশে
আমায় নিয়ে জোছনার স্নিগ্ধ আলোয় অপরিমেয়
সুখের চাদরে আচ্ছাদিত করে আমায় বিমোহীত করে।

তোমার প্রফাইল পোষ্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×