বিরোধীদলের নেতাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর মামলা যে আদালতে বিচারাধীন, সেই দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৫ এর কার্যক্রমে আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
গত ২৯ জুলাই হাই কোর্টে দায়ের করা এই রিট আবেদেনে ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারকের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি গাড়ি পোড়ানোর মামলা স্থগিতেরও আবেদন করা হয়।
তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন রোববার সকালে আবেদনটি শুনানির জন্য মির্জা হোসেইন হায়দার নেতৃ্ত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে সময় চাওয়া হলে সোমবার বেলা ১১টায় শুনানির সময় রাখা হয়।
সোমবার আবেদনটি আদালতে উঠলে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার দাঁড়িয়ে বলেন, “এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি করার কথা রয়েছে। তিনি ১২টায় আসবেন। তখনই শুনানি করা হোক।”
এ নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির মধ্যে কথা চলার এক পর্যায়ে কনিষ্ঠ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।
এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, “আমাদের একজন বিব্রতবোধ করেছেন। আবেদন অন্য কোর্টে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি।”
পরে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকসহ অন্য আইনজীবীরা বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে যান।
মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে উল্লেখ করে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রিটটি শুনানির আর্জি জানালে আদালত সাড়ে ১২টায় শুনানি করে বেলা ২টায় আদেশ দেন।
হরতালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপি ও শরিক নেতাদের বিরুদ্ধে গত ২৯ এপ্রিল তেজাগাঁও থানায় এ মামলা করা হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত গত মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধী দলের ৪৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে।