কমলাপুর স্টেশনে রাত জাগা মানুষের দীর্ঘ মিছিল। সবার দৃষ্টি টিকিট কাউন্টারের দিকে। বুকিং বুথের সামনে দিয়ে কেউ হাঁটাচলা করলেই অপেক্ষমাণ মানুষের চিৎকার, নিরপত্তাকর্মীর তীব্র বাঁশির শব্দ। টিকিট প্রত্যাশী মানুষের ভীড়ে রশি দিয়ে তৈরি করা বেষ্টনি ছিড়ে যায়। এ অবস্থায় সতর্ক হন আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত সদস্যরা। এত অপেক্ষার আর কষ্টের পরও ঈদের বিশেষ টিকিট সংগ্রহ করতে না পেরে ফিরে গেছে শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ।
তূর্ণ নিশীথা ট্রেনের আসন সংখ্যা ৬০০। এর মধ্যে এসি ৪০৪ বাকিটা নন এসি। মাত্র টিকিট ছাড়ার ৫০ মিনিটের মধ্যেই তুর্ণা নিশীথার টিকিট শেষের ঘোষণা দিলেন কাউন্টারম্যান। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অগ্রিম টিকিট ছাড়ার মাত্র ৫০ মিনিটেই তূর্ণা নিশীথার ১৪ আগস্টের ঈদের বিশেষ টিকিট শেষ। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আগের দিন থেকে অপেক্ষমাণ মানুষ। একপর্যায়ে টিকিটবঞ্চিতরা ছুটে যান রেলস্টেশন ম্যানেজার খায়রুল বাসারের কক্ষে। তাকে ঘেরাও করেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তারা। বলেন, মাত্র একঘণ্টার মধ্যে টিকিট গেল কোথায়? বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা টেবিল চাপড়ে জানাতে চান অল্প সময়ে এত টিকিট তো শেষ হওয়ার কথা নয়। যাত্রীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন, তূর্ণা নিশীথার ট্রেনের চট্টগ্রামের জন্য মাত্র ৩৮টি টিকিট ছাড়ার পরই টিকিট নেই। অথচ আমরা গত শনিবার বিকাল থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি।
এসময় স্টেশন ম্যানেজার অসহায়ভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং বিষয়টি দেখবেন বলেও জানান। খায়রুল বাসার আরও বলেন, প্রয়োজনে আমরা অতিরিক্ত বগির ব্যবস্থা করব। পরে এসে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।