পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা আমাদের!!!!!
ইমেইল এ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে নিজের ফোন, কম্পিউটার সব তালা চাবি দিয়ে সিল গালা করার মতো পাসওয়ার্ড দিয়ে রক্ষার চেষ্টা!
আবার আরেকদল আছে যাদের প্রধান কাজই মানুষের পাসওয়ার্ড চুরি করা, কিভাবে কখন কার পাসওয়ার্ড চুরি করবে এই ভাবনা আর চেষ্টায় সারাদিন রাত কাটে তাদের। এই পাসওয়ার্ড চুরির দায়ে জেল জরিমানা সহ কঠিন শাস্তি পেতে হবে জেনেও কোন বিকার নেই এদের।
ব্যাংকের টাকা পয়সা, লকারের মূল্যবান সম্পদ সবই পাসওয়ার্ড দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা তবে এর চেয়েও কোটি কোটিগুন মূল্যবান শুধু নয় যে অমূল্যসম্পদ আমাদের আছে।
সেই সম্পদকে পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত করা যায় কিছুটা।
যুক্তরাষ্ট্রের এক অভিজাত শহরের পার্কে ঝলমলে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে আর সব শিশু কিশোর কিশোরীর দলের সাথে খেলছে দশ বছরের এমিলি। অনেকের মতো এমিলির মা নামিয়ে দিয়ে গেছে, নির্দিষ্ট সময়ে এসে নিয়ে যাবে। মাঝের সময়টা অন্য দু তিনজন খেলার সাথির মা বাবার তত্ত্বাবধানে আছে সবাই।
প্রায় এক ঘন্টার মতো খেলেছে ওরা।
বলটা গড়িয়ে মাঠের এপ্রান্তে যেতেই চপল এমিলি ছুটে যায় সেদিকে। দামী গাড়ি চালিয়ে আসা সুবেশি এক আগন্তুক এমিলির কাছে গিয়ে জানায় তার মা জরুরী কাজে আটকে গেছে তাই এমিলিকে সে বাসায় পৌঁছে দিতে এসেছে!
তাদের মাঝের কথোপোকথন অনেকটা এমন ছিলো..
আগন্তুক: হাই এমিলি। আমি জন।
এমলি ভ্রু কুঁচকে তাকায়, অপরিচিতদের সাথে আলাপ করা নিষিদ্ধ কাজের মাঝে পরে। জন আরেকটু এগিয়ে এসে জানালো
জন: এমিলি, তোমার মা আমাকে পাঠিয়েছে।
এমিলি: কে পাঠিয়েছে?
জন: তোমার মা, সুসান।
এমিলি: তুমি আমার মা কে চিনো?
জন: হুমম্। চিনি তো সে জন্যই আমাকে পাঠিয়েছে তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিতে। তোমার মা জরুরী কাজে আটকে গেছে।
এমিলি: তাই? আমার মা কোথায় কাজ করে?
আগন্তুক: ওসাকা হসপিটালের আর এন সুসান।
এমিলি: আচ্ছা, আমার বাসা কোথায় জানো?
জন: অবশ্যই, লিংকন স্ট্রীটের চমৎকার বাগানের সাদা বাড়িটা তোমাদের। বাড়ির সামনের পাইন গাছটা এখন নিডল ছড়িয়ে দিয়েছে চারপাশে।
এমিলি: আমার মা আজ কি পরে আছে বলতো?
জন: সাদা সার্ট আর ব্লু জিনস।
এমিলিকে দেখে মনে হলো সে কনভিন্সড হয়েছে, জন কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। এমিলি কিছুটা পিছু হঠে বলে তার বান্ধবীর মাকে জানিয়ে এসে জনের সাথে যাচ্ছে। বন্ধুদের দিকে কিছুটা ছুটে গিয়ে হঠাৎ মনে পড়ার মতো থমকে দাঁড়িয়ে ফিরে তাকায় এমিলি।
এমিলি: জন, পাসওয়ার্ড?
জন: পাসওয়ার্ড!!! (আকাশ থেকে পড়ে জন)
এমিলি: হুমম্, পাসওয়ার্ড টা বলো।
জন তখনও হতভন্ব! "পাসওয়ার্ড?"
এমিলি এক নিঃশ্বাসে ছুটে পার্কের ওপাশে বেন্চে আপেক্ষমান অন্যান্য অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে যায়। পিছু ফিরে লোকটিকে দেখিয়ে ঘটনা জানাতে গিয়ে দেখে আশেপাশে কোথাও জন বা তার গাড়ির কোন চিহ্ন নেই।
এমিলির বুদ্ধিমান মা বাবা আগন্তুক সম্পর্কে তাকে যথার্থ শিক্ষা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে রেখেছিলেন বলেই হয়তো সেযাত্রায় রক্ষা!
*** জরুরী প্রয়োজন মা বাবা সময়মতো সন্তানের কাছে পৌঁছতে সক্ষম না হলে অনেক ক্ষেত্রে পরিচিত/অপরিচিত কারো সাহায্য নিয়ে থাকেন। সেকারনে সন্তানকে শিখিয়ে রাখা জরুরী, এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে পরিচিত জনের সাথে যেতে হলেও একটি কমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিশ্চিত হতে পারে সত্যিই মা বাবার পাঠানো কিনা। এমনকি বাসায় মা বাবার অনুপস্থিতিতে কেউ এসে মা বাবা পাঠিয়েছে দাবী করলেও পাসওয়ার্ড/কোড ওয়ার্ড দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়***
ছবি সুত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪