মেটাল সাইন
আমি সময় পাই আর না পাই কিছু গান আছে না শুনলেই নয়। LINKIN PARK,IRON MAIDEN,CREED,LAMB OF GOD,METALLICA,BRYAN ADAMS,DISTURBED PRAYER পাগল করার মত কিছু ব্যান্ড। এত গুলোর রিভিউ দেওয়া সম্ভব নয়।
তাই দুই ধারার দুইটা ব্যান্ড এর কিছু ইতিহাস দিলাম। দুইটা ব্যান্ড ই আমার খুব ভাল লাগে। সবার সাথে আমার না ও মিলতে পারে, কার কিরকম ব্যান্ড পছন্দ জানাবেন ।
লিঙ্কিন পার্ক
লিঙ্কিন পার্ক যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত অল্টারনেটিভ রক ব্যান্ড।মাইক শিনোডা, ব্র্যাড ডেলসন এবং রব বুর্ডন তিন বন্ধুর ই সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ ছিল স্কুল থেকেই।স্কুলে থাকাকালীন অবস্তায় ই তারা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ড বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।হাইস্কুল পাশ করার পর তারা সঙ্গীতের প্রতি আরো বেশি মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে জো হান নাম, ডেভ ফিনিক্স এবং মার্ক ওয়েকফিল্ডকে ব্যান্ডে অন্তর্ভুক্ত হন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তাদের ব্যান্ডের নাম ছিল জেরো। তখন ও তাদের তেমন কোনো সঙ্গীত সরঞ্জাম ছিল না। তারা ১৯৯৬ সালে মাইক শিনোডার শোবার ঘরে এক ছোট স্টুডিওতে গান তৈরি করা শুরু করেন। তখন অ্যালবাম বের করার জন্য অনেক চেস্টা করেন।তারা অনেক রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন, কিন্তু ব্যার্থ হন।যখন তারা কোন রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারল না ব্যর্থতা এবং অচলাবস্থার কারণে তখন ভোকাল ওয়েকফিল্ড ব্যান্ড ছেড়ে দেযন।একই সাথে অন্য ব্যান্ড এ যোগ দেওয়ার আশায় ফিনিক্স ও স্ন্যাক্সও ব্যান্ড ত্যাগ করেন।
নাম লিঙ্কিন পার্ক (১৯৯৯-) ,হাইব্রিড থিওরি (১৯৯৮–১৯৯৯),জিরো (১৯৯৬–১৯৯৮)
প্রতিষ্ঠা ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ধরন নিউ মেটাল, র্যাপ মেটাল, অল্টারনেটিভ মেটাল, অল্টারনেটিভ রক
কার্যকাল ১৯৯৬–বর্তমান
লেবেল ওয়ার্নার ব্রাদার্স, মেশিন শপ রেকর্ডিং
সহযোগী শিল্পী ডেড বাই সানরাইস, ফোর্ট মাইনর, জে-জেড, হোয়াইট পেগাকন, টেস্টি স্ন্যাক্স, রিলেটিভ ডিগ্রি, গ্রে ডেজ, বাকেট অফ উইনিস
ওয়েবসাইট www.linkinpark.com
জেরোর অনেক সময় পরে ওয়েকফিল্ডের স্তানে নতুন ভোকাল নিয়োগ দেয়। তিনি ছিলেন অ্যারিজোনার ভোকাল চেস্টার বেনিংটন ।বেনিংটন এর পূর্বে নাম ছিল গ্রে ডেজ, যিনি পরর্বতীতে ব্যান্ড কে নিয়ে যান অনেক উপরে। এসময় ব্যান্ডটি জেরো হতে তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখে হাইব্রিড থিওরি। শিনোডা এবং বেনিংটনের আসাধারণ সমন্বয়ের কারণে ব্যান্ডটি অচলাবস্থা থেকে জেগে উঠে ।এসময় তারা অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করা শুরু করেন।
বেনিংটন
টপ লিস্ট(download link)
• NUMB
• Leave Out All the Rest
• Somewhere I Belong
• Crawling
• In the End
• One Step Closer
ভিডিও
নতুন করে আবার জেগে উঠে ব্যান্ড, নতুন করে আবার নাম পালটায়।নতুন নাম রাখা হয় লিঙ্কিন পার্ক।। পূর্ববর্তি তিনবার ব্যর্থতার পর জেফ ব্লু লিঙ্কিন পার্ককে ১৯৯৯ সালে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে সাহায্য করে। পরের বছর লিঙ্কিন পার্ক তাদের পক্ষে অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনা অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরি প্রকাশ করে।
অ্যালবাম
1 Early years (1996–1999)
2 Hybrid Theory (2000–2002)
3 Meteora (2002–2004)
4 Side projects (2004–2006)
5 Minutes to Midnight (2006–2008)
6 A Thousand Suns (2008–present)
তাদের প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরি-র (২০০০) জন্য তারা বিকল্প ধারার মেটাল ব্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবসাসফল ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছে। সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৯.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে হাইব্রিড থিওরি। লিংকিন পার্ক বর্তমানে ওয়ার্নার ব্রাদার্স রেকর্ডিং কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ। লিংকিন পার্ক ২০০০ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম হাইব্রিড থিওরির-র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করে, এই অ্যালবামটিকে আমেরিকান রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ডায়মন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বর্তমান সদস্য
• চেস্টার বেনিংটন - কন্ঠ।
• মাইক শিনোডা - কন্ঠ, রিদম গিটার, কি-বোর্ড, এমছি, বিট্স।
• ব্র্যাড ডেলসন- গিটার।
• ফিনিক্স - বেজ গিটার।
• জোসেফ হান- টার্নটেবল, বিটস্, ডি.জে.।
• রব বুর্ডন - ড্রাম।
এর পরবর্তি অ্যালবাম মিটিওরা ব্যান্ডটির সাফল্য অক্ষুন্ন রাখে । এটি বিলবোর্ড ২০০ চার্টে শীর্ষস্থান দখল করে ছিল। । এমটিভি লিংকিন পার্ককে মিউজিক ভিডিও যুগের ষষ্ঠ সেরা ব্যান্ডের স্বীকৃতি দেয় ২০০৩ সালে এবং নতুন শতাব্দীর তৃতীয় সেরা ব্যান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে।
ল্যাম্ব অব গড
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় গঠিত একটি হেভি মেটাল ব্যান্ড ল্যাম্ব অব গড । ল্যাম্ব অব গডে আছেন ভোকালিস্ট র্যান্ডি ব্লাইথ, গিটারিস্ট মার্ক মরটন ও উইলি আডলার, বেজিস্ট জন ক্যাম্পবেল ও ড্রামার ক্রিস আডলার। এই ব্যান্ডটিকে আমেরিকান হেভি মেটালের নতুন স্রোত হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
নাম বার্ন দ্যা প্রিস্ট
প্রতিষ্ঠা রিচমন্ড, ভার্জিনিয়া, আমেরিকা
ধরন গ্রুভ মেটাল, থ্রাশ মেটাল, মেটালকোর, ডেথ মেটাল (শুরুতে)
কার্যকাল ১৯৯০–বর্তমান
লেবেল প্রোসথিটিক রেকর্ডস, এপিক রেকর্ডস, রোডরানার রেকর্ডস
ওয়েবসাইট www.lamb-of-god.com
ল্যাম্ব অব গড গঠনের পর এ পর্যন্ত তারা ৬টি স্টুডিও অ্যালবাম, ১টি লাইভ অ্যালবাম ও ৩টি ডিভিডি প্রকাশ করে। আমেরিকায় তাদের মোট ২ মিলিয়ন কপি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। ২০০৬ সালে ব্যান্ডটি গ্রামি এ্যাডওয়ার্ডে মনোনয়ন পায় তাদের অ্যালবাম স্যাক্রামেন্টের জন্য।
অ্যালবাম
1 Formation and Burn the Priest (1994–1999)
2 New American Gospel and As the Palaces Burn (2000–2003)
3 Ashes of the Wake (2004–2005)
4 Sacrament (2005–2007)
5 Walk with Me in Hell and Wrath (2008–2009)
6 Festival Performances, "Hit the Wall" and next album (2010 onward)
ল্যাম্ব অব গড ওজফেস্টে ২ বার ও স্লেয়ার ব্যান্ডের সাথে দ্যা আনহলি অ্যালায়েন্স ট্যুর করে ২০০৬ সালে। তারা সারা বিশ্ব জুড়ে নানা উৎসবে গান করে যেমন-ডাউনলোড ফেস্টিভ্যাল ও সনিস্পেয়ার ফেস্টিভ্যাল। তারা মেটালিকা ব্যান্ডের সাথে ২০০৮-২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড ম্যাগনেটিক ট্যুর করে। ২০১০ সালের রকস্টার মেইহেম ফেস্টিভ্যালে তারা মূল মঞ্চে থাকবে। ব্যান্ডটির প্রাথমিক নাম ছিল বার্ন দ্যা প্রিস্ট।
বর্তমান সদস্য
বর্তমান সদস্য
• র্যান্ডি ব্লাইথ
• মার্ক মরটন
• উইলি আডলার
• জন ক্যাম্পবেল
• ক্রিস আডলার
১৯৯৯ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম বার্ন দ্যা প্রিস্ট লীজান রেকর্ডস থেকে বের হয়। অনেক জায়গাতে তাদের নিষিদ্ধ করা হয় এই বিশ্বাসের কারণে যে তাদের নাম শয়তান সম্পর্কীত। তাই তারা তাদের নাম পরিবর্তন করে রাখে ল্যাম্ব অব গড।
ল্যাম্ব অব গড প্রথমবারের মতো ১৭ই এপ্রিল ২০১০-এ ফিলিপাইনে সঙ্গীত পরিবেশন করে থ্রাশ মেটাল ব্যান্ড টেস্টামেন্টের সাথে। তারা ১৫ মে ২০১০-এ সামার স্টোর্ম ফেস্টিভ্যালে ১ম বারের মতো ভারতের ব্যাঙ্গালোরে গান পরিবেশন করে। মেটালিকা ব্যান্ডের অস্ট্রেলিয়ান ট্যুর ২০১০-এর শেষের দিকে তারা একটি ব্যান্ড হিসেবে সহযোগিতা করে।
টপ লিস্ট
Laid to Rest
Walk With Me In Hell
Redneck
Ruin
Now You've Got Something To Die For
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন নাম ও লেবেলে নতুন অ্যালবাম বের হয় যার নাম নিউ আমেরিকান গোস্পেল। প্যাট্রিক কেনেডি ব্যান্ডের শুরুটাকে পেন্টেরা ব্যান্ডের সাথে তুলনা করেন। রোলিং স্টোন ব্যান্ডের কির্ক মিলার তাদের ৩য় স্টুডিও অ্যালবাম অ্যাজ দ্যা প্যালেসেস বার্নকে পাঁচে তিন দেন।
ভিডিও
২০০৩ সালের এক নাম্বার অ্যালবাম হিসেবে অ্যালবামটিকে ভোট দেন রিভলভার ম্যাগাজিন ও মেটাল হ্যামার ম্যাগাজিন। প্রথম হেডব্যাঙ্গারস বল সফরে তারা একটি ডিভিডি রেকর্ড করে যাতে একটি তথ্যচিত্রও ছিল এবং টেরর ও হাবরিস নামের একটি ডিভিডি অ্যালবাম বের করে। এটি ৩১ নাম্বারে অভিষিক্ত হয় বিলবোর্ড টপ মিউজিক ভিডিও চার্টে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৩