কথা হারাচ্ছে এই প্রজন্ম
এবারের শীতকালে দীপের ঢাকা আসা নিয়ে ওরা দুজনেই ছিল উত্তেজিত। কিন্তু, কাফে কফি ডে’র স্বচ্ছ কাঁচের ভেতরে বসে যেদিন প্রথম দেখা হলো ওদের, সেদিন দুজনেরই মুখে যেন কুলুপ এঁটেছিল...চোখের চাহনি সবসময় নীচের দিকেই আটকিয়ে ছিল যেন। যদিও বা একটু আধটু কথা হল তাও ক্ষীণ স্বরে...হোঁচট খেয়ে খেয়ে। সাইবারের জগতে ওরা এত স্বচ্ছভাবে যেমনটা আদানপ্রদান করে ফেলতো নিজেদের মনের কথা, যতটা হাল্কাভাবে দেখিয়ে ফেলতো নিজেদের মধ্যেকার আবেগ-রাগ-অনুরাগ...তার কোনোটাই ওরা সেদিনের সামনাসামনি দেখা হওয়ায় করতে পারল না। কিসের এক অজানা লজ্জা যেন বাধ সাজলো ওদের কথপোকথনে।
সাইবার স্পেসে ক্রমাগত নাড়াচাড়া, কথাবার্তা বলা ও সার্ফ করতে করতে ওদের মতো অনেকেই এখন হয়ে উঠছে ওয়েব ডিপেনডেন্ট। নেট বা কম্পিউটারের জগৎ ছাড়া আর অন্য সকল মাধ্যমেই যেন একটু পিছিয়ে, একটু থমকে যাচ্ছে এই সময়ের মানব-মানবী। চ্যাট বা স্কাইপ, টেক্সট, ই-মেল এসব মাধ্যমের ওপর এতোতাই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে ওরা, যে বাস্তবজীবনের সাধারণতার মুখোমুখি হলে, হয়ে যাচ্ছে বাকরুদ্ধ, ভুলে যাচ্ছে আচরণের নিয়মকানুন...কমে যাচ্ছে সাবলীল কথপোকথনের নদীর গতিপথ।
দীপ-নীলার কেস-স্টাডিটা ছিল এই নতুন রোগে ভুগতে থাকা মানুষদের একটি ঘটনা মাত্র। ওদের মতো বেশিরভাগ মানুষই দিনে দিনে হয়ে পড়ছেন প্রযুক্তির ওপরে চরম নির্ভরশীল। সায়েন্সের প্রবল উন্নতি আর প্রাত্যহিক জীবনের অসম্ভব ব্যাস্ততার কারণেই দিনের সর্বোচ্চ সময়টি আমরা কাটিয়ে ফেলছি নানান প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। ফলে মনের সঙ্গে কথা বলা বা প্রযুক্তির কোনো সাহায্য ছাড়া নিছক প্রেম-ভালোবাসা-কথপোকথন-ঝগড়া কিম্বা শেয়ারিং করা-কোনোটাই ঠিক করতে সক্ষম নই আর।
এতে হারিয়ে যাচ্ছে সামনাসামনি কথা বলার সাবলীলতা। ‘Science Daily’তে প্রকাশ হওয়া একটি নিবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত সময় ইন্টারনেটে ব্যবহারের ফলে একজন মানুষের পরিবার ও পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথাবার্তা কমে যাচ্ছে। জেনিফার আর ফেরিসের মতো মনস্তাত্বিকদের মতে অধিক ইন্টারনেট আশক্তি একটি মানসিক অসুস্থতা, যার লক্ষনগুলি সত্য ও বর্ণনাযোগ্য। তাই রোবোট হওয়া থেকে বিরত হতে হলে, কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সহজ কথপোকথন চালিয়ে যেতে হলে-ফিরতে হবে বাস্তব দুনিয়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজের দরকার ছাড়া অহেতুক ওয়েব জগতে না ঘুরে, উঁকি মেরে দেখে নিতে হবে নিজের চারপাশটাকে, চিনে নিতে হবে মনের রঙমহলটিকে। তাতেই ‘কথায় কথায় রাত’ হবে। সূত্র: ওয়েবসাইট।


সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে মুসলিম চরিত্রের অনুপস্থিতি: এক অনালোচিত প্রশ্ন?
সত্যজিৎ রায়, যিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পরিচিত, তাঁর চলচ্চিত্র, গল্প এবং গোয়েন্দা সিরিজ ফেলুদা বাস্তববাদী চরিত্র, সমাজচিত্র, এবং গভীর দার্শনিকতা নিয়ে আলোচিত। তবে তাঁর কাজের মধ্যে একটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সুরের জাদু: গিটার বাজালে কি ঘটবে?
গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....
জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!
বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন