জ্ঞানওয়ালা একজন মানুষ বলেছিল, যারা দুচোখ বুঝেও আকাশ দেখতে পারে, তাদের কোন দুঃখ থাকে না।
সেই জ্ঞানওয়ালা মানুষ'টা কি সুমিত ? বলেই হাসল অবনী।
: হুম, এই তো তুমি বুঝতে পারছো। অনেকেই পারে না।
- তোমার আর কি কি জ্ঞান আছে ?
: আছে, শুনতে চাও।
- বল শুনি।
: তবে তোমার পা নাড়িয়ো না। তোমার পায়ের নূপুরের শব্দ জ্ঞান তৈরীতে বাধার সৃষ্টি করে। চুপ করে বসো। একটা অনেক বড় বড় জ্ঞানের কথা বলি।
- ঠিকাছে। বলো।
:দিনের বেলায় আকাশের দিকে তাকাতে নেই। তাতে মনের ভিতর শুন্যতা বাড়ে। নিজেকে তুচ্ছ মনে হয়। উড়ো মেঘের উড়োউড়ি দেখলে তোমাকে বন্দি মনে হবে।
- তাই তুমি বুঝি সিগনাল বাতির দিকে তাকিয়ে আছো ?
: আরেকটা জ্ঞানের কথা বলি, যখন হলুদ ট্রাফিক বাতি জ্বলে , তখন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। একটু পরেই সবুজ বাতি জ্বলবে। এই তাকিয়ে থাকার মাঝে আছে, মুক্তির আনন্দ। ছুটে চলার আনন্দ। মেঘ হয়ে যাওয়ার আনন্দ।
- কিন্তু হে জ্ঞানী, তুমি তো আকাশও দেখছো না, সবুজ সিগন্যাল বাতিও দেখছো না। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ, মেঘগুলো স্বাধীন হয়ে গেছে। রাস্তার গাড়ীগুলোও ছুটে চলছে মেঘের সীমানায়।
...দুঃখিত, আমি আর কোথাও তাকাতে পারছি না। আমি পরাধীন হয়ে গেছি, আটকে গেছি। তোমার চোখের মায়ায়।